Better life with Steem || The Diary game ||6 September 2024||

in hive-120823 •  5 months ago 
Picsart_24-09-06_18-46-34-894.jpg

আজকে শুক্রবার ছুটির দিন। ছুটির দিন হলেও বেশ ভোরেই ঘুম থেকে উঠতে হলো।কারণ আমার হাজব্যান্ড আজকে তার গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছে।সেজন্যই ভোরে ভোরে রওনা দেবে।নাস্তায় তাকে পরোটা ভেজে দিলাম।সাথে চা করে দিলাম।নাস্তা খেয়ে সবকিছু গুছিয়ে সে বের হয়ে গেলো।এরপর এসে আমি আবার বেশ কিছুক্ষণ শুয়ে রইলাম।যদিও ঘুমাতে পারলাম না কারণ বাড়ি থেকে বেশ কয়েকবার ফোন আসলো।পরে নয়টার দিকে উঠে গেলাম।এরপর নাস্তা করে করে নিলাম।নাস্তা শেষ করে চা পান করলাম।

IMG_20240906_115557.jpg

বাইরে থেকে বেশ কিছু জিনিস আনতে হবে তাই রেডি হয়ে গেলাম।সবকিছু গুছিয়ে বের হতে হতে দশটা।রিক্সা নিয়ে কলোনি বাজারে চলে গেলাম।সেখানে প্রথমেই দেখলাম ছুটা রসুন।ছুটা রসুন হলে আসলে ব্লেড করতে খুব সুবিধা হয়।তাই আধা কেজি রসুন কিনে নিলাম।

IMG_20240906_182150.jpg

এরপর মসলা দোকানে গেলাম।সেখানে বিট লবণ, দারচিনি, তেজপাতা কিনলাম।ফেরার পথে সিটি হার্ট মার্কেটে ঢুকলাম।কিছু থ্রিপিস দেখছিলাম।অবশেষে চারটি থ্রি পিস পছন্দ হওয়ায় কিনে নিলাম।ফেরার পথে ছেলের জন্য সিঙ্গারা নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।বাসায় ফিরতে ফিরতে সাড়ে বারোটা।

IMG_20240906_113000.jpg

বাসায় ঢুকতেই দেখি দরজার পাশে সু রেকের উপরে কে যেন খাবার রেখে গেছে।বিরিয়ানি, এক বোতল পানি ও শসা সালাদ।বুঝতে পারছিলাম না কে রেখে গেল।লিফটের সামনে একজন লোক দাঁড়িয়ে ছিল তাকে জিজ্ঞাসা করলাম যে খাবার সম্বন্ধে।সে বলল যে আজকে মিটিং হয়েছে এজন্য সব বাসায় খাওয়া দেওয়া হয়েছে।

বিড়বিড় করে লোকটি আর ও কি যেন বলল বুঝলাম না।তবে খাবার যেহেতু আমাদেরকে দেয়া হয়েছে তাই খাবার নিয়ে ঘরে চলে আসলাম।ঘরে ফিরে প্রথমে ছেলেকে সিঙ্গারা দিলাম।সিঙ্গারা এক কামড় খেয়ে রেখে দিলো। ছেলে আজকে দুদিন ধরে কিছুই খাচ্ছে না। শরীরটা ভালো না বেশ বুঝতে পারছি।

IMG_20240906_184412.jpg

টেবিলে খাবার রেডি করে ঘর গুছিয়ে ঝাড়ু দিয়ে দিলাম।এরপর নতুন কেনা থ্রি পিস গুলো ধুয়ে দিলাম।টেইলার সব সময় বলে সুতি কাপড় ধুয়ে দিবেন।তাহলে বানানোর পরে বেশি-কম হবেনা।অতঃপর গোসল করে জোহরের নামাজ পড়ে নিলাম।এরপর দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। একটু ফ্রি হয়ে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখি অনেকগুলো ফোন এসেছিল।কোনটাই ধরতে পারিনি।এরপর সবাইকে কল ব্যাক করলাম।

IMG_20240906_124407.jpg

আমার বড় জয়ের মেয়ের বিয়ের কথাবার্তা চলছে।ছেলে-মেয়ে দেখাদেখি পর্ব সামনেই। যেহেতু ছেলের মা সাথে আসবে তাই আমাকেও থাকতে হবে।এসব বিষয় নিয়ে বড় জায়ের সাথে বিকেলে বেশ কিছুক্ষণ কথা হলো।আজকে রান্নার তেমন প্রয়োজন ছিল না।তাই বিকেলে গরুর মাংস ও পেঁপে ভাজি করেছি। মাগরিবের আজান দিলে নামাজ পড়ে নিয়েছি।

IMG_20240906_182246.jpg

সন্ধ্যায় বারান্দায় গিয়ে দেখলাম ধোয়া কাপড় গুলো শুকিয়ে গেছে।তাই ভাবছি যে টেইলারের দোকানে দিয়ে আসবো।সেজন্য টেইলর জসিম ভাইকে ফোন দিলাম। তিনি বললেন যে আজকে শুক্রবার তাই দোকান বন্ধ কালকে এগারোটার দিকে যেতে। তাই কাপড় গুলো গুছিয়ে রেখে দিলাম।

IMG_20240906_182215.jpg

এভাবে ব্যস্ততার সহিত আজকের দিনটি আমার কেটে গেল।আগামীকাল আরো অনেক ব্যস্ততা আছে।মেয়ে নীলক্ষেতে যেতে চায় কিছু বই কিনবে বলে।তাকে নীলক্ষেতে নিয়ে যেতে হবে। তাই আগামী দিনের প্রস্তুতিও নিয়ে নিচ্ছি।সবাই ভালো থাকবেন। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি।

DeviceName
Androidvivo v19
Cameratriple camera 48mp+8mp
LocationBangladesh 🇧🇩
Shot by@hasnahena

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xyWsw1kHnXVkn7Qp6hme6bwxmeXAsiaziMYqPesnvAxBKoZxpvAxoJGLfGnEUeMr1gEv2DbujLXro4ihMK4nci7VnRSHt.png

◦•●◉✿ধন্যবাদ সবাইকে লেখাটি পড়ার জন্য।✿◉●•◦

◦•●◉✿ Thank You For Reading ✿◉●•◦

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আমরা সাধারণত ছুটির দিনে একটু বেশি সময় ঘুমানোর চেষ্টা করি, কিন্তু আপনার স্বামী গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য একটু তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে হয়েছে, আপনার সারাদিন এর কার্যক্রম থেকে খুব ভালো লাগলো, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

আপনাদের দিনলিপি পড়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গার বাজারের ছবি দেখতে পাই আজকে আপনি কলোনি বাজারে গিয়েছিলেন কিছু কেনাকাটার জন্য।

বাংলাদেশে যেমনটা ছুটা রসুন পাওয়া যায় মালয়েশিয়াতে একই রকম রসুন পাওয়া যায় তবে বাংলাদেশের ছুটা রসুন যেমন গায়ে খোলা থাকে মালয়েশিয়াতে এরশাদের গায়ে কোন প্রকার খোলা থাকে না।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন

ছুটির দিন একেক জন একেক ভাবে কাটিয়ে থাকে।। ভাইয়া গ্রামের বাসায় যাবে তাই একটু তাড়াতাড়ি উঠেছিলাম আবার আজকে বাজারও করেছেন।।

আর হ্যাঁ হঠাৎ এভাবে কেউ খাবার দিয়ে গেলে একটু অবাক হওয়ার বিষয়।। এটা খুবই কমন একটি বিষয় বিয়ের সাথে সময় সবাই একটু ভালো পোশাক বা ভালো ভাবে থাকার চেষ্টা করে।।