আসসালামু আলাইকুম
Hello Friends…!!
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালই আছি। তবে কয়েকদিন থেকে একটু ব্যাস্ততার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। কারণ, নিজের অফিস এবং বাবার ব্যাবসা দুই টাই আমাকে দেখতে হচ্ছে। বাবা এতেকাফ এ বসার কারণে তার দোকানের সম্পূর্ণ দায়ভার আমাকেই নিতে হয়েছে। তাই কয়েকদিন থেকে পোস্ট লেখার সময় করে উঠতে পারছি না। যাই হোক, আজ শত ব্যাস্ততার মাঝেও আমার গতকালের দিনলিপি নিয়ে লিখতে বসেছি। জানিনা লেখা কতক্ষনে শেষ করতে পারবো। বেশি বক বক না করে কাজে মনোযোগ দেয়া যাক।
গতকাল ছিল ৫ই এপ্রিল ২০২৪ রোজ শুক্রবার, পবিত্র জুম্মার দিন। যেহেতু রমজান মাস চলছে তাই সেহরীতে উঠতে হয়। কিন্তু আমার সেহরীতে একটু ভিন্নতা চলে এসেছে। কারণ, রমজানের প্রথম ২০ দিন সেহরীতে উঠতে হতো ৪ টায়। কিন্তু এখন উঠতে হয় ৩.৩০ এ। কারণ ঘুম থেকে উঠে আগে মসজিদে যেতে হয় বাবার সেহরী এর খাবার পৌঁছানোর জন্য। বাবার খাবার দিয়ে এসে তারপর বাসার অন্যান্য সদস্য একসঙ্গে সেহরী করি।
কাল ও তার ব্যতিক্রম হয় নি। কাল সেহরীতে খেয়েছি ভাত, মশুরির ডাল, ডিম ভুনা ও করলা ভাজি। খাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে চলে যাই মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করতে। নামাজ শেষে বাসায় ফিরে আবার ঘুমিয়ে পড়ি।
সকাল
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন, তাই খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠার কোনো প্যারা নাই। ঘুম ভাঙ্গার পর মোবাইল হতে নিয়ে দেখি সকাল ১০.৩০ বাজে। বিছানা ছেড়ে ফ্রেস হয়ে আসি। অতঃপর ছেলেকে রেডি করে নিয়ে আমিও রেডি হই বাজার যাওয়ার জন্য। ছেলেকে নিয়ে চলে যাই বাজারে এক ছোট ভাই এর সেলুনে ছেলের চুল কাটাবো বলে। প্রায় এক থেকে সোয়া ঘন্টা চলে যায় ছেলের চুল কাটাতে। অতঃপর বাসায় ফিরে আসি। তখন ঘড়িতে সময় প্রায় ১২ টা।
তারপর দোকান থেকে টাকা নিয়ে চলে যাই জিয়া বাজার দোকানের বাজার করার জন্য, কারণ দোকানে অনেক মাল শেষ হয়ে গিয়েছিল। এর মধ্যে শুনতে পাই জুম্মার নামাজের আজান। দ্রুত বাজার শেষ করে বাসায় ফিরে দেখি ১টা বাজে।
দুপুর
দ্রুত গোসল সেরে চলে গেলাম মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করতে। মসজিদে ফোন নিয়ে যাওয়া ঠিক না, তাই ছবি তুলতে পারি নাই।
নামাজ শেষে বাসায় ফিরে একটু ঘুমানোর চেষ্টা করি। কিন্তু মানুষের জ্বালায় কি আর ঘুমানো যায়! দোকান থেকে ডাক আসলো। তাই ঘুম পাড়া আর হলো না। ফ্রেস হয়ে ৩ টায় দোকান খুলে দোকানে বসে পড়লাম।
অতঃপর নামাজের আগে যে দোকানের মাল গুলো নিয়ে এসেছিলাম একে একে সবগুলো গোছাতে শুরু করি। মালপত্র গোছানো শেষ না হতেই আছরের নামাযের সময় হয়ে গেল। সবকিছু অগোছালো রেখেই নামাজ পড়তে যাই। নামাজ শেষে বাকি মালপত্র গুছিয়ে রাখি।
এদিকে প্রায় ইফতারের সময় হয়ে গেছে। দোকান বন্ধ করে আবার বাজারে যাই একটা তরমুজ কিনতে। তরমুজ কিনে বাসায় ফিরে বাসার অন্যান্যদের সাথে ইফতারি করি। ইফতারি শেষে মাগরিবের নামাজ আদায় করে আবার দোকানে যাই।
রাত
রাত ৮টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখি। এরপর দোকান বন্ধ করে তারাবির নামাজ পড়তে যাই। তারাবি শেষ হতে প্রায় ৯.১৫ বাজে। তারাবি শেষে বাসায় ফিরে আসি বাবার রাতের খাবার নেয়ার জন্য। বাবাকে রাতের খাবার পৌঁছিয়ে দিয়ে চলে যাই আবার বাজারে।
বাজারে এসে আগে এক কাপ চা খাই। কারণ, আমার আবার একটু চা এর নেশা আছে। দিন শেষে এক কাপ চা না খেলে আমার আবার ঘুম হয় না। অতঃপর কিছু সবজি কিনে প্রায় রাত ১১ টায় বাসায় আসি। বাসায় ফিরে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নিই, কারণ ভোরে আবার উঠতে হবে।
- এই ছিলো আমার গতকালের সারাদিন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঈদ গনিয়ে এসেছে ,তাই কেনাকাটার ধুম পড়েছে তার সাথে সেলুনের দোকানগুলোতে আর পার্লারে ও প্রচুর পরিমাণে ভিড় কি আর বলবো।
আমরাও মাসির বাজার গুলো একটা নির্দিষ্ট দোকান থেকেই করি। এতে করে সাশ্রয় পাওয়া যায় তাছাড়া বিশ্বাস ও তৈরি হয়। খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন সবসময়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit