Better Life With Steem || The Diary Game || 20 March.

in hive-120823 •  last year 

আসসালামু আলাইকুম।

কেমন আছেন সকলে?
আশা করছি সবাই অনেক অনেক ভালো আছেন।
প্রায় দশদিনের বিশাল এক কর্মবিরতির পরে আজ আপনাদের মাঝে আবারও হাজির হলাম।আসলে এটা অনেকটা মনের বিরুদ্ধে গিয়ে কর্মবিরতি দিতে হয়েছে। মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকতে খুবই কষ্ট হয় এখন।আর টাইপ করার সময় চোখে সবই এলোমেলো লাগে।

1000012897.png

যাইহোক এখন নিজেকে কিছুটা হলেও সামলাতে পারছি।আজ আমি আপনাদের সাথে আমার গত ২০ মার্চের সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করবো।
গত তিনদিন ধরে আমি পোস্ট টা লিখছি,কিন্তু এখন পর্যন্ত শেষ করতে পারলাম না।যেখানে একটা পোস্ট লিখতে আমার সর্বোচ্চ ৪০ মিনিট সময় লাগে।
যাইহোক আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করি।

সকাল

রমজান মাস আমাদের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস।এই সময় সারাদিন রোজা রাখাতে নিজের মনের মধ্যেও অনেক শান্তি অনুভব হয়।
তবে এই বছর সব রোজা রাখা সম্ভব হচ্ছে না তাই,অনেক কষ্ট লাগছে।

1000012549.jpg

তবে আজ অনেকটা জোর করেই রোজা ছিলাম।ভোর ৪টার সময় ঘুম থেকে উঠে,ফ্রেশ হয়ে ওজু করে সেহেরি করতে বসি।সাধারণ সেহেরি তে তেমন একটা খাওয়া যায় না।তবুও সারাদিন এনার্জি ধরে রাখার জন্য, একটু খাওয়া লাগে।
সেহেরি করে নামায পরে আবারও ঘুমিয়ে পরি।ঘুম থেকে উঠে বড় মেয়েকে স্কুলের জন্য রেডি করে দেই। আর আমার আম্মুর সাথে ওকে স্কুলে পাঠিয়ে দেই। মেয়েকে এখন স্কুলে দিয়ে আসতেও পারি না।আম্মু আব্বুই ওকে আনা নেওয়া করে।

দুপুর

দুপুর বেলা আজকে সি আর পি তে ফিজিওথেরাপি দেওয়ার জন্য সিরিয়াল দেওয়া ছিল।তাই এগারোটার মধ্যেই গোসল করে তৈরি হয়ে ছোট খালার সাথে সি আর পি তে যাই।
কিছু সময় সিরিয়ালে বসে থাকতে হয়।আর এই সময় টা খুবই খারাপ লাগে।আর আজ অনেক ভির ছিলো সি আর পি তে।

1000012736.jpg

আসলে আমাদের মনে হয়,হয়তো আমিই অসুস্থতায় কষ্ট পাচ্ছি, কিন্তু সি আর পি তে গেলে দেখা যায়,কত মানুষ কত রকমের ব্যাথা নিয়ে ভুগছে।
যাইহোক বেলা সাড়ে ১২ টায় আমার সিরিয়াল আসে।থেরাপি রুমে যাওয়ার পরে,থেরাপির ডাক্তার আমার সব রিপোর্ট দেখলেন,এবং আরও দুইজন ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে জানালেন,যে শুধু মাত্র ব্যাথা কমতেই নাকি প্রায় দুই থেকে তিন মাস সময় লাগবে।এটা শুনে কি রিএক্ট করবো বুঝতে পারলাম না।
এরপর থেরাপি দেওয়া শেষ করে,আমি খালার সাথে করে বাসায় চলে আসি।

বিকাল

প্রতি বছর রোজার সময় সব ধরনের ইফতার আমি তৈরি করি,কিন্তু এবছর একদিনও রান্নাঘরে যেতে পারলাম।তবে আজ খুব ইচ্ছে করছিল,ইফতার তৈরি করতে।
আম্মুকে বললে সে রাজি নয় আমাকে রান্না ঘরে যেতে দিতে,তবুও আমি চুলার পারে চেয়ার নিয়ে বসে বসে ইফতার গুলো বানিয়ে নেই।মনে যে কি পরিমাণ শান্তি লাগছিল বলে বোঝানোর মতো না।

1000012602.jpg
1000012605.jpg

ইফতার বানানোর সময় হাসবেন্ড অফিস থেকে চলে আসে,এবং আব্বুও চলে আসে।আমাকে রান্নাঘরে দেখে আব্বু অনেকটা রাগ করলো।

1000012606.jpg

মানে আমার নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হয় যে,আমার বাবা, মা, আমার হাসবেন্ড সবাই আমার এতোটা কেয়ার করে এটা দেখে।
কিন্তু এই বয়সে নিজের এই অবস্থা দেখে আমার নিজের মনে অনেকটা কষ্ট হয়।

সন্ধ্যা থেকে রাত

ইফতারের সময় হলে,ওজু করে এসে বসে পরি।এবং মাগরিবের আযান দিলে ইফতার করে রোজা পূর্ণ করি।আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো লাগছিল।

ইফতার করে নামায পরে কিছু সময় বিশ্রাম করি। আর ইফতারের পরে চা খাওয়ার খুবই ক্রেভিং হয়, তাই চা আম্মুকে বললে চা বানিয়ে দেয়।

1000012688.jpg

আটটার দিকে রাতের খাবার খেয়ে ঔষধ গুলো খেয়ে নেই।

1000011940.jpg

1000012696.jpg

1000011938.jpg

এবার রোজা এলো কিন্তু একদিনও মার্কেট করতে যেতে পারলাম না তাই,একটু মন খারাপ করছিলাম হাসবেন্ড এর সাথে।তার একটু পরেই দেখি সে একটা ব্যাগ আমার হাতে ধরিয়ে দিল।আর ব্যাগ টা খুলতেই অনেক অবাক হলাম।যে সে আমার জন্য ঈদের জামা কিনে এনেছে।

1000012692.jpg

আমার ছোট মেয়ের কান্ড দেখুন।🙄🙄

এরই মাঝে,আমাদের কমিউনিটিতে হ্যাং আউট শুরু হয়ে যায়।এবং হ্যাং আউটে আমাদের এডমিন দিদি আসার পরে অনেক ভালো লাগছিল।

1000012811.jpg

এবং এই হ্যাং আউট টা সব থেকে ভিন্ন এবং অনেক মজার ছিল।মানে বিগত এক সপ্তাহ পরে মনে হয় আমি অনেক হেসেছিলাম।
যাইহোক হ্যাং আউট শেষে বেশ ঘুম পাচ্ছিল তা ঘুমিয়ে পরি।
আর এভাবেই আমার দিনটি অতিবাহিত হয়েছিল।

আমার পোস্ট পড়ার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

একদম ঠিক বলেছেন, সেহেরি না খেলে সারাদিন খুব খারাপ লাগবেই। এজন্য সময় মত সেহেরি খেয়েছিলেন। আপনার মেয়ের কান্ড দেখে সত্যিই হাসি ধরে রাখতে পারলাম না। আজ আপনার ইফতারের আইটেমগুলো অনেক লোভনীয় ছিলো।।

ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য।

আমার ছোট মেয়ে সারাদিনই এমন কোনো না কোনো হাস্যকর কাজ করে থাকে।
অপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য।

রমজান মাসের সেহরি ও ইফতার সময়মতো করা খুবই জরুরী। ঈদে নতুন ড্রেস উপহার পেয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। অতঃপর রাতে হ্যাংআউটে অংশগ্রহণ করেছেন। তবে আমি এবারের অংশগ্রহণ করতে পারিনি।