আসসালামু আলাইকুম। |
---|
কেমন আছেন আপনারা সকলে? অনেকদিন পরে হাজির হলাম।
আসলে দিন কাল খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। মন মানসিকতা ভালো নেই। যার জন্য কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
যাইহোক আজকে আমার সপ্তম বিবাহ বার্ষিকী তবে, আজকে ছোট মেয়েকে নিয়ে পরিবার থেকে অনেকটা দূরে অবস্থান করছি,তাই মনটা একটু খারাপ। তাই মন খারাপের দিন বাদ দিয়ে আজ আমি আপনাদের সাথে আমার আনন্দের একটি দিনের গল্প উপস্থাপন করবো।১১-ই এপ্রিল অর্থাৎ পবিত্র ঈদ-ঊল-ফিতরের দিনের গল্প উপস্থাপন করবো।
সকাল |
---|
ঈদের দিনের সকাল বেলায় এক অন্য ধরনের আনন্দ কাজ করে যার জন্য, অনেক সকাধরে ল করেই ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে, খালি পায়ে কিছু সময় বাড়ির পাশে হাটাহাটি করি। এরপরে সকাল আটটার দিকে সবাই ঈদের নামাজে চলে যায়। আর তখন সেমাই খেয়ে গোসল করতে যাই।
গোসল শেষে মেয়েদের কে ঈদের জামা পরিয়ে সাজিয়ে তৈরি করে দেই। এরপর আমি সকালের খাবার খেয়ে নেই। আমাদের গ্রামে ঈদের দিন সকালে খিচুড়ি আর মাংস রান্না করা হয়। আর ঈদের দিন সকালের এই খিচুড়ি আর মাংস খেয়ে অসাধারণ মজার হয়ে থাকে আমার কাছে।
খাওয়া দাওয়া শেষে আমিও একটু সাজুগুজু করে নেই। আর আমার মেয়েদের এবং আমার সব কাজিন ভাই বোনদের কে ঈদ সালামী দেই। আর এই সময়টা অনেক আনন্দের হয়ে থাকে।
দুপুর |
---|
দুপুরের দিকে আমি মেয়েদের কে নিয়ে ভ্যানে করে আমার দাদা বাড়িতে আসি। অবশ্য দাদা দাদী কেউ এখন নেই দুনিয়াতে তাই চাচার বাড়িতেই যাওয়া হয়৷ তারপরও দাদার বাড়ি বলতেও একটা শান্তি হয়
চাচার বাড়িতে আসার পরে আগে আব্বু,চাচা, চাচাতো ভাই ওদের সবার কাছ থেকে সালামি আদায় করি। আর আমার চাচাতো বোনকে আমি সালামী দেই।
সালামী পর্ব শেষে চাচী দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য বলে কিন্তু খেতে ইচ্ছা করছিল না,তাই চাচী জোর করে খাইয়ে দেয়। আমার চাচী আমাকে অনেক আদর করে এখন আমাকে মুখে তুলে খাইয়ে দেয়।
খাওয়া দাওয়া শেষে অনেক ক্লান্ত লাগছিল, আর জার্নি করাতে মাজা ব্যাথা বেড়ে গিয়েছিল। তাই শুয়ে ঘুমিয়ে পরেছিলাম।
সন্ধ্যা থেকে রাত |
---|
দুপুরে এমনই ঘুম দিয়েছিলাম যে কখন সন্ধ্যা হয়েছে টের পাই নি।
ঘুম থেকে উঠে একটু ফ্রেশ হয়ে নেই, এরপর দেখি সব চাচা এবং ফুপিরা আসছিল। বলতে গেলে অনেক বছর পরে এবার সবার সাথে দেখা হয়,খুবই ভালো লাগছিল। আর এবার সবার কাছ থেকেই সালামী পেয়েছিলাম।
আর আমাদের বংশটা অনেক বড় আশে পাশের তিনটা গ্রাম জুড়ে শুধু আমাদের মোল্লা বংশের।
যাই হোক অবেলায় ঘুমিয়ে মাথা য় ভালো লাগছিল না, চাচাতো বোনকে দিয়ে চা বানিয়ে খেয়ে নেই।
এরপরে সবার সাথে বসে গল্প করি,প্রায় দুই বছর পরে ঈদের দিনে এতো পরিমাণ আনন্দ করেছি।আসলে বাবার বাড়িতে নিজের বংশীয় মানুষদের সাথে ঈদ আরার আনন্দটাই অন্য রকমের।
রাতের খাবার খাওয়া শেষে চাচাতো বোনকে দিয়ে মাথা ম্যাসেজ করিয়ে নেই। আর গ্রামে এলে আমার চাচাতো বোন নাদিয়া আমার পার্সোনাল এসিস্ট্যান্ট এর মতো😀😀।
যাইহোক মাথা ম্যাসেজ শেষে আমি কমিউনিটিতে একটা পোস্ট করে ঘুমিয়ে পরি।
আর এই ছিল আমার ঈদের দিনের গল্প।
আজ আপনার সপ্তম বিবাহ বার্ষিকী এজন্য আপনাকে অনেক অভিনন্দন জানাই তবে আপনার মন খারাপ জেনে আমার খারাপ লাগলো। তারপরও আপনি মনের সকল মলিনতা দুর করে আমাদের মাঝে আপনার আনন্দঘন কিছু মুহুর্ত তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো।।
ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit