আসসালামু আলাইকুম। |
---|
গত দুইটা দিন অনেক অনেক ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে সময় কাটাচ্ছি।এই সবে মাত্র সব কাজ শেষ করে মোবাইল হাতে নিয়ে বসলাম পোস্ট লিখার জন্য।
![]() |
---|
তার আগে বলুন আপনারা সকলে কেমম আছেন? আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। তাহলে চলুন আপনাদের সাথে আমার ৮ এপ্রিল এর ব্যস্ততম একটি দিনের গল্প উপস্থাপন করি।
সকাল |
---|
![]() |
---|
ভোর বেলা সাহরি করে ঘুমানোর পরে সকাল ৭টার দিকে আম্মুর ডাকে ঘুম ভাঙ্গে। কিছুটা বিরক্ত হয়ে উঠলাম, এবং উঠে আম্মুর রুমে গিয়ে আবারও শুয়ে পরি। আর তখন আম্মুর একটা কথা শুনে মুহূর্তেই চোখের ঘুম উড়ে গেল।
আম্মু বললো এবার ঈদে আমাদের গ্রামে নিয়ে যাবে।শুনে অনেক খুশি হচ্ছিল। সচারাচর আমি রোজার ঈদ আমার শ্বশুর বাড়িতে করি।আর কেন যানি অন্য সময় শ্বশুর বাড়ি ভালো লাগলেও ঈদের সময়,আমার শ্বশুর বাড়ি যেতে মোটেও ভালো লাগে না। আর সেই গত কোরবানির ঈদে কুষ্টিয়া থেকে এসেছি এর মধ্যে একবারও যেতে পারি নি।
![]() |
---|
যাই হোক এরপরে আমি গোসল করে রেডি হয়ে থেরাপি দেওয়ার উদ্দশ্য চলে যাই।
আর আজ সূর্য গ্রহণ ছিল তাই আকাশ অনেকটা অন্ধকার হয়ে ছিল, প্রথমে ভেবেছিলাম যে আকাশে মেঘ করেছে পরে মনে হলো গ্রহণের কথা।
দুপুর |
---|
![]() |
---|
থেরাপি শেষ করে বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে আমি পার্লারে চলে যাই। আসলে অনেক দিন ধরেই পার্লারে আসি আসি করি সময়ই হয়ে উঠছিল না।তবে ঈদের আগে একটু পার্লারে গিয়ে নিজের জন্য একটু কেয়ার করতে ভালোই লাগে।
![]() |
---|
আসলে অনেকে মনে করে মেয়েরা পার্লার এ হয়তো শুধু মাত্র ফর্সা হতে যায়। যদি সত্যিই এমনটা হতো তাহলে হয়তো আমাদের সমাজে কোনো শ্যাম বর্নের মানুষ থাকতো না। আসলে আমরা মেয়েরা সব সময় ই সংসারের কাজে ব্যস্ত থাকি,নিজেকে সময় দেওয়ার মতো সময় আমাদের থাকে না। তাই মাঝে মাঝে একটু পার্লার এ গিয়ে নিজের যত্ন করতে পারলে মনে মনে অনেকটা শান্তি বোধ হয়।
আমার পার্লারে যাওয়ার মেইন উদ্দেশ্যই থাকে হচ্ছে হেয়ার ওয়েল মাসাজ করা,আহা কি যে শান্তি অনুভব হয়ে বলে বোঝানোর মতো না।
তবে ঈদ উপলক্ষে ওয়েল মাসাজ এর সাথে আমি হেয়ার স্পা এবং এবং একটি হাইড্রা ফেসিয়াল ও করিয়ে ছিলাম।
আর আমার খরচ পরেছিল-
Service | Price in Bdt | Price in Steem |
---|---|---|
Hot Oil Hair Massage | 500 tk | 14.74 |
Hair spa | 1500tk | 44.23 Steem |
Hydra Facial | 2200 tk | 64.87 steem |
Total cost | 4200tk | 123.85 steem |
যাইহোক বেলা দেড়টার দিকে আমি পার্লার থেকে বের হয়। এরপর একটা কসমেটিকস শপে গিয়ে মেহেদী কিনে নেই। আসলে মেহেদী ছাড়া যেন ঈদের শপিং এবং আনন্দ দুটোই অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
![]() |
---|
![]() |
---|
এরপরে রিকশা করে বাসায় আসার জন্য রওনা দেই, আর সব শিল্প কারখানা ছুটি হওয়ার কারণে হাইওয়ে তে বেশ ভালোই যানজট ছিল।
বিকাল |
---|
![]() |
---|
পার্লার থেকে এসে একটু বিশ্রাম নিতে না নিতেই হাসবেন্ড বললো কিছু কেনা কাটা করতে বাহিরে যেতে হবে। তখন যে কি পরিমাণ মেজাজটা গরম হয়ে বলার মতো না,কারণ আমি পার্লার থেকে বেরিয়েই তাকে কল দিয়ে ছিলাম যে, আমি বাহিরে আছি তার কোথাও যাওয়ার আছে কিনা? তখন সুন্দর বললো তার কোনো কাজ নেই।
মানে কি আর বলবো এই লোকটার যে কখন কি মাথায় আসে হুট করে বোঝা যায় না।আর রাগও দেখাতে পারছিলাম না,কারণ তার সাথে ঈদ করতে যাবো না।তাই মনের রাগ মনে পুশে রেখেই তার সাথে যেতে হলো।
কেনা কাটা শেষে বাটা শো রুমে যাই শ্বশুর শ্বাশুড়ি জন্য জুতা কিনতে সাথে আমার জন্য ও এক জোড়া কিনে নেই। এরপর বাসায় চলে আসি।
সন্ধ্যা থেকে রাত |
---|
সন্ধ্যায় ইফতারের পরে আম্মু আমার বড় মেয়েকে নিয়ে শপিং করে যায়। যেহেতু হঠাৎ ই সিদ্ধান্ত নেওশা হয়েছে যে গ্রামের বাড়ি যাবো তাই কেনা কাটার একটু চাপ বেড়ে গিয়েছে।
এদিকে আমি চা বানিয়ে নেই প্রচুর মাথা ব্যাথা করছিল, আর অনেকদিন হলো ল্যাপটপ টা খোলা হয় না,তাই ল্যাপটপ টা নিয়ে একটু বসি।
![]() |
---|
আর তখন একটা বিষয় নিয়ে অনেক মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। আর একেই মাথা ব্যাথা ছিল তাই আরও বেশি রাগ হচ্ছিল। আর রাগটা প্রকাশ ও করতে পারছিলাম না তাই ছোট মেয়েকে চট করে ঘুম পারিয়ে এক সাথে দুটা ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমিয়ে পরি। যেহেতু এটাতে আমার তেমনটা একটা সমস্যা হয় না,দীর্ঘ দশ বছর ধরে সেবন করা হয়। তাই ওই মুহূর্তের জন্য ওটাই আমার জন্য শ্রেয় ছিল।
মাঝে মাঝে আমাদের একটি সুন্দর দিনের আনন্দ গুলো শেষ করতে একটা সেকেন্ডই যথেষ্ট। আর আমি মনে করি,কিছু কিছু মানুষের জন্য রাগারাগি করে,দুটো উল্টো পাল্টা কথা বলে নিজেকে উত্তেজিত করার থেকে,নিরবতা মাধ্যমে তাকে অনুশোচনায় ভোগানোটাই উত্তম।
We support quality posts anywhere and with any tags.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you so much for your support.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঈদের ছুটিতে আপনাকে বলেছে শ্বশুরবাড়িতে ঈদ করার জন্য। কিন্তু ঈদে তেমন একটা শ্বশুরবাড়িতে যেতে আপনার ভালো লাগেনা। প্রতিদিনের মতোই ফিজিওথেরাপি নিয়েছেন। এছাড়া বাসার জন্য কিছু কেনাকাটা ও করেছেন।
সারাদিনের মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit