Better Life With Steem || The Diary Game || 20th May.

in hive-120823 •  6 months ago 
আসসালামু আলাইকুম।

কেমন আছেন?
আশা করছি, সকলে সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।আজ আপনাদের সাথে আমার গতকালকের একটি সুন্দর দিনের গল্প শেয়ার করবো।

1000015671.png

[Photo Created By Canva]


সকাল

বর্তমানে যে কি আবহাওয়া চলছে,তা বোঝা বড় মুশকিল, এক বেলা ভেপসা গরম তো আর এক বেলা আকাশে মেঘের গর্জনে বৃষ্টির আনাগোনা শুরু হয়ে যায়। আর এই আবহাওয়ার কারণে এখন ঘরে ঘরে জ্বর, ঠান্ডা হচ্ছে।

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই দেখছি,গলার বারোটা বেজে গিয়েছে, গলা বসে কথা বের হচ্ছে না। খুবই বিরক্তিকর লাগে গলা বসে গেলে,নিজের গলার স্বর শুনতেই কেমন যেন ভয়ানক লাগে। যাইহোক ফ্রেশ হয়ে,গরম পানি দিয়ে গারগেল করে নিলাম।

1000015576.jpg

এরপর সকালের নাস্তা করে আদা চা করে খেয়ে নেই। সকাল বেলা আকাশ টা বেশ মেঘলা ছিল,সাথে প্রান জুড়ানো ঠান্ডা বাতাস। বারান্দায় বসে এই আবহাওয়া চা খেতে বেশ ভালোই লাগছিল।

1000015577.jpg
1000015579.jpg

সকালের খাওয়া দাওয়া শেষে যথারীতি ব্যায়াম করতে শুরু করি ত্রিশ মিনিটের মতো।

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

দুপুর

দুপুর বেলা মেয়েরা মেয়েরা পোলাও খেতে চাওয়ায় আম্মু পোলাও,ডিম ভুনা এবং মুরগির মাংস রান্না করেন।
এখন আমার ছোট মেয়েটাও নানান ধরনের খাবারের বায়না করতে শুরু করছে। আর আমার দুই মেয়েই ডিম খেতে অনেক পছন্দ করে, প্রতিদিনই তাদের খাবারে ডিম রাখতেই হবে।

1000015583.jpg

আম্মুর রান্না শেষ হলে আমি গোসল করে নেই, গোসল করার পরে খুবই ঘুম পাচ্ছিল তাই কোনো রকমে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরি।

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

বিকাল

বিকাল বেলা ঘুম থেকে উঠতেই দেখি,হাসবেন্ড অনেকবার কল দিয়েছিল, কিন্তু আমার ফোন সাইলেন্ট মুডে থাকার কারণে টের পাইনি।
সাথে সাথেই তাকে কল দিলে সে জানালো আধ ঘন্টার মধ্যেই জেন আমি বাসা থেকে বেরিয়ে পরি।কারণ ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া ছিল।

1000015515.jpg

আম্মু আমার সাথে আমার মেজ খালাকে নিয়ে যেতে বলেন,কিন্তু পরের দিন সকালে উনি বাড়ি চলে যাবেন তাই আর সাথে নেই নি। আমি একাই রেডি হয়ে বেরিয়ে পরি।
তাড়াহুড়ো করে বের হওয়ায় সাথে ছাতা নিতে ভুলে গিয়েছিলাম, রাস্তায় বেরিয়ে দেখি আকাশ আবারও মেঘলা হচ্ছে।

1000015585.jpg

যাইহোক রিকশা থেকে নেমে বাসে উঠে পরি,বাসে পেছনের সিটে বসার কারণে অনেক কষ্ট হচ্ছিল ঝাঁকিতে।
এরপর বিশ মিনিটের মধ্যে আমি বাইপেল স্ট্যান্ডে পৌঁছে যাই,এরপর সেখান থেকে রিকশা নিয়ে হাসপাতালে চলে যাই। এবং হাসপাতালে পৌঁছে হাসবেন্ড কে কল দিলে সে অফিস থেকে হাসপাতালে আসে,আর অফিসের পাশেই এই হাসপাতাল।

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

সন্ধ্যা ও রাত

মাগরিবের আযান পড়ার কারণে ডাক্তার নামাজে চলে যায়। এজন্য অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়।

এরপরে ডাক্তার নামাজ থেকে এলে আমার সিরিয়াল আসে। প্রায় অনেক সময় নিয়ে ডাক্তার সকল রিপোর্ট দেখলেন, কিন্তু ডাক্তার টার ব্যবহার অনেক রুড ছিল,যার কারণে কিছুটা রাগ হচ্ছিল। কিন্তু শুনেছি উনার কাছে নাকি অনেকেরই এই রোগ ভালো হয়েছে।

যাইহোক ডাক্তার দেখানো শেষে রিকশা নিয়ে বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাই,বাসার যাওয়ার উদ্দেশ্য। কিন্তু হাসবেন্ড ফুচকা খাওয়ার অফার দেয়,যেহেতু ঠান্ডা লেগেছে তাই তার অফারটা একসেপ্ট করি।

1000015587.jpg

এরপরে আমরা রিকশা করে পল্লী ফুড ভিলেজে যাই,এবং সেখানে একটা দোকানে বসি। কিন্তু সত্যি বলতে সেখানের ফুচকা,চটপটি আমাদের তেমন একটা ভালো লাগে নি।
এরপরে মুখের স্বাদটা একটু ঠিক করতে আমরা পাশের একটা চায়ের দোকানে বসি,এবং আমরা মালাই তান্দুরি চা অর্ডার করি, এবং চায়ের স্বাদটা অসাধারণ ছিল।

1000015589.jpg

অনেকক্ষণ বাহিরে থাকার কারণে প্রচুর মাজা ব্যাথা করছিল, তাই হাসবেন্ড উবার কল করতে চাইলো কারণ বাসে গেলে ঝাঁকি লাগবে বেশি।
কিন্তু যেহেতু প্রায় অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল তাই আমি উবার সেফ মনে করলাম না।
তাই বাসে করেই বাসায় চলে আসি।আর বাসায় এসে অনেক ক্লান্ত লাগছিল এবং অনেক ঘুম পাচ্ছিল তাই,ফ্রেশ হয়ে রাতের ঔষধ খেয়ে সাথে সাথে ঘুমিয়ে পরি,তাই আর গতকাল পোস্ট করা হয়ে উঠে নি।

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি, সকলে ভালো থাকবেন। শুভ রাত্রি। আল্লাহ হাফেজ।

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png


আমার পোস্ট পড়ার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPmPayXPfM22kXaj3xKw37oQ9tua3JfrnuMRWWqGHfhuyA1UYheY5qjiFbP3BW...JWNUaLb1UAxtVkvpEzFvrbCpiTVHr2qys8cnVHpyrfv38wVPMc1Luya71X8AzcNNuKjF1rHwqMTUWN8r39rGXHzGTLWtLUbqpNh6DHaWG6eK2zUkgnx8ShFKdg.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

TEAM 5

Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator08.

Curated by : @sduttaskitchen

Thank you so much ma'm for your support.

একদম ঠিক বলেছেন, এখন আবহাওয়ার কোনো ঠিক নেই। বিশেষ করে সকালের দিকে কাঠ ফাটা রোদ আর বিকালে গিয়ে তুমুল ঝড় আর বর্ষা দেখা দিচ্ছে। গলা বসে গেলে সেটা সত্যি খুব বিরক্তিকর, না যায় ঠিক মতো কথা বলা না গলা ব্যথার জন্য না যায় ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করা। আদা চা আমাদের জন্য খুব উপকারি। ফুচকা আর চটপটিগুলো দেখতে তো বেশ লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

Loading...

সাভার ঢাকার খুব কাছেই হলেও এখানে বৃষ্টি হতে দেখি না।বড়জোর আকাশ মেঘলা হয় এই পর্যন্তই। ইদানিং সেটাও হতে দেখি না।
কাশি হলে আাদা চা বেশ উপকারী। আর একটু কস্ট হলেও দিনে যতবার পানি খাবেন গরম পানি খাবেন। এতে বেশ উপকার পাওয়া যায়।

আপনার মেয়েদের আবদার মেটাতে আপনার মা আজকে পোলাও এবং ডিম ভুনা করেছিলেন।
মা পাশে থাকলে এই একটা সুবিধা, নিশ্চিন্তে থাকা যায় তার ওপর সবকিছু ছেড়ে দিয়ে।
আজকে আপনার ডাক্তার এর কাছে যাওয়ার অ্যাপোয়েন্টমেন্ট ছিল।
সেখান থেকে বের হয়ে চটপটি, ফুচকা এবং চা খান।
এরপর বাসায় চলে আসেন।
আপনার দিনলিপি পড়ে ভালো লাগলো। ভালো
থাকবেন সবসময়।

গলা বসে যাওয়া সত্যি অনেক বিরক্তকর একটা সমস্যা কারণ কথা বের হতে চায় না।। আমাদের এখানে কয়েক দিন হয় বৃষ্টির কোন সম্ভাবনাই দেখছি না এত বেশি গরম যে অনেক কষ্ট করতে হয়।।

আপনার মা ছেলেমেয়েদের জন্য পোলাও রান্না করেছে জেনে ভালো লাগলো।। আজকে হসপিটালে গিয়েছিলেন এবং ভাইয়াকে আসতে বলেছিলাম ভাইয়া ফুচকাও খাওয়ায় সবমিলিয়ে সুন্দর একটি দিন পার করেছেন।।

আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে মানুষের শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ছে বিশেষ করে ঠান্ডা জ্বর সর্দি ও কাশি এ চার প্রকার রোগের বিস্তার ঘটছে।

বাংলাদেশ ছয়টি ঋতুর দেশ বলেই এমন হয় মাঝে মাঝেই আবহাওয়ার সাথে খাপ খাওয়াতে না পারলে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য।

বর্তমান সময়ের আবহাওয়া বোঝা একেবারেই কঠিন। কখনো বৃষ্টি আবার কখনো প্রচন্ড গরম। কিন্তু আমাদের এখানে গত চার পাঁচ দিন যাবত অতিরিক্ত গরমে, মানুষের জীবনটা অতিষ্ঠ করে তুলেছে। যেটা কখনোই কাউকে বলে বোঝাতে পারবো না। তার পরেও কিছু করার নেই সব কিছু সৃষ্টি কর্তা করে থাকেন।

ছোট বাচ্চারা বর্তমান সময়ে অন্যান্য খাবারের চাইতে ডিম অনেক বেশি পছন্দ করে থাকে। আমার দুই ছেলে ও ডিম পছন্দ করে। একদমই ঠিক বলেছেন ছোট বাচ্চারা বিভিন্ন খাবারের বায়না ধরে। যেটা আসলে না দিলে তারা রাগারাগি করে। আপনাকে যেহেতু ডাক্তার দেখাতে হবে, তাই আপনার হাজবেন্ডের কথা অনুযায়ী বেরিয়ে পড়েছেন। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।