Edited By Canva |
---|
প্রিয় বন্ধুরা,
আমার নিজের লেখা ব্লগে আপনাদের সকলকে স্বাগতম।
আউযুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রজীম। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে আমিও ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ডায়েরি গেম শেয়ার করবো—“৮ম রোজার দিনটি যেভাবে অতিবাহিত করলাম”।
রমজান মাস হলো ইবাদতের মাস। এ মাসে যে যত বেশি ইবাদত করবে, সে তত বেশি সওয়াব অর্জন করবে। দেখতে দেখতে মাগফিরাতের রোজা শেষ হয়ে নাজাতের রোজা শুরু হতে চলেছে। তাই আমাদের বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগি করা উচিত এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
আল্লাহ তাআলা যেন আমাদের সবাইকে বোঝার তৌফিক দেন—আমিন।
সেহরি প্রস্তুতি ও খাওয়াঃ
প্রতিদিনের মতো আজকেও মা আমাকে আগে থেকে ঘড়ির অ্যালার্ম দিয়ে রাখতে বললেন। তাই আমি অ্যালার্ম সেট করলাম।
রাত ৩:০৭ বাজতেই অ্যালার্ম বেজে উঠলো। আমি দ্রুত উঠে মাকে ডাক দিলাম। মা ঘুম থেকে উঠে রান্না শুরু করলেন। রান্না শেষ হলে মা আমাকে এবং বাবাকে ডেকে দিলেন। এরপর আমি ও বাবা ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করে সেহরি খেয়ে নিলাম।
আমার স্ত্রী না থাকায় ইদানীং মা-ই সেহরির রান্না করেন। আজকের সেহরিতে ছিল—
√গরম গরম ভাত
√ বড় মাছ
√ শাকভাজি
√ সবজি তরকারি
আলহামদুলিল্লাহ, আজকের সেহরির খাবারটা দারুণ ছিল।
কিছুক্ষণ পরেই মসজিদ থেকে ফজরের আজান দিল। আমি ও বাবা ওজু করে মসজিদে গেলাম। প্রথমে ২ রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করলাম, তারপর ২ রাকাত ফরজ নামাজ পড়লাম। নামাজ শেষ করে বাসায় এসে ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকাল ও দুপুরের কার্যক্রমঃ
সকাল ১০:৩০ এর দিকে ঘুম থেকে উঠলাম। যেহেতু স্কুল বন্ধ, তাই ইদানীং একটু বেশি ঘুমানো হয়।
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে রুমে বসে থাকলাম। কিছুক্ষণ পর মা আমাকে দোকানে যেতে বললেন। ভাতিজার দোকানে গিয়ে কিছু কেনাকাটা করলাম এবং সেখানে একটা ছবি তুললাম, যা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
দুপুর ১২:০০ বাজতেই গোসল করলাম। এরপর মসজিদে যোহরের আজান হলে ওজু করে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করলাম। নামাজ শেষে বাসায় ফিরে এলাম।
বিকেল ও ইফতারের প্রস্তুতিঃ
আসরের আজান হলে আমি আবার মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করলাম।
গতকাল ফজরের সময় আমাদের গ্রামের হালিম চাচা ইফতারের দাওয়াত দিয়েছিলেন। তাই ইফতারের ৩০ মিনিট আগে বাড়ি থেকে বের হলাম। এক ছোট ভাইও আমাদের বাড়িতে এসে দাওয়াতে যাবে বলে। আমরা দুজন একসাথে মসজিদে গেলাম। যাওয়ার আগে ছোট ভাই আমার একটা ছবি তুলে দিলো, সেটিও শেয়ার করলাম।
মসজিদে গিয়ে দেখলাম, সবাই ইফতারি নিয়ে বসে আছে। যাদের কাছে ইফতার পৌঁছেনি, তাদের দেওয়া হচ্ছে। এ সময় আমি একটা ছবি তুলে রাখলাম।
আজকের ইফতারে ছিল—
√গরুর মাংসের খিচুড়ি
√শরবত
মাগরিবের আজান হতেই সবাই একসাথে ইফতার করলাম। ইফতারের পর আমরা মাগরিবের নামাজ আদায় করলাম।
রাতের নামাজ ও বিশ্রামঃ
মাগরিবের নামাজ শেষে বাড়ি না গিয়ে ভাতিজার দোকানে কিছুক্ষণ বসে থাকলাম। সেখান থেকে ৩৫ টাকার প্রাণ আপ কিনে খেয়ে নিলাম।
এরপর কিছু সময় বিশ্রাম নিয়ে এশার আজান হলে ওজু করে মসজিদে গেলাম। এশার নামাজ আদায় করার পর ২০ রাকাত তারাবির নামাজ পড়লাম।
তারাবির নামাজ শেষ করে বাসায় এসে রাতের খাবার খেলাম। এরপর কিছুক্ষণ অনলাইনে সময় কাটালাম এবং নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
উপসংহারঃ
এটাই ছিল ৮ম রোজার সারাদিনের সকল কার্যক্রম । আশা করি, আপনাদের ভালো লেগেছে।
বন্ধুরা, আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আপনাদের যদি ভালো লেগে থাকে, অবশ্যই কমেন্টে জানান।
ভালো থাকবেন সবাই। আল্লাহ হাফেজ।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme C15 |
Camera | 8MP camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @hafizur46n |
আমাদের ভাবি না থাকায় সেহেরি আপনার মা করছে দেখতে পেলাম যত সময় উঠে সেহেরী খেয়েছেন।। আবার দোকানে গিয়েছিলেন ভাতিজার জন্য কিছু কেনার জন্য।। রমজান মাসে মানুষকে খাওয়ানোর ফজিলত অনেক।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রতিনিয়ত আসলে ভোর রাতে উঠে রান্না করা চাইতে আগেভাগে রান্না করে রাখাটা অনেক ভালো পরবর্তীতে গরম করে নিলেই হয় ভোর রাতে উঠে রান্না করতে অনেক ঝামেলা আমার কাছে মনে হয় তার পরেও আপনার মা প্রতিনিয়ত ভোররাতে রান্না করছে যেটা দেখে বেশ ভালই লাগছে।
আপনাদের মসজিদে আবারও ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে যেখানে গরুর মাংস এবং শরবত দেওয়া হয়েছে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সারাদিনের কার্যক্রম এত সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit