Better Life With Steem || The Diary Game || 5th April.

in hive-120823 •  last year 

আসসালামু আলাইকুম।

প্রথমেই কমিউনিটির সকল সদস্যদের কুশল জানতে চাই কেমন আছেন সকলে?
গতকালকে সারাদিন কিছুটা ব্যস্ততার মধ্যে ছিলাম,আবার গতকালকে রাতটা আমাদের সকল মুসলিমদের জন্য অনেক পবিত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদতের রাত ছিল যার কারণে পোস্ট লেখা সম্পূর্ণ করতে পারি নি,অর্ধেক লেখার পরে আর সময় হয় নি,আজ পোস্টটি সম্পূর্ণ করে আপনাদের মধ্যে উপস্থাপন করবো।

1000013625.png

আমি আপনাদের সাথে আমার গত ৫-ই এপ্রিল এর সারাদিনের দিনলিপি উপস্থাপন করবো এখন।

সকাল

রমজান মাসে সকালের দিকে তেমন কোনো একটা ব্যস্ততা থাকে না।যার কারণে সকালের দিকে একটু নিশ্চিন্তে ঘুমানো যায়।

ঈদের আগে শেষ শুক্রবার হওয়ার কারণে হাসবেন্ড এর অফিস খোলা ছিল। সেহরির ১ঘন্টা পরে সে অফিস চলে গেলে দরজা লক করে এসে আমি ঘুমিয়ে পরি আর এরপরে ৯টার সময় ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিনের মতো গোসল করে নেই,এরপরে বড় মেয়েকে ও গোসল করিয়ে নেই। কারণ আজ ওকে সাথে করে নিয়ে যাবো।

1000013565.jpg

যেহেতু শুক্রবার তাই থেরাপিতে আজকে অনেক রুগী হয়,তাই আজ সকাল ১০টার সময় ই বেরিয়ে পরি আমরা মা মেয়ে। রিক্সায় উঠার পরে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি হচ্ছিল, বেশ ভালোই লাগছিল।

সাড়ে দশটার একটু আগেই পৌঁছে গিয়েছিলাম, আর ভাগ্যক্রমে আমিও প্রথমে পৌছাই, তাই যাওয়ার সাথে সাথেই আমাকে থেরাপি মেশিনে দেওয়া হয়,আজ বেশ ব্যাথা করছিল থেরাপি তে।

দুপুর

দুপুর বারোটার দিকে আমার থেরাপি দেওয়া শেষ হলে, আমি আমার মেয়েকে নিয়ে একটু শপিংয়ে যাই।আজ মূলত মেয়েদের শপিং করবো তাই ওকে সাথেই নিয়ে এসেছিলাম।

1000013566.jpg
1000013366.jpg

আসলে এখন নিজের থেকে বাচ্চাদের জন্য শপিং করতেই বেশি বেশি আনন্দ হয়,মনে হয় আমার একটু কম হলেও চলবে,কিন্তু ওদের সব কিছু ঠিকঠাক হতে হবে।

যাইহোক মেয়েদের জন্য কিছু গরমের জন্য টি শার্ট কিনি,এরপরে বাসায়র উদ্দেশ্যে রওনা দেই, কিন্তু মেয়ে বলে তাকে নাকি আরও কিছু সাজার জিনিস কিনে দিতে হবে।এদিকে আবার অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছিল তাই ওকে বুঝিয়ে বাসায় নিয়ে আসি।

1000013569.jpg

বাসায় এসে খুবই গরম লাগছিল। কারণ ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি হয়ে আরও বেশি গরম পরেছিল।
খুবই ক্লান্ত লাগছিল,সাথে প্রচন্ড মাথা ব্যাথা তাই একটু বিশ্রাম নিয়ে নেই।

বিকাল

এমনই ঘুম দিয়েছি উঠে দেখি ঘড়ির কাটায় বিকাল সাড়ে পাঁচটা, আর এদিকে দেখি হাসবেন্ড বাসায় এসে গেস্ট রুমে শুয়ে আছে।আসলে আমি দুপুর বেলা আমার রুম লক করে ঘুমাই,তাই সে বাসায় এসে আর আমাকে ডাকে নি।

1000013367.jpg

আর আমার আম্মুও আজ আমাকে ঘুম থেকে না ডেকে সেই রান্না শেষ করে ইফতারি বানিয়ে রেখেছে।
আমি ঘুমিয়ে থাকলে আমার বাসার কেউই আমাকে ঘুম থেকে জাগায় না।আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ মহান আল্লাহ তাআলা আমাকে এমন একটা কেয়ারিং পরিবার দিয়েছেন।

যাইহোক এরপর আমি ইফতার গুলো গুছিয়ে দেই।

সন্ধ্যা থেকে রাত

ইফতারের পরে বড় মেয়ে বায়না ধরে তাকে আবারও মার্কেট এ নিয়ে যেতে হবে,তার চুলের ব্যান্ড, হাতের চুড়ি এগুলো কিনে দিতে হবে।একটুও ইচ্ছে করছিল না যেতে।কিন্তু তার বাবাকে সে মূহুর্তেই ঘায়েল করে ফেলে তাই ইমোশনাল কথায়।

1000013572.jpg

যাইহোক বাধ্য হয়ে যেতে হলো।ভাইরে ভাই শুক্রবার দিন রাস্তায় এতো পরিমাণ ভিড় ছিল কি আর বলবো, সবাই-ই লাস্ট মোমেন্টের শপিং এ ব্যস্ত, রাস্তায় হাঁটার মতোও জায়গা ছিল না।

কোনো রকমে মেয়ের জন্য শপিং করেই বাসায় চলে এসেছি।আর বাসায় এসে মেয়ে আমার মহা খুশি তার সব শপিং শেষ সেই খুশিতে বাপ মেয়ে মিলে শরবত বানিয়ে খাইয়েছে আমাকে।

1000013376.jpg

এরপরে কোনো রকমে রাতের খাবার খেয়ে নেই আর ঔষধ গুলো খেয়ে ঘুমিয়ে পরি।ইদানীং প্রচুর ঘুম পায় আমার আর না ঘুমিয়ে ঘুম কাটিয়ে দিলে শরীরে খুবই অশান্তি অনুভব হয়।

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি; সৃষ্টিকর্তা আপনাদের সবাইকে সুস্থ রাখুন এই প্রার্থনা জানিয়ে এখানেই শেষ করছি।আল্লাহ হাফেজ।

আমার পোস্ট পড়ার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আজকের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিটা হয়ে খুব ভালো হয়েছে। মারাত্মক রকমের গরম পরেছিলো এই কদিন।সেখান থেকে রেহাই পাওয়া গেছে কিছুটা হলেও।
শপিং করাটা বোধহয় সব মেয়েদেরই নেশার মতো সুযোগ পেলেই কেনাকাটা শুরু করে দেয়।
তবে একটা সময় নিজের চেয়ে বাচচাদের জিনিস কিনতে ভালো লাগে, এটা আমারও হয়।
সবাই ঈদের কেনাকাটা করছে তাই এতো জ্যাম।আমিতো ভয়ে ধানমন্ডির বাইরেই যাই না প্রয়োজন ছাড়া।
আপনার দিনলিপি পড়ে ভালো লাগলো।
ভালো এবং সুস্থ থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

Loading...

এটার মধ্যে মা-বাবা সন্তানদেরকে শপিং করে দেওয়া অন্যরকম একটি মজা। যদিও মা-বাবা কম শপিং করে সন্তানদেরকে বেশি শপিং করে দেয় তাও সন্তানদের আবদার সম্পূর্ণ পূরণ করেন মা বাবা। দোয়া করি আপনার পরিবার আরো সুন্দর কিয়ারিং হয়ে উঠুক। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন

ঈদের ছুটির জন্য এরকম অনেক অফিসেই ঈদের আগের শুক্রবার কাজ করিয়ে নিয়েছে। এরকমটা আপনার হাজবেন্ডের ও করেছে। আপনার মেয়েকে নিয়ে ঈদের শপিং করতে গিয়েছেন।

সুন্দর একটি দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।