আজকে ভাজা তৈরি করার কিছু মুহূর্ত।

in hive-120823 •  2 days ago  (edited)

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। আজকে কিছু আনন্দের মুহূর্ত আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য হাজির হয়েছি। আজকে কিছু ভাজা তৈরি করেছিলাম। তার কিছু মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি।

1000058109.jpg

আসলে অনেক দিন ধরে নিজেরা তৈরি করে কিছু খাওয়া হয়নি। কারণ আগে যেখানে ছিলাম সেখানে এই ধরনের কিছু পাওয়া যেতো না। তার পাশা পাশি বেশ কিছু দিন ধরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়িয়েছি। যার জন্য খুব বেশি সময় না থাকার কারণে কিছু তৈরি করে খাওয়া হয় না। তবে আজকে চোখের সামনে একটি জিনিস দেখে মনে হলো ভেজে খেতে পারলে ভালো হবে।

1000058077.jpg

তাই দেরি না করে সাথে সাথে এক প্যাকেট নিয়ে ছিলাম এই ভাজাটি। আসলে বাংলাদেশে পাপড় ভাজা বলে কিন্তু এখানে কি ভাজা আমি সঠিক জানি না। যাই হোক বাংলাদেশের মানুষ আমি তাই বাংলাদেশের কথাই বলি। এই পাপড় ভাজা দেখে নিয়ে এসেছিলাম এক প্যাকেট আমি আজকে।

1000058097.jpg

আজকের রান্নাটা আমার একটু দ্রুত শেষ হয়ে যাই। তাই পাপড় ভাজাটি করতে কোনো অসুবিধা হয়নি। তাই দেরি না করে চুলাতে একটি পাতিল দিয়ে ছিলাম। সেখানে কিছু তেল দিয়ে একটু সময় অপেক্ষা করছিলাম কখন দিবো এই পাপড় গুলো। প্রথম এক দুইটি দিয়ে দেখছিলাম আসলে তেল গুলো গরম হয়েছে কি না। একটু অপেক্ষা করে দেখতেই পেলাম তেল গরম হয়েছে।

1000058106.jpg

যাইহোক শুরু হয়ে গেলো আমার পাঁপড় ভাজা এবং আমরা এখন পাঁচ ছয় জন আছি এখানে। তাই এক প্যাকেট সব গুলো পাপড় ভেজে দিয়ে ছিলাম। এবং এই গুলো বিভিন্ন রঙের আছে। অবশ্য ছবি গুলো দেখে আপনারা বুঝতে পারছেন। এবং এটা খেতেও সত্যি অনেকটা সুস্বাদু ছিলো। সুস্বাদু বলতে এগুলো মুখে রচিত নিয়ে আসে এগুলো মুখে অনেক স্বাদ লাগে।

1000058105.jpg

গরম গরম কয়েকটি খেয়ে ছিলাম আমি এবং সাথে ছিলো আমার ভাইয়েরা। যাইহোক বিকালে সবাই কম বেশি কাজ করছিল অন্য কাজ। তাই অনেকেই সেখানে ছিলো না যে কয় জন ছিলাম সেই কয় জন খেয়ে ছিলাম এক জায়গায় বসে। এবং এটা খেতে সত্যি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। আমি অবশ্যই এই জিনিসটা আগে দোকান থেকে নিয়ে এসে খেয়েছি যে গুলো ভাজা ছিলো।

1000058099.jpg

কিন্তু আজকে প্রথম আমি নিজের হাতে তৈরি করলাম যা একটি আনন্দের বিষয় ছিলো আমার কাছে। এবং যে কোনো জিনিস নিজের হাতে তৈরি করতে পারলে। সেই জিনিসটা আসলেই অনেক ভালো লাগে। ঠিক যেমনটা আজকে আমার ভালো লাগছে। এবং সবাই এক সাথে বসে খাওয়া দাওয়া করার মজাটাই তো আলাদা থাকে। সব কয় ভাই এক সাথে মিলে ভাজা খেতে আসলে ভালো লেগেছে।

1000058100.jpg

এই ভাজা খাওয়ার সময় এবং তৈরি করার সময় কিছু ছবি আমি ধারণ করেছিলাম। যে ছবি গুলো আমার পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। যাহোক বন্ধুরা আশা করব আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। কথা হবে নতুন আরেকটি বিষয় নিয়ে সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।

1000045708.png

1000046883.gif

ধন্যবাদ সবাইকে।

@baizid123

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনি পাপড় ভাজার কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যেগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো ৷ আসলে নিজেরা যখন রান্না করি তখন নিজের মধ্যে অনেক আনন্দ লাগে ৷

যদিও আমি আমি এই গুলো কোন দিন ভাজি নাই তবে নিজে ডিম ভাজি করে অনেকবার খেয়েছি আর নিজে যখন রান্না করি তখন মনে হয় খাবারের স্বাদ টা দিগুন হয়ে যায় ৷

যাই হোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷

ভাজাপোড়া সবাই অনেক বেশি পছন্দ করে সেটা ছোটদের ক্ষেত্রে হোক কিংবা বড়দের ক্ষেত্রে আবার অনেক সময় দেখা যায় বৃষ্টির সময় কিংবা ঠান্ডার সময় একটু ভাজাপোড়া আর এক কাপ চা বিকেল বেলার নাস্তা হয়ে যায় আজকে আপনারা সবাই মিলে অনেক বেশি আনন্দ করেছেন এবং চিপস ভাজা তৈরি করেছেন।

প্রবাসী জীবনে এটাই হচ্ছে আপনাদের আনন্দঘন মুহূর্ত কিন্তু সেই আনন্দঘন মুহূর্ত আপনি চমৎকারভাবে উপভোগ করেছেন সবাই মিলে অনেক বেশি আনন্দ করেছেন খাওয়া-দাওয়া করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ সবার সাথে কাটানো আনন্দঘন মুহূর্তটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।

Loading...

আপনার পাপড় ভাজা দেখে আমার ছোটবেলাকার কথা মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় ঠিক রংবেরঙের এইরকম পাপড় বিক্রি হতো। খাওয়ার জন্য কত কান্না করতাম। তখন মামা দিদা সকলেই বোঝা তো ওগুলো নাকি রং দিয়ে তৈরি হয় খেতে নেই খেলে শরীর খারাপ করবে। যাই হোক ওই রকম কাপড় আর এখন একদমই চোখে পড়ে না। অনেকদিন পর এইরকম কাপড় দেখতে পেলাম দেখে তো ভীষণ খেতে ইচ্ছে করছে। সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

পোস্টটি অনেক আনন্দদায়ক এবং সুখী মুহূর্তের প্রতিফলন! নিজের হাতে পাপড় ভাজার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন, তা সত্যিই মনোমুগ্ধকর। এমন মুহূর্তগুলো সাধারণত আমাদের অনেক খুশি ও প্রশান্তি দেয়, বিশেষ করে যখন আমরা নিজের হাতে কিছু তৈরি করি। ভাইয়ের সঙ্গে একসাথে বসে খাওয়ার আনন্দও পোস্টে খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। আশা করি আপনার ভবিষ্যতেও এমন আনন্দের মুহূর্তগুলো আরও বেড়ে যাবে।