আসসালামু আলাইকুম। |
---|
আজ পহেলা এপ্রিল। এই এপ্রিল মাসটা আমার জীবনের অনেক স্পেশাল একটা মাস।কেন সেটা সেই স্পেশাল দিনেই না হয় শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।
আজ আপাতত আজকের দিনের গল্পই আপনাদের সাথে শেয়ার করি চলেন।
সকাল |
---|
যেদিনই মনে করি সকাল বেলা একটু আরাম করে ঘুমাবো সেদিনই আমার আশার এক কলস ভরা পানি ঢালে আমার ছোট মেয়ে।
যেহেতু রোজার মাস চলছে ভোরে সেহরি করে,নামায পরে ঘুমাতে সকাল সকাল হয়েই যায়,আর যখনই ঘুমটা একটু গভীর হয়ে উঠে তখন ছোট মেয়েটা কেঁদে উঠে। তখন যে কি পরিমাণ মেজাজ খারাপ হয় কি আর বলবো।
যাইহোক কিছুই করার নেই, ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হই,এরপর মেয়েকে নাস্তা করিয়ে দেই। বড় মেয়ে এখন নিজেই খেতে পারে, তবে সেটা শুধু সকাল বেলার জন্যই।
ওরদের নাস্তা শেষে নিত্য দিনের মতো আমিও গোসল করে থেরাপি দিতে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে নেই।
দুপুর |
---|
আজ সকাল সকাল রেডি হলেও হাসপাতালে পৌঁছাতে বেশ অনেকটা সময় বিলম্ব হয়ে যায়।বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে গিয়ে পৌঁছাই হাসপাতালে।
থানা স্ট্যান্ড এর এই রাস্তাটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।
আর গিয়ে দেখি আমার আগে আরও দুইজন আছে।
বসে বসে অপেক্ষা করছিলাম,কিছুই আর করার ছিল না।বসে বসে রুগীদের সাথে গল্প করছিলাম।
আমাকে দেখে প্রায় রুগীই অবাক হন,সবারই বক্তব্য - এই অল্প বয়সেই মাজার সমস্যা!!
যাইহোক আধা ঘন্টা পরে আমার ডাক আসে।
থেরাপি দেওয়া শেষ হলে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে হাটতে থাকি।আর সামনেই আর এফ এল এর দোকান দেখাতে মনে হলো আমার কিছু জিনিস কেনার আছে।তাই আর এফ এল এর শো-রুমের ভেতরে চলে যাই,আর ভেতরে গিয়ে প্রথমেই ঘুরে ঘুরে দেখি,এরপর আমার প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে বেরিয়ে আসি।
ভেবেছিলাম হাঁটতে হাঁটতে বাসায় যাবো কিন্তু আজ প্রচন্ড রোদের তাপ ছিল,যার জন্য অনেক গরম পড়েছে, তাই রিক্সা করেই বাসায় চলে আসি।
আর বাসায় এসে ফ্রেশ হয়েই ঘুমিয়ে পরি।
বিকাল |
---|
বিকাল সাড়ে তিনটার দিক ঘুম থেকে উঠে পরি। আর তখন বড় মেয়ে বললো সে নুডুলস খাবে,তাই তার জন্য নুডুলস রান্না করে দেই।
এবারের এই ইফাদ এগি নুডুলসটা আমার কাছে বেশ ভালো লাগে রান্না করতে কারণ গরম পানিতে দেওয়ার সাথে সাথেই সেদ্ধ হয়ে যায়,যার কারণ একদমই ঝটপট রান্না করা যায়।আর মেয়েদের কাছে এই নুডুলসটার স্বাদটাও নাকি বেশ ভালোই লাগে।
নুডুলস রান্না শেষে আমার রুমে এসে কিছু সময় ব্যায়াম করি,আর ব্যায়াম করার সময় হঠাৎ করেই পায়ে টান লেগে অতিরিক্ত ব্যাথা শুরু হয়।
জীবনে আর জ্বালার শেষ নেই।
সন্ধ্যা থেকে রাত |
---|
ইফতারের সময় হলে ওযু করে নেই, আর আজকে সবার সাথে বসে ইফতার করতে পারি নি।আমাদের বাসায় সব সময় মেঝেতে বসে ইফতার করা হয়,কিন্তু আজ আমি নিচু হয়ে বসতে পারছিলাম না তাই আমার রুমে বসেই ইফতার করে নেই।
ইফতারের পরে প্রচন্ড গরম লাগছিল, মনে হচ্ছিলো আবারও গোসল করি। তাপমাত্রা কিন্তু তেমন বেশি ছিলো না গুগল এ দেখাচ্ছিলো ২৮°। কিন্তু তারপরও অনেক গরম লাগছিল।
একটু পরে দেখলাম যে,হাসবেন্ড আইসক্রিম নিয়ে এসেছে। আর আইসক্রিম খেয়ে ক্ষনিকের জন্য একটু স্বস্তি পেয়েছিলাম।
এরপরে কোনো রকমে একটু রাতের খাবার খেয়ে হট ওয়াটার ব্যাগ নিয়ে শুয়ে পরি, আর আজকের পোস্ট লিখতে শুরু করি।
আজ পোস্ট লিখতে অনেকটা সময় লেগে গেল কেন যেনো হাত আগাচ্ছে না।ঘড়িতে এখন রাত একটা।
পোস্ট করে ঘুমাতে আরও আধ ঘন্টা মতো লাগবে।
আর তার একটু পরেই আবার উঠা লাগবে।
তো আজ আর কথা না বাড়িয়ে এখানেই শেষ করছি।শুভ রাত্রি। আল্লাহ হাফেজ।
প্রত্যেকের জীবনে তার কাছে স্পেশাল কিছু দিন রয়েছে, আর এপ্রিল মাসটা আপনার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। নুডলস এর চেহারাটা তো খুব লাগছে। ঠিকই বলেছেন, জীবনে জ্বালার কোনো শেষ নেই, একটা রেখে আরেকটা পর্যায়ক্রমে আসতেই থাকে।
ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে অল্প বয়সে বর্তমান সময়ে এই রোগের পরিমাণটা অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমার নিজেরও কোমরের সমস্যা, উঠলে বসতে পারি না বসলে উঠতে পারিনা। এই সমস্যাটা নিয়ে আমিও ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করেছিলাম। আজকে এত পরিমাণে গরম পড়েছে। অনেক বেশি অস্থির হয়ে গেছি বিশেষ করে কাজ করতে করতে। আপনাদের অবস্থান নিশ্চয়ই আরো বেশি খারাপ হয়েছে। কেননা বাহিরে বের হতে হয়েছে, ধন্যবাদ ব্যস্তময় দিনের খানিকটা অংশ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি মনে হয় বিগত দিন থেকেই একটানা থেরাপি নিচ্ছেন। দোয়া করি আপনি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন। এছাড়া আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো।
সারাদিনের মুহূর্তগুলো তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit