আজকে সোমবার যথারীতি কাজের দিন।ইদানিং ছেলেকে সকালে ঘুম থেকে উঠাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে।কোনভাবেই সে স্কুলে যেতে চায় না। অনেক দিন স্কুল গ্যাপ যাওয়াতে তার এই সমস্যা হয়েছে।সব মিলিয়ে রেডি হতেও এজন্য দেরি করছে।তাই রোজ স্কুলে যেতে আমার প্রায় আধা ঘন্টা দেরি হয়ে যাচ্ছে।
আজকে সকালেও যথারীতি স্কুলে পৌঁছাতে প্রায় ৯ টা বেজে গেল।এদিকে সে টিফিনে বার্গার ছাড়া কিছু নেবে না।পরে ওর স্কুলের ক্যান্টিন থেকে একটি বার্গার কিনে দিলাম। কেয়ার গিভারের জন্য দুটি কাবাব কিনে দিলাম।ছেলেকে ক্লাসে পাঠিয়ে আমি,জেরিন ও নার্গিস হাঁটতে বের হলাম।
সকালবেলায় যদিও তেমন রোদ নেই কিন্তু বেশ ভ্যাপসা একটা গরম।আধাঘন্টা হেঁটে আবার ক্যান্টিনে চলে আসলাম।এসে দেখি ক্যান্টিনে প্রচন্ড ভিড় বসার জায়গা নেই।বেশ কিছুক্ষণ ফ্যানের নিচে দাঁড়িয়ে রইলাম।এরপর বসে নাস্তা করে নিলাম।নাস্তা করতে করতেই আমাদের গল্প বেশ অন্য লেভেলে চলে গেলো।
কিছুটা রাজনৈতিক ও দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছিল।কেউ এ পক্ষ তো কেউ ও পক্ষ। সবারই বেশ যুক্তি-তর্ক আছে। একটা পর্যায়ে এসব বাদ দিয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম একটু শপিং মলে যাবো। বান্ধবীরাও কিছু জিনিস কিনবে আর আমিও দেখি যদি কিছু পছন্দ হয়।তাই চলে গেলাম সিনড্রেলা মলে।
মূলত আমার আজকে উদ্দেশ্যে ছিল নেহারী রান্নার জন্য মসলা কেনা।আগে পাকিস্তানি মসলাগুলো বেশ পাওয়া যেতো।তবে আজকে খুঁজে কোথাও পেলাম না।অতঃপর আমি বেশ কিছুক্ষণ বান্ধবীদের সাথে ঘুরলাম ও কয়েকটি ড্রেস দেখলাম।আমার মেয়ে এ ধরনের পোশাক পছন্দ করে।কিন্তু কিনব কিনা তার সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না।তাই ছবি তুলে রাখলাম।
বাসায় এসে দেখাবো যদি পছন্দ করে তাহলে এরপর দিন কিনব।শপিং শেষ করে আমরা আবার ক্যান্টিনে চলে আসলাম।ততক্ষণে বেশ ক্ষুধা লেগে গেছে।তাই কফির অর্ডার দিলাম।আসার পথে আমি সিঙ্গারা ও জেরিন সমুচা কিনল।এগুলো সবাই মিলে খেলাম।আমি এক প্যাকেট চিপস নিয়ে গিয়েছিলাম।ওগুলো সবাই মিলে খেলো।
এরপর বাসায় সাড়ে বারোটায় বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।দুপুরে খাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম।অবধারিতভাবে আমার চোখে ঘুম।কিন্তু আজকে একটু পরপর শুধু কলিং বেল বেজেই যাচ্ছিল। একজনের পর একজন আসছে।হঠাৎ দেখি আমার ননাসের ছেলে এসেছে।ও বাড়ি থেকে এসেছে।ওদের বাড়িতে বন্যার পানি কিছুটা নেমেছে তবে এখনো হাঁটু সমান পানি আছে।যে কয়দিন ও বাড়িতে ছিল প্রচুর মাছ ধরেছে।সেই গল্পই করছিল।
আসলে বিভিন্ন মাছের ঘের ও পুকুর বন্যায় ভেসে যাওয়াতে মাছগুলো সব মানুষের ঘরে, আঙিনায় চলে এসেছে। যে যেভাবে পেরেছে মাছ ধরেছে।ও অন্তত প্রায় ৬০ কেজির মতো মাছ ধরেছে বললো।এ ফাঁকে রান্নার খালা আসলো। আজকে আমার ছেলের শরীরটা বেশি ভালো নয় তাই সে খিচুড়ি ছাড়া কিছুই খাবেনা।ওর জন্য খিচুড়ি আর কৈ মাছ দোপেঁয়াজি করা হলো।মাগরিবের নামাজ এর আগেই মেয়ের টিচার আসলো।মেয়ের টিচারকে নাস্তা দিলাম।
এরপর সবকিছু গুছিয়ে একটু ফ্রি হয়ে পোস্ট লিখতে বসলাম।প্রতিটা দিন এভাবেই ব্যস্ততার সহিত কেটে যাচ্ছে।একটি একটি করে দিন পার হচ্ছে আর যেন বছরও শেষের দিকে চলে এসেছে।আসলে কিভাবে যে দিনগুলো পার হয়ে যায় বুঝতেই পারি না।সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রতিদিন প্রার্থনা করি যাতে আমি ও সবাই সুন্দরভাবে দিন কাটাতে পারি।
Device | Name |
---|---|
Android | vivo v19 |
Camera | triple camera 48mp+8mp |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Shot by | @hasnahena |
.
বাচ্চারা যখন স্কুলে কয়েকদিন ছুটি পায়, তারপরে আর স্কুলে যেতে চাই না, প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার অভ্যাসটা নষ্ট হয়ে যায়, এই অভ্যাস গড়ে তুলতে কিছুটা সময় প্রয়োজন হয়, আমরা সারাদিনের কার্যক্র দিকে খুব ভালো লাগলো, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার সারাদিনের কাজকর্ম তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আসলে বেশিরভাগ বাচ্চারা সকালে স্কুলে যেতে চায় না। বান্ধবীর সাথে শপিংমলে গিয়ে কেনাকাটা করেছেন। আপনার সুন্দর পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো ।ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
✨️আরেকবার ধন্যবাদ! 🙏♀️
প্রতিটা দিনের অভিজ্ঞতা, চাহিদা ও সুন্দর ছবি আমাকে লিখতে উৎসাহিত করে। 💡
যখন পর্যবেক্ষণ করি, এমনটা দেখি যে আধুনিক জীবনের সাথে নিয়ে আসে অনেকগুলো পরিণতি। 🌟
এই ছবিটা, দ্রষ্টব্য, মানুষের জীবনকে সংগঠিত করবে। 💪
এরপর সবকিছু গুছিয়ে একটু ফ্রি হয়ে লিখতে বসলাম। 📝
দিন করে পার হচ্ছে আর যেন বছরও শেষের দিকে চলে এসেছে। 🕰️
সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রতিদিন প্রার্থনা করি যাতে আমি ও সবাই সুন্দরভাবে দিন কাটাতে পারি। 🙏♀️
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার এমন হতো স্কুল গ্যাপ গেলে আর যেতে মন চেতনা হয়তো সবারই এমনটাই হয়ে থাকে।। আর ছেলেকে স্কুলে দিয়ে হাঁটতে বের হয়েছিল আর বর্তমান সময়ে সব জায়গায় এরকম রাজনৈতিক কথাবার্তা হয়।। বেশ দুপুরে রান্না করেছেন দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক সুন্দর করে আপনার দিনলিপি তুলে ধরেছেন। আপনার দিনটি খুবই ব্যস্ত ও নানা ধরনের কাজের মধ্যে কেটে গেছে। বিশেষ করে ছেলের স্কুলের সমস্যাগুলো, শপিং এবং রান্নার কাজগুলো করা সত্যিই প্রশংসনীয়।সুস্থ থাকবেন,ভালো থাকবেন, আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit