Better Life With Steem|| The Diary Game|| 10th April.

in hive-120823 •  10 months ago 

আসসালামু আলাইকুম।

আজ পবিত্র ঈদের দিন, কমিউনিটির সকল বন্ধুদের জানাই ঈদ মোবারক সকলকে ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আশা করি আপনাদের সকলের ঈদ অনেক ভালো কেটেছে।

আমার ঈদ কেমন কেটেছে তা আমি আপনাদের আমার আগামী পোস্টে শেয়ার করবো,তবে আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার ঈদের আগের দিনের গল্প উপস্থাপন করবো।

1000013774.png
Edited by Canva

সকাল

আজ সকালে মনে অন্য রমক এক আনন্দ কাজ করছিল, আর সেই আনন্দে অনেক সকালেই ঘুম থেকে উঠে পরি। যখন ঘুম ভাঙ্গে তখন ঘড়ির কাটায় সকাল সাতটা।

ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম আর এরপরে টুকিটাকি যতোটুকু গোছগাছ বাকি ছিল সে টুকু শেষ করে নেই। এরপরে মেয়েদের ঘুম থেকে উঠিয়ে ওদের সকালের নাস্তা করিয়ে দেই। আর ওদের নাস্তা শেষে আমি গোসল করে নেই। আর মেয়েদের কে ওদের নানু গোসল করিয়ে দেয়।

1000013705.jpg

যেহেতু আমরা দুপুরের দিকেই রওনা হবো তাই আগে থেকেই গোসল করে তৈরি হয়ে ছিলাম।
আর এদিকে আমার হাসবেন্ড ও তৈরি হয়ে পরে পর গ্রামে যাওয়ার জন্য, আর সেই সময় তাকে সালাম করে সালামি আদায় করে নেই। 😁

1000013699.jpg
1000013702.jpg

যদিও অনেকটা জোর করেই আদায় করেছি। এরপরে সে আমাদের থেকে বিদায় নিয়ে রওনা হয় গ্রামে যাওয়ার উদ্দেশ্য।

দুপুর

দুপুর ১ টার সময় আমাদের গাড়ি চলে আসে। আব্বু সাভার স্ট্যান্ড থেকে গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে আসে।
আর গাড়ি ভাড়ার স্টিম মূল্য হলো-

DestinationDistanceRent Price in bdtRent Price in Steem
Savar to Kushtia222km12000tk329.11Steem
1000013706.jpg

যাইহোক সব কিছু গুছিয়ে রম লক করে আমরা দুপুর ১.১০ মিনিটে গাড়িতে উঠে পরি। আর গাড়িতে উঠে গুগোল ম্যাপ ওপেন করে দেখি রাস্তার জানযটের কি অবস্থা।

তো গুগোল ম্যাপে দেখালো রাস্তায় তেমন কোনো জ্যাম নেই, আর সাভার থেকে কুষ্টিয়া আল্লারদর্গা বাজার পর্যন্ত ২২২ কিলোমিটার রাস্তা আসতে ৫ ঘন্টা ১১ মিনিট সময় লাগবে।যদিও সেই সময়ের আগেই পৌঁছে গিয়েছিলাম।

1000013707.jpg

সাভার থেকে রেডিও কলোনী পর্যন্ত যাওয়ার পরেই প্রচুর মাজা ব্যাথা করছিল, বসে থাকতে কষ্ট হচ্ছিল, তাই মেয়েদের ছোট খালা আর খালুর কোলে পেছনের সিটে দিয়ে আমি আম্মুর কোলে মাথা রেখে শুয়ে পরি। আর শোয়ার পরে একটু আরাম লাগছিল।

আম্মুর কোলে শুয়ে আমি ঘুমিয়ে পরেছিলাম আর একটু পরে ড্রাইভার এর জোরে করে একটা ব্রেক করাতে ঘুম ভেঙে যায়। তখন দেখলাম ঘড়িতে দুপুর ২.৩০ বাজে আর,আলহামদুলিল্লাহ দেড় ঘন্টার মধ্যে আমরা টাঙ্গাইল পার হলে এলেঙ্গা পৌঁছে গিয়েছিলাম। যেখানে সময় লাগে ৩ ঘন্টা।

1000013711.jpg
1000013717.jpg
যমুনা সেতু

1000013719.jpg

এরপর তিনটার সময় আমরা যমুনা সেতু বা বঙ্গবন্ধু সেতুতে উঠি, সেতুতে উঠার জন্য টোল নেয় ৬০০ টাকা আগে ৫০০ টাকা নিতো।

সম্পূর্ণ সেতু পার হতে সময় লাগে ৭ মিনিট ১৪ সেকেন্ড। আর এই সময় আমি সেতুর কিছু ফটোগ্রাফি করে নেই।
এবার যমুনার পানি শুকিয়ে গিয়েছে অনেকটা যেখানে যমুনা সব সময় পানিতে থৈ থৈ করে,এবার একদম চর পরে গিয়েছে।

বিকাল

যমুনা সেতুর পরের পরের রাস্তা গুলো ড্রাইভারের চিনতে অসুবিধা হচ্ছিলো তাই আমি গুগল ম্যাপ দেখে দেখে উনাকে ডিরেকশন দিচ্ছিলাম।

সিরাজগঞ্জ পার হয়ে চলন বিল এলাকায় এসে দেখি রাস্তার ধারে সারি সারি তরমুজ রেখেছে ক্ষেত থেকে উঠিয়ে আব্বু গাড়ি থামিয়ে ওখান থেকে তরমুজ কিনতে চেয়েছিল, কিন্তু খালু বললো এই তরমুজ গুলো নাকি ভালো হয় না তাই বর নেওয়া হয় নি।

1000013725.jpg
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

এরপর বনপাড়া, পাবনা পার হয়ে পৌছাই ঈশ্বরদী, তারপরে আমরা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ওপর দিয়ে যাই, আমি উল্টো পাশে বসে থাকার কারণে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তেমন কোনো ছবি তুলতে পারি নি,তবে ফেরার দিন অবশ্যই চেষ্টা করবো এর কিছু সুন্দর ফটোগ্রাফি করে আপনাদের সাথে উপস্থাপন করতে।

1000013732.jpg
1000013731.jpg
লালন শাহ্ সেতু

রূপপুর থেকে গাড়িতে ২ মিনিটের দূরত্বে আমরা লালন শাহ সেতুতে উঠি, আর এই সেতুতে টোল নেয় ১০০ টাকা। এই লালন শাহ সেতুটির নির্মাণকারী হলো চায়না মেজর ব্রীজ ইন্ঞ্জিনিয়ারিং কম্পানি।আর এই সেতুটা কিন্তু বাংলাদেশের তৃতীয় স্থান অধিকারী বৃহত্তম সড়ক সেতু।আর এই লালন শাহ সেতুর পাশেই হার্ডিঞ্জ ব্রীজ অবস্থিত।

1000013728.jpg
হার্ডিঞ্জ ব্রীজ

আর এই হার্ডিঞ্জ ব্রীজের বয়স ১০৯ বছর,আর এই সেতু তৈরিরে কাজ করেছে ২৪ হাজার শ্রমিক,আর সময় লেগেছে দীর্ঘ ৫ টা বছর।এই হার্ডিঞ্জ ব্রীজ এর আরও অনেক লম্বা ইতিহাস রয়েছে যা,আমি আপনাদের সাথে পরবর্তীতে কোনো এক পোস্ট আলোচনা করবো।

যাইহোক এরপরে বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটে আমরা আমাদের গ্রামে এসে পৌছাই। আমরা আগে আমাদের নানুর বাড়িতে উঠি,যেহেতু আমার নানু অনেক অসুস্থ তাই আগে সেখানেই উঠি।আর আসার সময় বাজার থেকে ফল মিষ্টি কিনে এনেছিলাম।

এরপরে ফ্রেশ হয়ে আমি একটু রেস্ট নেই।

সন্ধ্যা থেকে রাত

মাগরিবের আযান দিলে সবাই মিলে ইফতার করে নেই, আর ইফতারের পরে আমি শুয়ে পরি,মনে করেছিলাম একটু পরে উঠে চা খাবো,কিন্তু আমি ঘুমিয়ে পরেছিলাম। রাত নয়টার দিকে মেয়ের ডাকে ঘুম ভাঙ্গে। তখন উঠে রাতের খাবার খেয়ে নেই, অনেক ক্লান্ত লাগছিল তাই আর হাতে মেহেদী পরি নাই,আর ঘুমও আসছিল না,তাই শুয়ে শুয়ে একটা পোস্ট লিখে ঘুমিয়ে পরি।

আমার পোস্ট পড়ার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

প্রথমে আপনাকে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। ঈদের দিনের সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। এছাড়া ঈদের দিন শ্বশুর বাড়ি থেকে নানুর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। সারাদিন বেশ জার্নির মাঝে দিন পার করেছেন।

ঈদের দিনের সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।