[Edit by pics Art]
সুন্দর একটি দিনের জন্য প্রথমে সৃষ্টিকর্তার কাছে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।আমরা সকলেই চাই আমাদের প্রতিটা দিন যেন সুন্দর কাটে।কিন্তু সব দিন যে ভালো বা সুন্দর কাটবে এমন কোন কথা নেই।চাওয়া,পাওয়া আর না পাওয়া এ ব্যাপার গুলো প্রতিটি দিনের সাথেই জড়িত।তাই এগুলো নিয়ে এখন আর খুব একটা ভাবি না।
আজকে সকালে যথারীতি ভোরে উঠে গেলাম। সব কিছু গোছগাছ করে বের হতে হতে প্রায় ৮:০০ টা বেজে গেলো।স্কুলে ও পৌছালাম প্রায় নয়টার দিকে।আজকে প্যারেন্টস মিটিং আছে।আবার বান্ধবী জেরিন সকলকে নাস্তা খাওয়াবে।নাস্তার একটি আইটেম নিয়ে আমিও যোগ দিলাম।আমি ছানা মিষ্টি নিয়ে গেলাম।
যেয়ে দেখি জেরিন বেশ অস্থিরতার মধ্যে আছে। কারণ প্যারেন্টস মিটিং উপলক্ষে প্রায় সবাই হলরুমে চলে যাচ্ছে।আমাদের বন্ধুদের গ্রুপে প্রায় ১৫ জন।স্কুলের ক্যান্টিনে পরোটার অর্ডার দেয়া হয়েছে।ও ঝুরা মাংস আর ডিম ভাজা করে নিয়ে এসেছে।
আমার একটি অভ্যাস হলো যতই দাওয়াত কনফার্ম থাকুক না কেন আমি সব সময় নিজের খাবার বাসা থেকে নিয়ে যাই।অন্যের খাওয়ার উপরে কখনো ভরসা করি না।ওদের নানা ব্যস্ততার মাঝে আমি আমার চিড়া ও টক দই বের করে খেয়ে নিলাম।এজন্য জেরিন আমার সাথে একটু রাগারাগিও করলো।হাসিমুখে বললাম তোর নাস্তাও খাব, চিন্তা করিস না!!!
সাড়ে নয়টার দিকে ক্যান্টিনের আংকেল গরম গরম পরোটা ভেজে দিলেন।এরপর সবাই মিলে নাস্তা করে নিলাম।ঝুরা মাংস বেশ মজা হয়েছে।সাথে ডিম ভাজাও।আজকে অনেকেরই হলে যাওয়ার খুব বেশি তাড়া নেই।কারণ প্রিন্সিপাল স্যারের উপর সবাই কম বেশি একটু বিরক্ত আছে।
নাস্তা শেষ করে সাড়ে দশটার দিকে মিটিংয়ে গেলাম।যেহেতু দেরি করে গিয়েছি তাই পেছনের দিকে যেয়ে বসতে হলো।আমরা যেতে যেতে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলছিল।প্রিন্সিপাল স্যার ধৈর্য ধরে সবার কথাই শুনছিলেন এবং সাধ্যমত সমাধানের চেষ্টা করছিলেন।সরকার পতনের পর উনি যথেষ্ট ভদ্রলোক হয়ে গেছেন।
সোয়া ১১ টার দিকে আমরা সবাই বেরিয়ে গেলাম।নাস্তার সাথে সাথে জেরিন আজকে সবাইকে কফি ও খাওয়ালো।ওদের সাথে আমিও কফি নিলাম।সাড়ে বারোটার দিকে স্কুল ছুটি হয়ে গেলে ছেলেকে নিয়ে মেয়ের কলেজে গেলাম।এরপর মেয়ের ছুটি হলে ওকে নিয়ে বাসায় রওনা দিলাম।পৌনে দুইটা বাজে বাসায় পৌছালাম।
প্রথমে ফ্রেশ হয়ে টেবিলে খাবার দিয়ে গোসল করে নিলাম।এরপরে খালা এসে ঘর মুছে দিল।ল।তারপরে নামাজ পড়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।গতকাল অনলাইনে সিড মিক্সের শরবত ও চিয়া সিড অর্ডার দিয়েছিলাম।আজকে অলরেডি একটা অর্ডার চলে এসেছে।সকালের দিকে ফোন দিয়েছিল বলেছি দুপুরের পরে ডেলিভারি দিতে।
দুপুরের পরে শরবত মিক্সের অর্ডারটি দিয়ে গেল।এটা ডিসকাউন্টে পেলাম।এক কেজি যেখানে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হয় অফারে সেটি ৯৫০ টাকায় নিলাম।সাথে আবার ২০০ গ্রাম পিঙ্ক সল্ট ফ্রি দিলো।যদিও পিঙ্ক সল্টের আমার দরকার ছিল না।চারটার দিকে ছেলে তার কেয়ার গিভারের সাথে রমনা পার্কে চলে গেলো।
আমি একটু রেস্ট নেয়ার জন্য কিছুক্ষণ শুয়ে থাকলাম।যদিও বেশিক্ষণ রেস্ট নেয়ার উপায় নেই।রান্নার খালা চলে আসলো।প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো খালাকে বের করে দিলাম। বিকেলের দিকে নাস্তায় কয়েকটা আঙ্গুর ও পেঁপে খেয়ে নিলাম।এদিকে মেয়ের আজকে দুজন টিচারই এসেছে।একজন গেল তো তার পিছনে আবার আরেক জন চলে এসেছে।ওদেরকে নাস্তা দিলাম।
আজকে রান্নায় পোয়া মাছ ভাজি,ডাল দিয়ে লাউ ও ছেলের জন্য মুরগি করেছি। সন্ধ্যার দিকে সবকিছু গুছিয়ে একটু বিশ্রামে বসলাম এরপরে এশার নামাজ পড়ে নিলাম।নামাজ শেষ করে পোস্ট লিখে ফেললাম।সৃষ্টিকর্তার কাছে অশেষ ধন্যবাদ জানাই সুন্দর একটি দিন পার করতে পেরেছি এজন্য। সবাই ভালো থাকবেন।
Device | Name |
---|---|
Android | vivo v19 |
Camera | triple camera 48mp+8mp |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Shot by | @hasnahena |
লেখা পড়ে যেটা বুঝলাম অনেকটাই ব্যস্ততার মধ্য দিনটা পার হয়েছে সকালে নাস্তা করেই মিটিং এর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ছেন সেখানে যাতে অনেকটাই সময় লেগেছে এবং সবার পেছনেই বসছেন।
যাইহোক মিটিং শেষ করে বাসায় এসে টেবিলে খাবার সাজিয়ে আপনি ফ্রেশ হয়ে খাওয়া-দাওয়া শেষ করছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সারাটা দিন একদণ্ড সময় নেওয়ার সুযোগ পান আপনি আর যতটুকু পান সে সময়টা তে আবার রান্নার কাজ দেখিয়ে দিতে যেতে হয়।।।
সারাদিনে বেশ ঘুরেছেন অনেক কাজও করেছেন ছেলে বাচ্চাকে স্কুলে দেওয়া থেকে শুরু করে মেয়েকে নিয়ে আসা। সেই সাথে সংসারিক কিছু কাজ করব সাথে যুক্ত থাকা,, সবমিলিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় কেটেছে আজ আপনার।।।
তবে আশা রাখছি পরবর্তী দিনগুলো আরো ভালো কাটবে।।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit