আসসালামু আলাইকুম। |
---|
কথায় আছে না, দুঃখের পরে জীবনে আসে সুখ,আর অনেক সময় সেই সুখ বেশিদিন স্থায়ী হয় না।আবারও সৃষ্টিকর্তা কোনো না না পরীক্ষার সম্মুখীন করে দেয়।অনেকটা সেই রকম পরিস্থিতি দিয়েই কাটছে এখন জীবন।
তবে জীবনে যতই বিপদ আসুক না কেন কাছের মানুষ গুলো যদি পাশে থাকে তাহলে মনবল অনেকটা বৃদ্ধি পায়।
অনেক এলোমেলো কথা বলে ফেললাম, কোনো ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
![]() |
---|
এখন আসি মূল বিষয়ে আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার ২৭ মার্চের দিনলিপি উপস্থাপন করবো।
সকাল |
---|
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠতে অনেকটা দেরি হয়েছে। ঘুম থেকে উঠেই ফ্রেশ হয়ে বাচ্চাদের সকালের নাস্তা করতে দেই।
আর এরপরে আমি আধ ঘন্টা মতো মেডিটেশন করে নেই। মেডিটেশন শেষে আমি গোসল করে তৈরি হয়ে নেই থেরাপি দিতে যাওয়ার জন্য। তবে আজকে সি আর পি তে যাবো না,কারণ সি আর পি থেকে থেরাপি দেওয়ার পরে স্পাইনাল এর ব্যাথা অতিরিক্ত পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছিল,গতকালকে অর্থাৎ ২৬ তারিখে ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে কথা বলে ইনজেকশন দিয়ে ব্যাথা নিয়ন্ত্রণ করতে হয়েছে,পরে ডাক্তার সাহেব অন্য একটা হাসপাতাল সাজেস্ট করে থেরাপি দেওয়ার জন্য।
তাই আজকে প্রাইম হাসপাতালে যাবো থেরাপি দিতে,আর প্রাইম হাসপাতাল আমার বাসা থেকে বেশ কাছেই। রিক্সায় গেলে ৩০ টাকা ভাড়া, দশ মিনিটের দূরত্ব আর হেঁটে গেলে প্রায় বিশ মিনিট লাগে।
![]() |
---|
সকাল দশটার দিকে আমি বাসা থেকে বেরিয়ে যাই,আর আমার বাসার সামনের রাস্তাটা খুব একটা ভালো না তাই হাইওয়ে পর্যন্ত পায়ে হেঁটে গিয়ে এরপরে রিক্সা নিয়ে প্রাইম হাসপাতাল পর্যন্ত যাই।এরপরে থেরাপির রিসিট কেটে ফিজিওথেরাপি রুমে চলে যাই এবং থেরাপি স্পেশালিষ্ট কে আমার রিপোর্ট ফাইল গুলো দেখাই এবং আপু সেই অনুযায়ী আমাকে কিছু ব্যায়াম করান এবং মেশিনের মাধ্যমে কিছু থেরাপি দেন।প্রথমে ব্যাথা হলেও পরে আস্তে আস্তে কিছুটা ভালো লাগছিল আলহামদুলিল্লাহ।
দুপুর |
---|
থেরাপি শেষ করতেই দুপুর বারোটা বেজে যায়। থেরাপি শেষ করে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে পরি।
![]() |
---|
এমন সময় গ্রাম থেকে আমার চাচাতো বোন কল দেয় এবং বললো ঈদে ওর জন্য কিছু মেক আপ কিনে দিতে,আর কথা বলতে বলতে একটা অথেনটিক মেক আপ শপ চোখে পরলো, তাই শপে গিয়ে নাদিয়া কে ভিডিও কল দিয়ে ওর প্রয়োজনীয় মেক আপ গুলো কিনে নেই। সে অনেক খুশি হয়।
![]() |
---|
ব্যাথার ঔষধ খেতে খেতে শরীর অনেকটা ফুলে গিয়েছে।
আর আমার যেতেতু কোনো নিজের ভাই বোন নেই তাই ওকে আমি আমার নিজের বোনের মতোই আদর করি।ওর খুশিতে আমার নিজেরও অনেক খুশি লাগে।
যাইহোক এরপরে রিক্সায় করে বাসাই চলে যাই।বাসায় এসে দেখি ছোট খালা বাসায় এসেছে।আর আমার জন্য ঈদের গিফট এনেছে।এবার একদিনের জন্যও মার্কেট এ যেতে পারলাম না,তাই সবাই নিজ থেকে কিনে এনে আমাকে সান্ত্বনা দিচ্ছে আর কি।
খালা আমার মেয়েদের ও দুপুরের খাবার খাইয়ে ঘুম পারিয়ে দিয়েছিল।যার জন্য আমার আর কোনো কাজ করতে হয় নি।
আর যেহেতু আমি নিয়মিত ঘুমের ঔষধ খাই তাই সারাদিনই ঘুমে ঝুমতে থাকি,তাই আমিও মেয়েদের পাশে গিয়ে শুয়ে পরি।
বিকাল |
---|
বিকালবেলা ঘুৃম থেকে উঠতে দেরি হওয়াতে আম্মু আজ আর আমাকে না ডেকে সে নিজেই সব ইফতারি বানিয়ে নিয়েছে।
![]() |
---|
যার কারণে আমার আর তেমন কাজ ছিল না,তাই আমি শরবত বানিয়ে নেই। রমজান মাস আসলেই ছোট থেকেই আমার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল ইফতারের শরবত বানানো।
একটু পরেই আব্বু আর আমার হাসবেন্ড বাসায় এলে আসে।আর আব্বু আমার পছন্দের সন্দেশ নিয়ে আসে।
এরপরে ইফতারের সময় হলে সবাই একত্রে ইফতারে বসে পরি।
সন্ধ্যা থেকে রাত |
---|
সন্ধ্যার পরে মনটা একটু খারাপ লাগছিল।হাসবেন্ড কে বললাম শপিং করতে নিয়ে যেতে।যতোই সবাই কিনে এনে দিক না কেন এই ঈদের সময় নিজে শপিং মলে গিয়ে না কেনা কাটা করলে ঈদের আনন্দটা সঠিক উপভোগ করা যায় না।
![]() |
---|
সে তো কোনো ভাবেই নিবে না,অনেকবার বলার পরে রাজি হয়।আমিও কোনো করমে রেডি হয়ে নেই,আর বাইক নিয়ে নিউ মার্কেট এ যাই।বাইকে গিয়ে বেশ অনেকটা আরাম পেয়েছি তেমন একটা ঝাকি লাগে নি।
আমার যেহেতু ড্রেস কেনাই হয়েছে তাই আমি আর ড্রেস না নিয়ে একটা ব্যাগ কিনি। আর হাসবেন্ড এর জন্য ঈদের শপিং করি।এইবার ছেলেদের পাঞ্জাবি, জুতার অনেক দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
![]() |
---|
খুব বেশি একটা ঘোরাঘুরি না করে, তাড়াতাড়ি করেই আমরা শপিং করে বাসায় চলে আসি।আর বাসায় এসে দ্রুত খাওয়া দাওয়া করে, ঔষধ খেয়ে কমিউনিটির টিউটোরিয়াল ক্লাসে জয়েন করি।আর ক্লাসে নতুন কিছু সদস্যের সাথে পরিচিত হই এবং তাদের সম্পর্কে জেনে বেশ ভালোই লাগছিল।
ক্লাস শেষে মোবাইল চার্জে দিয়ে, আল্লাহর নাম স্মরণ করতে করতে ঘুমিয়ে পরি।
মানুষের কখন যে কি হয় সেটা বোঝা বড় দায়। হাজারও সতর্কতার মাঝেও শরীর অনেক সময় দুর্বল হয়ে পড়ে। আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝলাম যে আপনার শরীর বেশ অসুস্থ এজন্য ডাক্তার দেখিয়েছিলেন। ডাক্তার আপনাকে নিয়মমাফিক থেরাপি নিতে বলেছেন। আশা করি, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
ভালো থাকবেন।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু দিনটি আপনি ডাক্তার দেখানো শপিং ও কর্মব্যস্ততার মধ্য দিয়ে কাটিয়েছেন। আপু আপনার সুস্থতা কামনা করছি আপনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন সেই দোয়া করছি। মানুষের জীবনে সমস্যা থাকবে কেউ সমস্যার বিপরীতে নয়। বুদ্ধি দিয়ে এবং মনের জোর দিয়ে সকল সমস্যার সমাধান করতে হবে।
ভালো থাকবেন আপু ধন্যবাদ দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুস্থতা সৃষ্টিকর্তার দেওয়া অন্যতম নেয়ামত। অসুস্থ থাকলে এই কথাটির মূল্য বোঝা যায়। ব্যথার ওষুধে অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় তাই শরীর ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সৃষ্টিকর্তা আপনাকে খুব দ্রুত সুস্থ করে দিক সেই দোয়া করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক সুন্দর করে আপনার দিনলিপি তুলে ধরেছেন। আসলে থেরাপি বিষয়টা খুবই সেনসিটিভ। ঠিকমতো দিতে না পারলে উপকারের পরিবর্তে অপকার বেশি হয়। সাবধানতা অবলম্বন করবেন। আশা করছি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে মানুষের বিপদ কখন আসে তা বলে আসে না। দুঃখের পরে সুখ মিলে। তবে এই সুখ আবার কারো কাছে বেশিক্ষণ থাকে না খানিক সময়ের জন্য আসে। আপনি এর আগে যেখানে গিয়ে থেরাপি দিয়েছিলেন। সেখানে ডাক্তার করতে না বলে অন্য জায়গার জন্য সাজেস্ট করেছে। আপনার বিগত পোস্ট পরেও জানতে পেরেছি আপনি অনেক অসুস্থ। দোয়া করি আপনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit