Better Life With Steem || The Diary Game || 7th March.

in hive-120823 •  8 months ago 

Hello Everyone!!

জীবনের এমন একটা পর্যায়ে এসে দাড়িয়ে আছি,যেখানে প্রতিদিন নতুন নতুন অভিযোগ তৈরি হচ্ছে, নিজের প্রতি। কিন্তু সেই অভিযোগ গুলো না যায় কাউকে বলা না যায় মনে মনে ধারণ করা।তারপরও জীবনের প্রতি সমস্ত ক্ষোভ, সমস্ত অভিযোগ মনের মাঝে পুশে রাখতে হচ্ছে। আর এভাবেই চলছে জীবন।
একটা সময় যখন নতুন নতুন মনে আবেগের সৃষ্টি হতে শুরু হয়েছিল তখন,মনের মাধুরি দিয়ে সেই আাবেগ গুলোকে কাগজে কলমে ডায়েরি বন্দী করে লিখে রাখতাম। আর এখন হয়তো সেই আবেগ গুলোতে ততটা মাধুরি নেই তবে যতটাই আছে তা এখন আমার স্টিমিট একাউন্টে লিখা হয়।আর এটা এখন অনেকটা নেশার মতো হয়ে গিয়েছে আমার কাছে।

সকাল

সকালের শুরুটা সেই পুরানো ধারাতেই হয়েছে। ঘুম থেকে উঠা,নাস্তা বানানো, হাসবেন্ড কে সময় মতো নাস্তা দিয়ে হাসি মুখে বিদায় জানানো। যা হয়ে আসছে বিগত সাতটি বছর ধরে।
স্বামী মহাশয় বিদায় নিতেই, পেছন ফিরে দেখি ছোট মেয়েটা ঘুম থেকে একাই বিছানা থেকে নেমে,ঘুম ঘুম চোখে দাঁড়িয়ে ওড়নার আচল ধরে টানছে।তাকে দেখে খানিকটা বিরক্ত হলাম। কারণ ঘড়ির কাটায় সময় তখন সকাল ৬টা ৫০।এতো সকালে তার ঘুম থেকে উঠা মানে আমার সকল কাজের দফা রফা হওয়া। যাইহোক তাকে কোলে নিয়ে একটু আদর করে নাস্তা করিয়ে দিলাম,যাতে তার পেট ঠান্ডা হয়ে মাথাটাও ঠান্ডা থাকে।
খানিক বাদে বড় মেয়ে ঘুম থেকে উঠলে আম্মু তাকে ফ্রেশ করে দিয়ে স্কুলের জন্য তৈরি করে দেয়,আর আমি সময় মতো তাকে স্কুলে রেখে আসি।

1000012169.jpg

আজ সকালে সুন্দর একটা ঠান্ডা হাওয়া অনুভব হচ্ছিল, যা আমার কাছে খুবই ভালো লাগছিল। বাহির থেকে হাওয়া খেয়ে বাসায় এসে নাস্তা খেয়ে নেই। খাওয়া দাওয়া শেষ করে মোবাইল টা হাতে নিয়েছিলাম স্টিমিট একাউন্টে ঢু মেরে কিছু কমেন্ট করার জন্য। আর এই সময়ই পাশের ঘর থেকে ছোট মেয়ের কান্নার আওয়াজ শুনে,তার কাছে গিয়ে থামানোর চেষ্টা করলাম।কিন্তু তার কান্না আর জেদ কিছুতেই কমছিল না।সকাল ১১টায় মেয়েকে স্কুল থেকে বাসায় নিয়ে আসি।

দুপুর

ছোট মেয়েটা সেই সকাল থেকে কান্না শুরু করেছে,কিন্তু এদিকে দুপুর হতে এলো তার থাকার নাম নেই। এত পরিমাণ রাগ হচ্ছিল যা বলে বোঝানোর মতো না।রাগের মাথায় মেয়েকে দুইটা মাইর ও দিয়ে বসেছিলাম।
আমার ছোট মেয়েটা অনেক জেদি এইটুকু মেয়ে সারাদিনে আমাকে পাগল বানিয়ে রাখে।সারাদিন ওর চিল্লানোর শব্দ আমার কাছে এখন কোনো ধরনের শব্দ ভালো লাগে না,এমনকি মোবাইলে যে কারো সাথে কথা বলবো সেই শব্দটাও আমি নিতে পারি না।যেহেতু আমার ব্রেইনে ছোট্ট একটা সিস্ট আছে যার কারণে আরও বেশি কষ্ট হয়।
যাইহোক মেয়েকে থাকাতে ব্যর্থ হয়ে আমি রান্না করতে রান্নাঘরে চলে যাই,আর নিজের পছন্দের কিছু খাবার রান্না করি আজকে।

1000012174.jpg

1000012173.jpg

1000012172.jpg

1000012171.jpg

আজকে দুপুরে আমি আমার পছন্দের মাছের তেল ভুনা করেছিলাম। মাছের তেল ভুনা করলে আমার আর কিছুই লাগেনা ভাত খেতে সেদিন। আরও রান্না করেছিলাম ইলিশের পাতলা ঝোল আর টমেটো দিয়ে মসুর ডাল ভুনা আর পাতা কপি ভাজি।
রান্না শেষে আমি গোসল করে দুপুরের খাবার খেয়ে নেই। আজ অনেক চেষ্টা করেও ছোট মেয়েকে দুপুরে ঘুম পারাতে পারি নি,কিন্তু বড়টা সহজেই ঘুমিয়ে পরেছে।
এরপরে আমি অনলাইন একটা পেইজ থেকে আমার জন্য কিছু স্কিন কেয়ার প্রডাক্ট অর্ডার করি।

1000012183.jpg

সন্ধ্যা থেকে রাত

হঠাৎ করেই আজ সকাল থেকে সম্পূর্ণ শরীর ব্যাথা হয়ে জ্বর এসেছিল আমার।আর সন্ধ্যায় আরও খারাপ লাগছিল, ঝাল কিছু খেতে ইচ্ছা করেছিল,তাই বেগুনি আনিয়ে খেয়েছিলাম, এরপরে এক কাপ কফি করে খাই,আর বড় মেয়েকে লিখতে বসাই।সন্ধ্যা ভেবেছিলাম এবার অনন্ত স্টিমিটে কিছু কমেন্ট করবো,কিন্তু মেয়ের অত্যাচারে তখনও সম্ভব হলো না।

1000012185.jpg

ওর বাবা আসলে দ্রুত ছোট মেয়েকে রাতের খাবার খাইয়ে ঘুম পারানোর চেষ্টা করি।অনেক রাগ হচ্ছিল আমার কারণ ওর জন্য আমি একটা সপ্তাহেও কমিউনিটিতে সময় দিতে পারছি না সময় মতো।আর এখন আর রাতও জাগতে পারি না,কারণ ২৫ পাওয়ার এর ঘুমের ঔষধ খেয়ে রাতে চোখে সর্ষের ফুল দেখি।

1000012186.jpg

ছোট মেয়েটা ঘুমালে বড় মেয়েকে ঘুম পারাই।ওরা ঘুমালে ওদের নিষ্পাপ মুখ গুলো দেখতে সারাদিনের সব রাগ পানি হয়ে যায়। কিন্তু দিন শেষে নিজের কাছে খুবই খারাপ লাগে নিজের কাজের জায়গাটায় পর্যাপ্ত সময় দিতে না পারার কারণে।

যাইহোক আজ মনের অনেক অভিযোগ গুলো উগলে দিলাম।আপনাদের কারো কাছে কোনো উপায় জানা থাকলে আমাকে দয়া করে জানাবেন যে,বাচ্চাদের অতিরিক্ত জেদ কমানোর জন্য। সত্যি বলতে আমার আর আমার মা সারাদিন ওকে সামলাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। আর বাচ্চা এতো কান্না করলে নিজেদের কাছেও খুবই খারাপ লাগে।
অনেক বড় হয়ে গেল আজকের লেখাটা আর বড় করবো না,আজ এখানেই শেষ করছি।সবাই ভালো থাকবেন।

আমার পোস্ট পড়ার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপু আপনার দিনলিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুনে ভালো লাগলো আপনার মনের সকল আবেগ এখন স্টিমিট প্লাটফর্মে আমাদের সাথে শেয়ার করে থাকেন। এটি ভালো কথা, কিন্তু নিজের মনের মধ্যে ক্ষোভ পুষে রাখা ঠিক নয়। যেকোন বিষয়ে সবসময় কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করতে হয়। কেননা পুষে রাখা ক্ষোভ একসময় গিয়ে ভয়ংকর ভাবে যন্ত্রনা দেয়। যা হয়তো অনেকে সহ্য করতে পারে না।

দিনলিপিটি পড়ে ভালো লাগলো। আপনাদের সকলের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।

Loading...

সংসারের দায়িত্ব কাধে থাকলে এমন কিছু কাজ আছে যেগুলো প্রতিদিনই বারবার করতে হয়। আর দেখলাম যে আপনিও সেগুলো দায়িত্বসহকারেই পালন করেন। বর্তমানে সকালে বেশ ভালোই ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে। সন্ধ্যার সময় আবার বেগুনিও খেয়েছিলেন। ভালো ভাবেই আপনার কার্যক্রম তুলে ধরেছেন।

ধন্যবাদ আপনাকে।।।

Posted using SteemPro Mobile

আমাদের জীবনের প্রত্যেকটা সময় কখনোই একরকম যায় না। মানুষের জীবনে প্রথম যখন ভালোবাসা আসে, তখন আবেগ আসে। যখন ধীরে ধীরে একটু একটু করে ভালবাসার পথে এগিয়ে চলতে হয়। তখন অনেকটা আবেগ মনে হয় কমে যায়, আপনার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে।

আপনার ব্রেন একটু সমস্যা আছে। তাই এখন মনে হয় একটু সমস্যা হচ্ছে কারো কথা শুনতে। তবে একটু ধৈর্য ধারণ করুন ইনশাআল্লাহ অবশ্যই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

আপনার আজকের দিনের কার্যক্রমটি পরিবেশ ভালো লাগলো মজার মজার খাবার এবং খুব সুন্দর একটি দিন কেটেছে আপনার।। বেগুনি গুলো দেখে তো লোভ লেগে যাওয়ার মত অবস্থা আমার ধন্যবাদ আপনাকে।।