আসসালামু আলাইকুম। |
---|
কমিউনিটির সকল বন্ধুদের জানাই ঈদ মোবারক।
কেমন আছেন আপনারা সকলে? আমি আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি।
কারণ আজ আমার মনটা অনেক অনেক বেশি ভালো।এখন আমি গাড়িতে বসে আজকের পোস্ট লিখছি। ঈদ করতে কুষ্টিয়া যাচ্ছি। কি যে এক মানসিক শান্তি অনুভব হচ্ছে বলে বোঝাতে পারছি না।
যাই হোক আজ আমি আপনাদের সাথে আমার গতকালকের ডায়েরি শেয়ার করবো।চলুন তাহলে শুরু করি।
সকাল |
---|
সকালবেলা আজ কোনো কাজের জন্য কোনো তাড়া ছিল না। কারণ আজ থেরাপি দেওয়াও নেই, আবার হাসবেন্ড এর ও অফিস ছুটি হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ সকালের সময়টা অনেকটা সময় ঘুমিয়ে উঠি সকাল নয়টার একটু আগে।
আর ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে বারান্দায় গিয়ে বসে ছিলাম বেশ সুন্দর ঠান্ডা বাতাস বইছিলো।
এরপর হাসবেন্ড জিজ্ঞেস করলো সে তো আজকে গ্রামে চলে যাবে তো কিছু কেনার বাকী আছে কিনা?
অনেক চিন্তা ভাবনা করে মনে হলো আমার একটা মাজার বেল্ট কিনার প্রয়োজন।
তো তার কিছু কাজ ছিল তাই সেই একটু বাহিরে যায় আর আমাকে রেডি হতে বলে যায়,কিন্তু কালকে যেন খুব আলসেমিতে ধরেছিল,তাই মেঝেতে শুয়ে ছিলাম আর একটু ব্যায়াম গুলো করছিলাম যেহেতু আজ থেরাপি দেওয়া নেই।
আর ছোট খালাকে কল দিয়ে বললাম আজ ইফতারে যেন আমাদের বাসায় আসেন, কারণ এবার রোজায় একদিনও এক সাথে ইফতার করা হয়ে উঠে নি।
দুপুর |
---|
হাসবেন্ড এর বাসায় আসতে আসতে দুপুর হয়ে যায়,আর এরপরে আমি রেডি হয়ে ছোট মেয়েকে সাথে নিয়ে বেরিয়ে পরি।
আর এরপরে সি আর পি তে যাই, সেখানে একটা কাজ ছিলো,কাজটা শেষ করে,ওখান থেকেই বেল্ট কিনে নেই আর একটা হেড মাসাজার কিনে রওনা দেই, আর তখন আব্বু কল দিয়ে আব্বুর দোকানে যেতে বলে।
তো সেখান থেকে আব্বুর দোকানে যাই,আব্বু তার জামাই কে প্যান্ট গিফট করে। এরপরে ওই মার্কেট এ আমার কিছু কাজিন ভাই ছিল ওদের কাছ থেকে সালামি আদায় করি।😊
এরপর মনে পরলো কিছু টুকিটাকি জিনিস কেনার আছে, যেমন একটা,চিরুনি, কানের দুল, হিজাব পিন এগুলো কিনে নিয়ে আমরা বাসায় চলে আসি।
বাসায় এসে গোসল করার পরে একটু শান্তি পাই,বাহিরে আজকে প্রচন্ড গরম ছিল।
বিকাল |
---|
আজ ঠিক করেছিলাম, বাসায় ইফতার বানাবো না, কারণ কাজ ছিল অনেক । তাই বাহির থেকেই ইফতার কিনে আনাই আর বাসায় দই দিয়ে লাচ্ছি বানাই,আর মাংস খিচুড়ি রান্না করা হয়।যেটা আমাদের সবারই অনেক পছন্দের।
আজ সবাই একসাথে ইফতার করতে পেরে খুবই ভালো লাগছিলো।
সন্ধ্যা থেকে রাত |
---|
ইফতার করে একটু বিশ্রাম করে নেই। এরপরে গ্রামে যাওয়ার জন্য জামা কাপড়ের ব্যাগ প্যাক করতে থাকি।
আগে আগে ব্যাগ না গুছালে পরে অনেক কিছু মিস হওয়ার চান্স থাকে, তাই আগে আগেই ব্যাগ গুছাতে শুরু করি।
আর তখন দেখি আমার একটা ড্রেস ওভারলক করা বাকি আছে তাই আমি আর খালা মিলে ওভারলক করতে দোকানে যাই।
এরপর বাসায় এসে রাতের খাবার খেয়ে নেই, খিচুড়ি টা অনেক মজা হয়েছিল আলহামদুলিল্লাহ। আম্মুর হাতের এই খিচুড়ি টা আমার অনেক অনেক ভালো লাগে।
খাওয়া দাওয়া শেষ করে আবারও ব্যাগ গোছাতে শুরু করি,আর কাজ শেষ করতে করতে প্রায় রাত ১টা বেজে যায়।
ঘুমে চোখ বন্ধ হয়ে আসছিল তবুও পোস্ট লিখতে শুরু করি,কিন্তু পোস্ট লিখার শেষের দিকে এসে মোবাইল হাতে নিয়েই ঘুমিয়ে পরি।
এইতো এই ছিল আমার গতকালকের অন্যতম একটি ব্যস্ত দিনের গল্প।
প্রথমে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদের ছুটিতেই সবাই নিজ কর্মস্থল ছেড়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। যেমনটা আপনারাও গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার আগে কিছু কেনাকাটা ছিল সেগুলো সেরে নিয়েছেন।
সারাদিনের মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit