Better Life With Steem ||The Diary Game || 25th March.

in hive-120823 •  8 months ago 

আসসালামু আলাইকুম।

আবারও কিছুদিন পরে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম।আশা করছি সকলে মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালোই আছেন।
ইনশাআল্লাহ এখন থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো নিয়মিত পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আসলে একটা সময় আসে যখন ইচ্ছে থাকলেও অনেক কিছুই করে হয়ে উঠা হয় না।তবে আরেক দিকে মনের ওপর জোর দিয়ে চাইলে সব কিছুই সম্ভব হয়।এখন থেকে তা-ই করার চেষ্টা করবো।

1000013186.png

যাইহোক আমি আজকে আপনাদের সাথে আমার গত ২৫- শে মার্চের ডায়েরি গেম পোস্ট শেয়ার করবো।
তাহলে চলুন শুরু করি।

সকাল

আজও রোজা রাখার জন্য ভোর চারটার সময় ঘুম থেকে উঠে পরি।কিন্তু আম্মু আব্বু বারবার নিষেধ করছিল রোজা রাখার জন্য। কিন্তু এই মাসটা পেয়ে দিন গুলো মিস করতে ইচ্ছে করে না।তাই তাদের বুঝিয়ে আমি সাহরি করে নেই রোজা রাখার জন্য আলহামদুলিল্লাহ। এরপর ফজরের নামাজ পরে ঘুমিয়ে পরি।

এরপর সকাল আটটার সময় ঘুম থেকে উঠে, ফ্রেশ হয়ে গোসল করে নেই,কারণ আজ সকাল সাড়ে ৯ টার সময় থেরাপি দেওয়ার সিরিয়াল কাটা ছিল।আর একটু লেট হলেই একজনের পরের সিরিয়াল পাওয়া যায়।যার জন্য সকাল সকাল গোসল করে রেডি হয়ে ৯টার মধ্যেই ছোট খালার সাথে বাসা থেকে বেরিয়ে পরি।

আমি একাই যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু গতদিন থেরাপি দিতে গিয়ে সি আর পি এর ভেতরেই প্রচন্ড মাজা ব্যাথা উঠে মাথা ঘুরে পরে গিয়েছিলাম, ভ্যাগিস সেখানে আমার কিছু বন্ধু বান্ধবী ছিল,ওরা ওখানেই লেখা পড়া করে তাই ওরা আমাকে নিয়ে সুস্থ করে বাসায় দিয়ে যায়।

1000012592.jpg

যার জন্য এখন আর বাসা থেকে একা বের হতে দেয় না।
যাইহোক ৯টা বেজে ১৫ মিনিটে আমরা সি আর পি তে গিয়ে পৌঁছাই। হাতে আরও ১৫ মিনিট সময় ছিল।আর এই সময়টা একটু হাটাহাটি করি,আর সেখানে আমার এক বান্ধবীর সাথে দেখা হয় আর ওর সাথে কথা বলতে বলতেই সময় হয়ে যায় থেরাপি দেওয়ার।

আজ থেরাপি দেওয়ার শেষে ডাক্তার আপুকে বললাম এই ব্যাথা সহ্য করা আমার জন্য দিন দিন অসম্ভব হয়ে উঠছে,তো এখন অপারেশন করা সম্ভব কিনা? উত্তরে তিনি বললেন এখন কোনো ভাবেই অপারেশন করা সম্ভব নয়,কিন্তু শারীরিক জটিলতা আছে,তার জন্য ছয় মাস নিয়মিত ঔষধ আর থেরাপির ওপর থাকতে হবে,এরপরে আবারও টেস্ট করে তারপরে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে তার আগে নয়।

দুপুর

থেরাপি দেওয়া শেষে আমি আর খালা রিক্সা করে বাসায় আসার উদ্দেশ্য রওনা দেই,কিন্তু খালা বললো তার কিছু কসমেটিকস কেনার আছে তাই নিউ মার্কেট এ একটু নামবে,আর আমারও কিছু কসমেটিকস কেনার ছিল তাই আমরা দুজনে প্রয়োজনীয় কসমেটিকস কিনে বাসায় চলে আসি।

1000012878.jpg

আমার বড় মেয়েটার পাঁচদিন যাবত পক্স বের হয়েছে, কিছুই খেতে পারছে।কিন্তু আজ নাকি তার বিরিয়ানি খেতে ইচ্ছা হয়েছে, আর আমাকেই রান্না করে দিতে হবে।কি আর করার মেয়ের আবদার বলে কথা কষ্ট হলেও রান্না করতে হবে,তাই চেয়ারে বসে বসে রান্না করে দেই।আলহামদুলিল্লাহ মেয়ে তৃপ্তি করে খেয়েছিল,আর তাতে আমারও মন ভরে যায়।

1000012939.jpg

রান্না করতে একটানা বসে থেকে খুবই খারাপ লাগছিল তাই দুপুর সময়টা ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেই মেয়েদের নিয়ে।

বিকাল

বিকালে ঘুম থেকে উঠে নামাজ আদায় করে নেই। এরপরে রান্না ঘরে গিয়ে দেখি আম্মুর সব রান্না শেষ শুরু ইফতার ভাজা বাকি। আম্মুকে রেস্ট নিতে বলে আমি বসে বসে ইফতার গুলো ভেজে নেই।

1000012945.jpg

এরপর মুখ ধুয়ে ওযু করে ইফতার নিয়ে বসে পরি আযানের অপেক্ষায়। আর এই সময়টা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।

সন্ধ্যা থেকে রাত

ইফতারের পরে শরীরটা খুবই ক্লান্ত লাগে,তখন আর বিছানা ছেড়ে উঠতে ইচ্ছে করে না।কিন্তু যতই ক্লান্ত লাগুক না কেন ইফতারের পরে চা না খাওয়া পর্যন্ত শান্তি লাগে না।

1000012960.jpg

খানিক বাদেই আম্মু চা বানিয়ে ডাক দিলো।চা খেয়ে এরপরে কিছু সময় একটু ব্যায়াম করি।যদিও খুবই কষ্ট হয়,কিন্তু উপায় নেই। এরপরে রাতের খাবার খেয়ে ঔষধ খেয়ে ঘুমাতে চলে যাই।রাতের বেলা ঔষধ খাওয়ার পরে খুবই অস্বস্তি হয়,তাই চেষ্টা করি দ্রুতই ঘুমিয়ে পরার জন্য।

রাতে ঘুমানোর জন্য বিছানায় যাওয়ার পরে এখন নানান ধরনের চিন্তা মাথায় ঘোরে মনে হয় হয়তো,জীবনের শেষ সময়ের মূহুর্তে এসে পৌঁছিয়েছি।
যাইহোক আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।সবাই ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

আমার পোস্ট পড়ার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

মাজা ব্যথা সত্যিই খুব বাজে একটা জিনিস। যে এই সমস্যায় ভোগে সেই শুধুমাত্র জানে। আমার ঠাকুমার মাজায় ব্যথার সমস্যা ছিলো এবং সেজন্য প্রতিদিন ঔষধ খেতে হতো। তার ব্যাথা হয়ত পুরোপুরি অনুভব করতে না পারলেও কিছুটা অনুমান করতে পারতাম।

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।।।

এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক সুন্দর করে আপনার দিনলিপি তুলে ধরেছেন। মাজা ব্যথা খুবই বাজে একটি জিনিস। একবার হলেও সহজে ভালো হতে চায় না। আমার বড় আপুকে দেখেছি সমস্যা ভোগ করতে। এখনো প্রায় প্রতিদিনই তার মাজায় ব্যথায় কষ্ট পেতে হয়।

আপনার সারাদিনের কার্যলিপি পরে মনে হল খুব কর্মব্যস্ততার মাঝে দিন পার করেছেন।থেরাপি নেওয়ার জন্য আপনি থেরাপি সেন্টারে গিয়েছেন। সেখানে আপনার বান্ধবীরা পরিচিত ছিল এজন্য বেশি একটা অসুবিধা হয়নি। আসলে যেকোনো জায়গায় পরিচিত থাকলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়।

সারাদিনের মুহূর্তগুলো তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।