সকালে ঘুম ভাঙতে অনুভব করলাম মাথার উপর সিলিং ফ্যানটা খুব জোরে ঘুরছে।আর আমার নাক বন্ধ হয়ে আছে।শরীরটাও ম্যাজ ম্যাজ করছে।বুঝতে পারলাম ঠান্ডা লেগেছে। কিছুটা জ্বর জ্বর ও অনুভব হচ্ছে।বেশ অস্বস্তি নিয়ে ঘুম থেকে ওঠা হলো আজকে।বাচ্চাদের স্কুলের ছুটি থাকা সত্ত্বেও আমার ছেলের স্কুল খোলা।তাই স্কুলে যেতে হবে।রোববার থেকে ওদের পরীক্ষা।কোনভাবেই স্কুল এখন আর গ্যাপ দেওয়া যাবে না।
এদিকে একটু দেরিতে বের হওয়াতে নিয়মিত অ্যাসেম্বলি মিস করছিলাম।তাই আজকে খুব জলদি জলদি চেষ্টা করছিলাম সব কাজ সেরে নিতে।আটটার আগেই রওনা দিলাম ছেলেকে নিয়ে।রাস্তাঘাট কিছুটা খালি থাকাতে আটটা বিশে পৌঁছে গেলাম।ছেলেকে অ্যাসেম্বলির জন্য দিয়ে আমি ক্যান্টিনে যেয়ে বসলাম।তখনও একটু সকাল হওয়াতেই তেমন কেউ আসেনি।
শরীরটা ভালো লাগছিল না তাই চুপচাপ বসে রইলাম।একে একে বান্ধবীরা সবাই আসলো।
বান্ধবী জেরিন এসেই হাঁটতে চলে গেলো। যেহেতু আমি এখন বাসায় হাঁটি তাই স্কুলে আর রোদের মধ্যে হাঁটি না।তবে রোদে বসার চেষ্টা করি।কিন্তু আজকে তাকিয়ে দেখি আকাশে মেঘ নেই কিন্তু রোদ ও নেই।
প্রথমে দই চিড়া নাস্তা করে নিলাম।আমি প্রতিদিন সকালে অল্প একটু দই চিড়া খাই এবং এর বেশ কিছুক্ষণ পরে নাস্তা করি।আসলে আমার আলসার দেখা দিয়েছে।তাই সকাল সকাল রুটি বা অন্য কোন খাবার খাই না। দশটার দিকে নাস্তা করে নিলাম।ছোট্ট একটি লাল আটার রুটি,একটা ডিম সেদ্ধ ও একটু ডাল।
এরপর কফি অর্ডার করলাম।ক্যান্টিনের এই কফিটাই আমার সবচেয়ে ভালো লাগে।বেশ কড়া স্বাদের হয়।আজকে স্কুলে কারা যেন আসবে তাই প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছে। অবশ্য গত তিনদিন ধরে স্কুলে কেউ না কেউ আসছে এবং সে উপলক্ষে স্কুল সাজানো আছে। আজকেও বাচ্চাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আছে। ভাবছিলাম সুযোগ পেলে দেখতে যাব।আজকে অবশ্য সুযোগ হয়ে গেল।
প্রিন্সিপাল স্যারের বক্তৃতা শেষে বাংলালিংক ওমেন্টরের একটি কার্যক্রম চললো।হিজিবিজি করে কি বলল পেছনে থেকে কিছুই বুঝিনি।আর ওটা আমার আগ্রহের বিষয় ও ছিল না। আমি উৎসুক ছিলাম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখার জন্য।বাচ্চারা খুব সুন্দর করে পারফর্ম করলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো।
অনুষ্ঠান দেখা শেষ করে পৌনে বারোটার দিকে আবার ক্যান্টিনে চলে আসলাম।বারোটায় ছুটি হলে ছেলেকে নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।এদিকে অনবরত নাক দিয়ে পানি ঝরছে আর বেশ অস্বস্তি লাগছে।প্রথমে টেবিলে খাবার দিয়ে দিলাম এরপর ১ ঘন্টা হেঁটে নিলাম।নইলে সন্ধ্যায় হাঁটতে হতো।গোসল শেষে বেশ কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে যোহরের নামাজ পড়ে নিলাম।
এরপর দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।আজকে রান্নার খালার কাজের শেষ দিন।প্রায় ১০ বছর আমার বাসায় কাজ করলো।এখন উনার বেশ বয়স হয়ে গেছে।খুব একটা কাজ করতে পারেন না।তাই উনি গ্রামের বাড়ি চলে যাবেন।খালার কাজ শেষে একটি জামদানি শাড়ি ও একটি শাল উপহার দিলাম।আর বেতন দিয়ে দিলাম।
বললাম খোঁজখবর জানাবেন,যোগাযোগ রাখবেন।এত বছর কাজ করা একটা মানুষ চলে গেলো,বেশ মন খারাপ লাগছিল।নামাজের পরে বিশ্রামেই ছিলাম। নিহারিতে বাগাড় দিয়ে রাখলাম।পরদিনের সব কাজ গুছিয়ে রাখলাম।শরীরটা ভালো লাগছে না বিধায় আজ আর লিখছি না।ভালো থাকবেন সবাই।
Device | Name |
---|---|
Android | vivo v19 |
Camera | triple camera 48mp+8mp |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Shot by | @hasnahena |
.
সর্দি লাগলে ফ্যানের বাতাস একটুও ভালো লাগেনা বরঞ্চ আরো অসহ্য লাগে। আপনার জন্য দোয়া রইল যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন শরীর খারাপ থাকলে আসলেই কোন কিছুতেই মন বসে না।
অসুস্থ শরীর নিয়েও বাড়ির সমস্ত কাজ করছেন সেগুলো আমাদের কাছে খুব ভালোভাবে উপস্থাপনা করেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit