Better Life with Steem||The Diary Game|| 19 may 2024||

in hive-120823 •  6 months ago 

20240523_113519_0000.png

Edited By Canva

প্রিয় বন্ধুরা,

আমার নিজের লেখা ব্লগে আপনাদের সকলকে স্বাগতম।

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলে অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া এবং আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি।আজকেও আমি আপনাদের সাথে একটি ডায়েরি গেম শেয়ার করব। তা হলো: আজকের দিনটি অনেক আনন্দে অতিবাহিত করলাম।

প্রতিদিনের মতো সকাল সকাল ঘুম থেকে জেগে উঠি। ঘুম থেকে জেগে উঠে ফ্রেশ হই।ফ্রেশ হয়ে আপুকে সকালের খাবার দিতে বলি। তখন আপু আমাকে সকালের খাবার দেয়। আর সকালের খাবার দিলে আমি সকালের খাবার সম্পন্ন করি।

IMG_20240519_023530.jpg

আর আজকের সকালের খাবার হিসেবে ছিল। গরম গরম ভাতের সাথে গরুর মাংসের তরকারি এবং সাথে ছিল শাক ভাজি। আলহামদুলিল্লাহ আজকের সকালের খাবারটা অনেক ভালো ছিল। যাইহোক সকালের খাবার সম্পন্ন করে, আজকে যেহেতু ভার্সিটিতে মেইন সার্টিফিকেট তোলার জন্য ভার্সিটিতে যাবো।

যার জন্য আমার বন্ধুকে ফোন করিলাম। ফোন করে তার খোঁজ নিলাম। কারণ আমার বন্ধুও ভার্সিটিতে যাবে মেইন সার্টিফিকেট তোলার জন্য। যাইহোক আমরা দুজনে আগে হতে ফোনে যোগাযোগ করি।

ফোনে যোগাযোগ করে দুজনে সকাল দশটার পরে বের হয়েছিলাম ভার্সিটির উদ্দেশ্য।দশটার পরে বের হয়ে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে বাসে করে ভার্সিটিতে সেএমপি রোডে গিয়েছিলাম। সেএমপি রোডে থেকে অটো ভাড়া করে ভার্সিটিতে গিয়ে পৌঁছি।

প্রায় দেড় ঘন্টা পর ভার্সিটিতে গিয়ে পৌঁছি। তখন বন্ধু আমাকে দেখে অনেক খুশি হল।বন্ধু হাসিমুখে আমাকে বলল, বন্ধু তুমি কেমন আছো? তখন আমি বললাম আলহামদুলিল্লাহ ভালো। তুমি কেমন আছো?

এভাবে কিছুক্ষণ আলাপ আলোচনা করি। আলাপ আলোচনা করে কিছুক্ষণ পরে কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টে যাচ্ছি। মেইন সার্টিফিকেট তোলার জন্য। তখন কিছু ছাত্ররা আমাদের দেখে বলল, আপনারা সরাসরি ২০৫ নাম্বার রুমে চলে যান।

সেখানে সিএসই ডিপার্টমেন্টের সার্টিফিকেট দিচ্ছে। যাইহোক তাদের হতে তথ্য পেয়ে আমরা সরাসরি ২০৫ নম্বর রুমে চলে গেলাম।সেখানে গিয়ে পিয়ন খোরশেদ ভাইকে বিস্তারিত বললাম। তখন খোরশেদ ভাই আমাদের প্রফেশনাল সার্টিফিকেট চাইলো।

তখন আমরা প্রফেশনাল সার্টিফিকেট দিলাম প্রফেশনাল সার্টিফিকেট দিলে, খোরশেদ ভাই সেই সার্টিফিকেটটা ২০৫ নম্বর রুমে যে স্যার রয়েছে। সেই স্যারকে নিয়ে মেইন সার্টিফিকেট দেয়।

IMG_20240519_024151.jpg

তাই খোরশেদ ভাই আমাদের হতে সার্টিফিকেটটা নিয়ে স্যার কে দিলে, ১০ মিনিট পরে আমাদের মেইন সার্টিফিকেট দেয় তখন আমরা যে মেইন সার্টিফিকেট পেয়েছি। সেটা প্রমাণস্বরুপ একটা স্বাক্ষর দিতে বলল, তখন আমিও আমার বন্ধু দুজনেই স্বাক্ষর দিয়েছিলাম।

IMG_20240519_024353.jpg

স্বাক্ষর দিয়ে সার্টিফিকেটটা নিয়ে আসি। সার্টিফিকেট নিয়ে এসে ভার্সিটির ভিতরে কয়েকটা ছবি তুলে রাখি।এ ছবিতে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন, আমি সার্টিফিকেট ধরে আছি, আর আমার বন্ধু আমার ছবি তুলে রেখেছিল। ছবি তুলে আমি এবং আমার বন্ধু মিলে আর একটা ছবি তুলে রাখি।

যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। যাইহোক ছবি তুলে সরাসরি চলে গেলাম দুপুরে লাঞ্চ করার জন্য। দুপুরে লাঞ্চ করার জন্য ভার্সিটি পাশাপাশি একটা হোটেল রয়েছে। সেই হোটেলে গিয়ে দুপুরে লাঞ্চ সম্পন্ন করি।

দুপুরে লাঞ্চ সম্পন্ন করে সরাসরি আপুর বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেই,এভাবে সরাসরি চান্দুরাতে গিয়ে পৌঁছি।চান্দুরাতে পৌঁছলে ভার্সিটিতে পড়েছি এমন এক বন্ধুর সাথে দেখা হয়। সেই বন্ধু তার একটা বাচ্চা ছেলে তার ওয়াইফ রেস্টুরেন্টে যাওয়ার জন্য রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে।

IMG_20240519_024021.jpg

যাইহোক এমতাবস্থায় তাদের সাথে দেখা হয়। তখন বন্ধুর সাথে দীর্ঘ চার বছর পর দেখা। তাই আমার বন্ধু আমাকে অনেক ভালো কিছু জিজ্ঞাসা করে।যাইহোক বহুদিন পর বন্ধুর সাথে দেখা। তাই বন্ধুর সাথে বিভিন্ন বিষয়ে অনেক কথাবার্তা বললাম।

IMG_20240519_023950.jpg

কথাবার্তা বলে বন্ধুর ছেলেকে বন্ধুর কোলে দেখে তার কোলে থেকে আমার কোলে নিলাম।বন্ধুর ছেলেটা অনেক কিউট। যাইহোক যখন আমার কোলে নিই। তখন ছোট বাচ্চাটা অনেক খুশি। তাই বন্ধুকে বললাম বন্ধু একটা ছবি তুলে রাখো।

তখন আমার কথামতো একটা ছবিও তুলে রেখেছিল। যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। ছবি তুলে আমি এবং বন্ধুর ওয়াইফ সাথে করে একটা রেস্তোরাঁ গিয়েছিলাম। রেস্তোরায় গিয়ে বন্ধু চিকেন ফ্রাই অর্ডার করলো।

তখন আমাদেরকে চিকেন ফ্রাই দিয়ে গেলে। আমরা তিনজনে মিলে চিকেন ফ্রাই খেয়েছিলাম। চিকেন ফ্রাই মোটামুটি ভালোই ছিল। চিকেন ফ্রাই খেয়েছিলাম। খাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন আলাপ গল্প করে সময় অতিবাহিত করেছিলাম।

এভাবে প্রায় আধা ঘন্টা সেখানে সময় দিয়েছিলাম।আধা ঘন্টা সময় দিয়ে সরাসরি আপুর বাসায় চলে গেলাম। আপুর বাসায় চলে গিয়ে নিজেকে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। ফ্রেশ হয়ে যখন রুমে আসলাম এবং কিছু সময় বিশ্রাম নিয়েছিলাম।

IMG_20240519_023918.jpg

বিশ্রাম নেওয়ার কিছুক্ষণ পরে আপু আমাকে একটা আনারস কেটে বলে আনারস খাও। তখন আমি এবং আপু আনারস খেয়েছিলাম। আনারস খাওয়ার আগে একটা ছবিও তুলে রেখেছিলাম। যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো।

এভাবে রাত আটটা পর্যন্ত আপুর রুমে ছিলাম।আর যখন রাত আটটা বাজলো, তখন ভাইয়া অফিস থেক এসে ফ্রেশ হয় এবং ফ্রেশ হয়ে কিছু সময় বিশ্রাম নেয়।বিশ্রাম নিয়ে ২০ মিনিট পরে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য আমরা আপুকে রাতের খাবার দিতে বলি,

তখন আপু আমাদেরকে রাতের খাবার দিলে আমরা রাতের খাবার সম্পন্ন করি। রাতের খাবার সম্পূর্ণ করে কিছু সময় অনলাইনে বন্ধুদের সাথে সময় দিয়ে, রাতের নির্দিষ্ট সময় ঘুমিয়ে পড়ি। আর এটাই ছিল আমার ঐইদিনের সকল কার্যক্রম। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।

বন্ধুরা আজকে আর লিখব না। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি । আপনাদের মাঝে আজকে যে কথাগুলো শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের অবশ্যই ভাল লাগছে। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করবেন । ভালো থাকবেন সকলে ।আল্লাহ হাফেজ।

TQ.png

DeviceName
AndroidRealme C15
Camera8MP camera
LocationBangladesh 🇧🇩
Short by@hafizur46n

Picsart_23-01-14_15-48-49-892.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ভাই, গরমের সময়ে ভাত একটু ঠান্ডা করে খেয়েন। আজ ভার্সিটিতে সার্টিফিকেট আনতে গিয়েছিলেন, সার্টিফিকেট আমাদের কর্মস্থলের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস। তারপর চিকেন ফ্রাই খেয়েছিলেন। বাসায় এসে আনারসও খেয়েছিলেন। আমার কাছেও ভালো লাগে, তবে বেশি খেলে জিহ্বা জ্বালা করে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ে মূল্য বান মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য। ভালো থাকবেন

Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.

Manually curated by @jasonmunapasee

r2cornell_curation_banner.png

Many many thank you for your support ❤️❤️

Loading...

আপু রাতে রান্না খুব মজা করে খেয়েছেন তার ওপর গরুর মাংস ছিল।। আজ ভার্সিটিতে যাবেন তাই বন্ধুকে ফোন করেছিলে আসলে কলেজে বা ভার্সিটিতে একা একা যেতে ভালো লাগেনা।।

আপনি মূলত সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্যই ভার্সিটিতে গিয়েছিলে এবং সার্টিফিকেট উঠিয়েছে।। এছাড়াও বন্ধুর সাথে অনেকটা সময় পার করেছে সব মিলে একটু ব্যস্ততার মধ্যেই দিনটা পার করেছেন।।।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ে মূল্য বান মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন

আপনার আপু আপনাকে খাবার হিসেবে ভাতের সাথে গরুর মাংস ও শাক ভাজি দিয়েছিল। সেটা কে আপনি ইউনিতে যান আপনার মূল সার্টিফিকেট তোলার জন্য।
সিগনেচার করে আপনি সার্টিফিকেট তুলে নিয়ে আসেন । এরপর আপনি ইউনির পাশেই এক রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবার খেয়ে আপনার আপুর বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
রাস্তায় আপনার একটা বন্ধুর সাথে চার বছর পরে দেখা হয়। চার বছর পর দেখা হলে তাই সবাই মিলে এক রেস্টুরেন্টে যে চিকেন ফ্রাই খেয়েছিলেন।
বাসায় আসার পর আপনার আপু আপনাকে আনারস খেতে দেন।
এরপর রাতের খাবার খেয়ে অনলাইনে বন্ধুদের সাথে কিছুটা সময় আড্ডা দিয়ে ঘুমিয়ে পরেন।
আপনার দিনলিপি পড়ে ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন সবসময়।

অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্ট পড়ে এত সুন্দর করে মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য। ভালো থাকবেন

আপনি সার্টিফিকেট তোলার জন্য আপনার কলেজে গিয়েছেন। সেখানে গিয়ে আপনাকে খুব একটা ঝামেলা পোহাতে হয়নি। অনেকটা সহজেই আপনি আপনার সার্টিফিকেট আপনার হাতে পেয়ে গিয়েছেন। কেননা বর্তমান সময়ে সার্টিফিকেট তুলতে গেলে অনেকটা ঝামেলা পোহাতে হয়। সেক্ষেত্রে আমি বলব আপনি খুব তাড়াতাড়ি পেয়েছেন।

অনেকদিন পর বন্ধুর সাথে দেখা হয়েছে তাই কৌশল বিনিময় করে, বন্ধুর বাচ্চাকে নিয়ে কিছুটা সময় ব্যয় করেছেন। আসলে এমন কিউট বাচ্চা দেখলে যে কেউ কোলে নিতে বাধ্য হবে। যাইহোক নিজের বন্ধু এবং তার ওয়াইফ এর সাথে চিকেন ফ্রাই খেয়ে বাসায় চলে এসেছেন। বাসায় এসে আনারস খেয়ে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

আপু আমি তো কলেজ থেকে সার্টিফিকেট তুলিনি। সার্টিফিকেট তুলতে ইউনিভার্সিটি গিয়েছিলাম। যাইহোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন

আলহামদুলিল্লাহ অবশেষে আপনি আপনার মেইন সার্টিফিকেট পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। রাস্তায় পুরাতন বন্ধুর সাথে দেখা হলে আসলেই অনেক খোশ গল্প চলে আসে।

আপনার সম্পূর্ণ দিনলিপি পড়ে খুব ভালই লাগছে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ে মূল্য বান মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য। ভালো থাকবেন

সকালবেলায় গরম গরম হাতের সাথে গরুর মাংস খেতে পেলে আর কি চাই! আপনার সার্টিফিকেট হাতে ছবিটা বেশ ভালো হয়েছে। কলেজ জীবনের বন্ধুর সাথে অনেকদিন বাদে দেখা হলে মনটা খুশিতে ভরে যায়। ধন্যবাদ সারাদিনের কথা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য। ভালো থাকবেন

সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সকালের খাবার খেয়েছেন। আপনাদের কলেজ থেকে সার্টিফিকেট তোলার কথা ছিল। তাই ফোন দিয়ে বন্ধুর সাথে যোগাযোগ করে দুইজনে মিলে কলেজে গিয়েছেন।
সত্যিই এত কষ্ট করার উপর নিজের সার্টিফিকেটটা হাতে নিলে একদম মনের ভিতর একটু অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে। যাইহোক, সার্টিফিকেট তুলতে গিয়ে কোন ঝামেলা পোহাতে হয়নি, ভালোভাবেই তুলতে পেরেছেন।

সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।