[Edit by pics Art]
সকাল সকাল ঘুম ভেঙ্গে গেল।আজকে বেশ ব্যস্ততা আছে।তাই জলদি সবকিছু গুছিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছিলাম।আজকে মেয়ে কলেজ থেকে ট্যুরে যাবে।তাই ভোরে ভোরে ও বের হয়ে গেল।প্রায় এক হাজার লোকের আয়োজন ওদের কলেজ থেকে।ওরা বিকেএসপিতে যাবে।
চীন মৈত্রী তে এশিয়া মেলা নামক একটি ছোট্ট মেলা হচ্ছে।২৩ তারিখে শেষ হয়ে যাবে।যেহেতু ছেলের স্কুল থেকে খুব কাছে তাই স্কুলের বান্ধবীরা মিলে ঠিক করলাম সবাই মিলে ওখানে যাব। স্কুলে যাওয়ার পথে রাস্তায় খুব একটা জ্যাম পড়লো না।তবে ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে বেশ ব্যস্ততা দেখলাম সবার।কারণ ২১তারিখ সশস্ত্র দিবস।ওই দিন বিশেষভাবে আয়োজন করা হয়ে থাকে।রাষ্ট্র প্রধান রা শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
তাই দেখলাম ওখানে রিহার্সাল করা হচ্ছে।পুরো ক্যান্টনমেন্টকে ফুল দিয়ে সাজানো হচ্ছে।স্কুলে পৌঁছে ছেলেকে অ্যাসেম্বলিতে দিয়ে ক্যান্টিনে গেলাম।আজকে নাস্তা জলদি খেয়ে নিলাম। একে একে সবাই আসলো। বান্ধবী ইমন কুমিল্লার সন্দেশ নিয়ে আসলো।সবাই মজা করে খেলাম। আজকে মেলায় যাওয়া উপলক্ষে সবাই বেশ তৈরি হয়ে এসেছে।কেউ কেউ আবার শংকিত ছিল সঠিক সময় ফিরতে পারবো কিনা।
কারণ সময়টা তো অনেক কম।যাই হোক রেডি হয়ে সবাই একসাথে পৌনে দশটার দিকে রওনা দিলাম।যেহেতু খুব কাছে তাই দশ মিনিটে পৌছে গেলাম।যেয়ে দেখি মেলা সাড়ে দশটা থেকে।আমরা কিছুক্ষণ হাঁটতে লাগলাম।সাড়ে দশটা বাজলে মেলার গেট খুলে দেয়া হলো।
যদিও দোকানপাট তেমন খোলেনি যে কটা খুলেছে সেগুলোতেই ঘুরতে লাগলাম।আমার বান্ধবীরা বেশিরভাগই থালা,বাটি,প্লেট এরকম জিনিস কিনল।যদিও আমি এসবের ধারে কাছেও গেলাম না।আমার প্রথমেই চোখ পড়লো পাকিস্তানি জুতার দোকানে।এক জোড়া জুতা কিনে নিলাম।এরপরে আমি অনেক দোকান ঘুরলাম।কিন্তু প্রতিবারে আমার চোখ কেন যেন জুতার দোকানে চলে যায়।
এরপর আমি চুড়ি, লিপস্টিক, চুলের ব্যান্ড কিনলাম।অতঃপর প্রায় সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত আমরা মেলায় সময় কাটালাম।এরপরেই ফিরে আসতে হবে কারণ ১২ টায় ছেলের স্কুল ছুটি। তাই আইসক্রিম খেতে খেতে রওনা দিলাম।জেরিন সবাইকে আইসক্রিম কিনে দিলো।
ঠিক সময়ে স্কুলে পৌঁছে গেলাম।ছেলেকে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।এ সময় কেয়ার গিভার জানালো রবি থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ওর ট্রেনিং আছে।বাসায় ফিরে প্রথমে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।আজকে বারোটার দিকে নাস্তা করার সুযোগ হয়নি তাই বেশ ক্ষুধা লেগেছে।বাসায় এসে খুঁজতে লাগলাম কি খাওয়া যায়।পরে টক দই চিড়া-নারকেল দিয়ে খেয়ে নিলাম।
দুপুরের খাবার খেতে খেতে প্রায় সাড়ে তিনটা বেজে গেল।ছেলে বাহিরে চলে গেল।
ওকে বিদায় দিয়ে কিছুক্ষণ এসে শুয়ে রইলাম। এরপর সন্ধ্যার দিকে রান্নার সবকিছু গুছিয়ে নিলাম।ছেলে আর ওর বাবা মাগরিবের পরে বের হয়ে গেল মেয়েকে কলেজ থেকে আনতে। আর এদিকে আমি রান্নার কাজ গুছিয়ে নিলাম। পেঁয়াজ পাতা ভাজি, সীম-বেগুন-ফুলকপি দিয়ে মাছের তরকারি আর ডাল করেছি।
সব কাজ গুছিয়ে ওদের জন্য অপেক্ষা করছিলাম কখন আসে।কিন্তু ওদের বাসায় ফিরতে অনেকটা সময় লেগে গেল।প্রায় সাড়ে ৯ টায় ওরা বাসায় আসলো।ছেলে রাতে কিছুই খেলো না, শুয়ে পড়লো।এর পরে দশটার দিকে আমরা রাতের খাবার খেয়ে নিলাম।এভাবেই একটি দিন ব্যস্ততার সহিত কেটে গেল।
.
Device | Name |
---|---|
Android | vivo v19 |
Camera | triple camera 48mp+8mp |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Shot by | @hasnahena |
মেলায় ঘুরতে আমি ও অনেক পছন্দ করি। অনেক সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে করার শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you for your feedback.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি এর আগে কখনো এই মেলার নাম শুনি নাই এই প্রথমবার আপনার লেখা পড়ে এই মেলার নাম জানতে পারলাম। যাই হোক আপনারা খুব সকাল সকাল সেখানে পৌঁছেছেন গেট খোলার সাথে সাথেই ভিতরে ঢুকে দেখেন এখনো দোকান ঠিকঠাক ভাবে তারা গুছিয়ে উঠতে পারি নাই।
মেলায় কাটানো মুহূর্তগুলো আপনাদের খুব ভালোভাবেই কেটেছে আজ 21 শে নভেম্বর সশস্ত্র দিবস এই দিবস টা খুব জাঁকজমক ভাবেই আয়োজন করা হয় বিভিন্ন রাস্তা নায়ক এখানে উপস্থিত থাকেন। যাইহোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবেই আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit