Better Life With Steem|| The Diary Game || 12th May.

in hive-120823 •  last year 

আসসালামু আলাইকুম।

হ্যালো বন্ধুগন কেমন আছেন আপনারা??

আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন।
আমার কাছে মনে হয়,আমাদের জীবনের কঠিন সময় গুলো সহজে পার হতে চায় না।এক একটা দিন অনেক বড় মনে হয়। আচ্ছা আপনাদের ও কি এমনটা মনে হয়?

1000015463.jpg

[Edited by Picsart]

যাইহোক এখন আসি মূল বিষয়ে,আজকে আপনাদের সাথে আমি গত পরশুদিনের ডায়েরি গেম পোস্ট শেয়ার করবো।

শুরু করছি তাহলে-

সকাল

দীর্ঘ একমাস গ্রামে থেকে বাসায় আসার পরে,শরীরটা কেমন যেন দূর্বল দূর্বল মনে হচ্ছে। আসলে গ্রামের মতো এমন প্রাকৃতিক বিশুদ্ধ হাওয়া শহরে কি আর আশা করা হয়? শহরে তো প্রায় সবই ভেজাল।

1000015438.jpg

যাইহোক সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে,ফ্রেশ হয়ে নেই। এরপর কিছু সময় ব্যায়াম করে, নাস্তা করে নেই।
বড় মেয়ে বায়না ধরেছে, আজ আমাকেই তাকে স্কুলে নিয়ে যেতে হবে,কারণ আমি অনেকদিন তাকে ছাড়া ছিলাম,এখন আমাকেই সব করতে হবে।

সকাল আটটা বিশে মেয়েকে স্কুলে দিয়ে আসি।স্কুল থেকে এসে, একটু বিশ্রাম করি।

দুপুর

দুপুর বেলা আম্মু খাসির মাংস বের করেছিল রান্না করার জন্য। তাই দেখে আব্বু আমাকে বললো খাসির কাচ্চি রান্না করতে, কিন্তু আমার অসুস্থতার জন্য আম্মু নিষেধ করে।

1000015437.jpg

যা-ই হোক না কেন। বাবা আমার হাতের রান্না কোন খাবার খেতে চেয়েছে, তাকে না খাওয়ানো পর্যন্ত তো আমার মনে শান্তি হবে না। তাই আমি আম্মু কে বলি, তুমি সব জোগাড় করে আনো আমি বসে বসে সব করে দিচ্ছি।
এরপরে আম্মু রান্নার জন্য সব কিছু হাতের কাছে এনে দিলে আমি কাচ্চি বিরিয়ানি রান্না বসিয়ে দেই।

রান্নার জন্য একটু বেশি সময় বসে এবং দাঁড়িয়ে থাকার কারণে, অনেক কষ্ট হচ্ছিল। যাইহোক এরপরে আমি গোসল করে আসি।
আম্মু সবাইকে খেতে দিয়ে দেয়। আর আমার ব্যাথা বেড়ে যাওয়ার কারণে আম্মু আমাকে খাইয়ে দেয়।

খাবার খাওয়ার পরে আব্বু যখন বললো,"মা অনেক মজা হয়েছে খেয়ে" এই কথা শুনে মনে অনেক শান্তি লাগছিল।

1000015433.jpg

খাবার খাওয়ার পরে মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছা করছিল, তখন মনে হলো হাসবেন্ড তো আমার জন্য চকলেট এনে রেখেছিল,তখন চকলেট খেয়ে একটু ঘুমিয়ে পরি।

বিকাল

বিকাল বেলা ঘুম ভাঙতেই, বিড়ালের ডাকের শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম। এদিক ওদিক খুঁজতেই দেখি যে, পাশের বাড়ির টিনের ওপর দুটি বিড়াল বসে আছে।

1000015434.jpg

বিড়াল দুটি দেখতে অনেক কিউট লাগছিল তাই একটি ফটো তুলে নেই।

সন্ধ্যা থেকে রাত

সন্ধ্যা বেলা মেয়েকে একটু আরবি পড়তে বসাই।
ও পড়ছিল আর আমি পাশে শুয়ে শুনছিলাম।মাশাআল্লাহ অনেক শান্তির মূহুর্ত ছিল এটা।

আমার বড় মেয়ে এখন অনেক সুন্দর করে সূরা পড়তে পারে,একদম প্রাণ জুড়িয়ে যায়।

1000015427.jpg

মেয়ের পড়া শেষে হঠাৎ ই মাথা ব্যাথা উঠে,আম্মু কে এই কথা বলতেই, সে আমাকে রাতের খাবার খাইয়ে দিয়ে, বললেন এবার ঔষধ গুলো খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তে।
এরপরে পানি গরম করে ব্যাগে নিয়ে, গরম সেঁক নিয়ে ঘুমিয়ে পরি রাত ৯টার দিকে।

1000015444.jpg

এভাবেই এখন এক এক দিন চলে যাচ্ছে, এই বছরে আমার অনেক ইচ্ছে ছিল,নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য, কিন্তু শারীরিক জটিলতার কারণে সম্ভব হলো না,,এই পেইনটা আমার মাথা থেকে পা পর্যন্ত যন্ত্রণা দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।

আমার পোস্ট পড়ার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আপনাকে অনেক অভিনন্দন জানাচ্ছি ফিরে আসার জন্য। গ্রাম থেকে ঢাকায় চলে এসেছেন কিন্তু এখন অবধি আপনি সম্পূর্ণ সুস্থ নন। তা সত্ত্বেও আপনার বাবার খেতে মন চেয়েছে তাই কাচ্চি বিরিয়ানি রান্না করে নিলেন।

এদিকে মেয়ের আবদারে ওকে স্কুলে দিয়ে আসলেন। তবে সন্ধ্যার পরে আপনার শরীরটা আবারও খারাপ হয়ে গেলো। তারপরে ও সব মিলিয়ে ভালোভাবে দিন কাটানোর চেষ্টা করেছেন।

ভালো লাগলে আপনার দিনলিপি পড়ে।

  • সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ব্যায়াম করেছিলেন এটা খুব ভালো বিষয়। নাস্তা শেষ করে মেয়েকে নিয়ে স্কুলে নিয়ে গিয়েছিলেন।

  • আপনি বিরিয়ানি রান্না করেছিলেন এবং সেটা সবার কাছেই পছন্দ হয়েছিলো। নিজের রান্নার প্রশংসা করলে সবারই খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।