Better Life With Steem ||The Diary Game ||11 June.

in hive-120823 •  11 months ago 
আসসালামু আলাইকুম।

কেমন আছেন আপনারা? আসলে এই গরমে কেমন আছি বলাটাও মুশকিল একদমই নাজেহাল অবস্থা।

অনেকদিন পরে কমিউনিটির জন্য পোস্ট লিখতে খুবই ভালো লাগছে। ইনশাআল্লাহ এখন থেকে নিয়মিত কাজ করবো কমিউনিটিতে।

1000016421.png

Edited by Canva.

অনেকদিন পরে আবারও আমি আজকে আপনাদের মাঝে আমার নতুন একটি দিনের গল্প উপস্থাপন করবো।


সকাল

গত সপ্তাহ থেকে বড় মেয়ের স্কুলে পরীক্ষা শুরু হয়েছে, তবে আজ ওর পরীক্ষা ছিল না,তাই মা, মেয়ে দুজনেই সকালে একটু দেরি করেই উঠেছি।

ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নেই। আর আম্মু সকালের নাস্তা তৈরি করে রেখেছিলেন, তাই তাড়াতাড়ি করে সকালের নাস্তা করে নেই, এবং নাস্তা শেষে ঔষধ খেয়ে নেই।

1000016385.jpg

এরপর আম্মু বাজারে যায় মাসের বাজার করতে, আগে আমিও যেতাম আম্মুর সাথে, কিন্তু এখন আর যাওয়া হয় না। আসলে বাজার করতে আমার খুবই ভালো লাগে, কিন্তু এখন প্রয়োজন ছাড়া বাসার বাহিরে একদমই যাওয়া হয় না।

যাই হোক আম্মু বাজারে গেলে আমি মেয়েদের খেলতে বসিয়ে দিয়ে, চুলে একটা তেল দিয়ে নেই। ইদানীং খুবই চুল পড়ছে, গরমে ভেজা চুল বেধে রাখার কারণে, তাই একটু চুলের যত্ন নিলাম আজকে।

1000016386.jpg

আমার বড় মেয়ে কিছুদিন আগে মেবাইলে দেখেছিলো যে, কমলা খাওয়ার পরে সেই বীজ শুকিয়ে মাঠিতে লাগিয়ে দিলে নাকি সেই থেকে চারা গাছ হয়। তাই সে বেশ কিছু দিন ধরেই কমলার বীজ সংরক্ষণ করে রেখেছে, এবং আজ বায়না করছে,সেই বীজ গুলো বপন করার জন্য।

মেয়ের ইচ্ছে পূরণ করার জন্য দুই মেয়েকে নিয়ে কাজে লেগে পরলাম, মাটি দিয়ে দুই মেয়ে বেশ ভালোই আনন্দ করছিল।

1000016387.jpg
1000016389.jpg

আর মেয়ের এই সব আবদার পূরণ করতে আমার বেশ ভালোই লাগে।কিছু হলেও ওরা শিখতে পারে এতে।

মেয়েদের সাথে খেলার ছলে কমলার সব গুলো বীজ বপন করে দেই। আর এদিকে তো আমার দুই মেয়ের সম্পূর্ণ শরীরে মাটি মেখে গিয়েছে, আর আমার ছোট মেয়েতো পাউডার মনে করে ইচ্ছে করেই বেশি করে মাটি মেখেছে শরীরে।

দুপুর

এরপরে আম্মু ওদের গোসল করিয়ে দেয়। ওদের গোসল হলে একটু পরে আমিও গোসল করে নেই। আর গোসল করার পরে প্রচন্ড ক্ষুধা পেয়ে যায় আমার তাই মেয়েদের আম্মুর কাছে খেতে দিয়ে আমি দুপুরের খাবার খেয়ে নেই।

1000016390.jpg

আজ দুপুরে একটু তাড়াতাড়ি ই খাবার খাওয়া হয়ে গিয়েছিল, আর অনেক ঘুম পাচ্ছিল, তাই ঘুমিয়ে পরি। আর আম্মু আমার ছোট মেয়েকে ঘুম পারিয়ে রেখে একটু মার্কেট এ যায় আমার ছোট খালার সাথে।

আমিও যেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আম্মু আমাকে সাথে নেই নি, কারণ বেশি হাটাহাটি করলে পরে সমস্যা বাড়বে। এরজন্য মনে করলাম গরমের মধ্যে বাহিরে না গিয়ে ঘুমানোই উত্তম হবে।

বিকাল

বিকাল ৫টা পর্যন্ত দুই মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম।
ঘুম থেকে উঠে বড় মেয়ের মুখ ধুইয়ে দিয়ে ওর চুল গুলো বেধে দেই। এই গরমে মেয়ের চুল কেটে ছোট করে দিতে চেয়েছিলাম,কিন্তু ওর বাবা এতে রাজি না, কারণ তার মেয়ের চুল গুলো তার অনেক পছন্দের।

1000016392.jpg

একটু পরেই আম্মু আর ছোট খালা মার্কেট থেকে চলে আসে,এবং আসার সময় আইসক্রিম নিয়ে আসে।এবং আমার চাচাতো বোনের জন্য এবং আমার জন্য জামা কিনে আনে।

1000016395.jpg

কোরবানির ঈদে কেন জানি জামা কাপড় কেনার জন্য তেমন এবং আনন্দ হয় না, যেমনটা রোজার ঈদে হয়, কোরবানির ঈদের আসল আনন্দটা থাকে কোরবানির পশু কেনাতে।

সন্ধ্যা

মেয়ের যেহেতু পরীক্ষা চলছে তাই সন্ধ্যার পরে ওকে পড়তে বসাই, আর আম্মু কিছু আমের তেল আচার করেছিল সেগুলো বয়ামে তুলে রাখি।

1000015871.jpg

এরপরে রাতের খাবার খেয়ে নেই,আর তারপরে ঔষধ গুলোও খেয়ে নেই।
এই গরমে দিনের বেলা তেমন একটা স্কিন কেয়ার করা হয় না, তাই ভাবলাম আজ রাতে একটু স্কিন কেয়ার করি।

1000016410.jpg

আর এরপরে পোস্ট লিখতে শুরু করি,কিন্তু রাতের ঔষধ গুলো খাওয়ার পরে বেশি একটা সময় জেগে থাকতে পারি না,আর এদিকে পোস্ট লিখতে লিখতে কারেন্ট ও চলে যায়,আর ইন্টারনেট সংযোগ না থাকার কারণে ঘুমিয়ে পরেছিলাম।
এইতো,এভাবেই একটি সাধারণ দিন অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে আমার।

আমার পোস্ট পড়ার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আজকে আপনি সারাদিনই কি কি করেছেন সে বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, এবং এই পোষ্টটি পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ,যে আপনি এত সুন্দর ভাবে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আজকের সারা দিন আপনি কি কি করেছেন তার সম্পর্কে আমাদেরকে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য এবং আপনার মন্তব্য দেওয়ার জন্য।

ঔষধ যেন সকলের জীবনের একটা সঙ্গী হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে সবাই কোনো না কোনো অসুস্থতায় ভুগছে আর তার জন্য ঔষধ খেতে হয়। সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা ও সাথে ঔষধ খেয়ে নিয়েছিলেন।

কমলা খাওয়ার পরে সেই বীজ শুকিয়ে মাঠিতে লাগিয়ে দিলে নাকি সেই থেকে চারা গাছ হয়।

এটা আমার জানা ছিলো না। আপনার মেয়ে বাসায় এটা করার চেষ্টা করেছে। যদি চারা বের হয় বীজ থেকে তাহলে আমাদের জানাবেন অবশ্যই। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন।