Incredible India contest by @sduttaskitchen|photographs that are close to your heart.

in hive-120823 •  last year  (edited)

সবার প্রথমে কমিউনিটির শ্রদ্ধেয় এডমিন মহোদয়া #sduttaskitchen, ম্যাম কে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত সুন্দর একটি টপিক নির্বাচন করার জন্য। উল্লেখিত বিষয়গুলো সামনে রেখে আজকে আমি আমার অত্যন্ত প্রিয় কিছু ফটোগ্রাফি উপস্থাপন করছি। ছবিগুলো বের করার উদ্দেশ্যে আজকে অ্যালবামটাও আবার অনেকদিন পর দেখা হলো।অনেক পুরনো স্মৃতি নতুন ভাবে তাজা হয়ে গেল। খুব সুন্দর একটি সময়ও আমি নিজের সাথে তখন কাটালাম। এই মুহূর্তটির জন্য এডমিন ম্যামের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জ্ঞাপন করছি।

কয়েকদিন ধরে আমি অন্যদের ফটোগ্রাফি ও উপভোগ করেছি। আমি আমার কয়েকজন বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, এই চমৎকার বিষয়টিতে অংশগ্রহণ করার জন্য।

@shasan705
@mdsahin111
@sabus

⭐আপনার হৃদয়ের কাছাকাছি কয়েকটি ফটোগ্রাফ শেয়ার করুন।

[Photo taken from my album by Vivo 19]

[Photo taken from my album by Vivo 19]

[Photo taken from my album by Vivo 19]

[Photo taken from my album by Vivo 19]

⭐সেই ফটোগুলির পিছনের গল্পটি শেয়ার করুন।

ফটোগুলোর পিছনে প্রথম গল্প হলো আমি ছবি তুলতে খুব পছন্দ করতাম। যেখানেই সুযোগ পেতাম ছবি তুলতাম। যদিও বর্তমানে আমি ছবি তুলতে খুব একটা পছন্দ করি না। এই ছবিগুলো তুলে রাখার পেছনে সবচেয়ে বড় ভাবনাটি ছিল ওই মুহূর্তগুলোকে আমি ক্যামেরায় বন্দি করে রাখতে চেয়েছিলাম।আমি যে সেখানে গিয়েছি, সেই মুহূর্ত সেই স্মৃতি যেন আমি ভুলে না যাই। এই উদ্দেশ্যেই নিয়মিত আমি ছবি তুলতাম।

⭐আমাদের সাথে মানুষ বা স্থান পরিচয় করিয়ে দিন।

প্রথমে আমি যে ছবিটি শেয়ার করলাম এটি আমার দশম শ্রেণীতে পড়ার সময় তোলা ছবি।এ ছবিটি দার্জিলিংয়ে তোলা হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। সে বারে আমি কলকাতা ও দার্জিলিং মিলিয়ে প্রায় ২২ দিন ছিলাম। জীবনের সবচেয়ে সুন্দর ভ্রমণ যদি বলি তাহলে আমি আমি এই ভ্রমণটিকে বলবো। এই ছবি দার্জিলিং মিরিকে যাওয়ার পথে একটি পাহাড়ের পাদদেশে এবং ঝর্ণার কাছাকাছি একটি জায়গায় তুলেছিলাম ।তখন তো এতো ডিজিটাল যুগ ছিল না। তাই আয়োজন করে মানুষ ছবি তুলত।

যে পোশাকটি আমি পরেছি এটা ওখানে ভাড়া দিচ্ছিল। দশ রুপি করে ভাড়া ছিল। অবশ্য বিকেলেই তারা ছবি আমাদের হোটেলে দিয়ে গিয়েছিল। সত্যিকার অর্থে আপনাদেরকে বলবো যদি কেউ সুযোগ পান অবশ্যই জীবনে একবার দার্জিলিং যাবেন। মেঘ, পাহাড়, ঝর্ণা আর ঠান্ডা র এক অপূর্ব সমাহার।

দ্বিতীয় ছবিটি আমার বিয়ের পরপরই তোলা ছবি। আমার হাজব্যান্ড সহ আমরা একটি পিকনিকে যাচ্ছিলাম।যাওয়ার আগে তার অফিসে এই ছবিটা তুলেছিলাম।

তৃতীয় ছবিটি আমার বাবার বাড়িতে। এ ছবিতে আমার বাবা-মা, আমার বড় বোন, দুলাভাই, বোনের মেয়ে, ছেলে আর আমি ও আমার হাজব্যান্ড এই কয়জন উপস্থিত আছি। এই ছবিটি অনেক বড় করে আমাদের বাড়িতে রাখা আছে। এটি আমার জন্য অনেক স্পেশাল একটি ছবি।

আর শেষ ছবিটি আমি আমার মেয়ের সাথে। তখন মেয়ের বয়স মাত্র ৬ মাস। আর আমার বয়স মাত্র ২১ বছর।এখনো ভাবলে অবাক লাগে যে আমি এমনও ছিলাম। অথচ এখন কেমন হয়ে গিয়েছি।

⭐আমাদের সাথে মানুষ বা স্থান পরিচয় করিয়ে দিন।

ছবির মানুষগুলো আমার সন্তান, আমার স্বামী, আমার মা-বাবা- বোন এরকম সব আপনজনদের সাথে তোলা। এই ছবিগুলো আমার অন্তরের অনেক কাছাকাছি। আর সাথে ছবি তোলার জায়গা গুলোও। একটি ছবিতে আমার মা-বাবা হাস্যজ্জ্বল মুখে রয়েছে। ছবিটা যখনই আমি দেখি তখনই তাদের কথা মনে পড়ে যায়।যে তারা কেমন ছিলেন।কতদিন তাদেরকে দেখি না।

⭐ আলোকচিত্রের তাৎপর্য কি; যা আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।

আলোকচিত্র গুলোর অত্যন্ত তাৎপর্যবহ। এটি আমাদেরকে প্রতিমুহূর্তে স্মরণ করিয়ে দেয় যে আমি পূর্বে কেমন ছিলাম আর এখন কেমন আছি।পার্থক্যগুলো খুব স্পষ্ট হতে পারে। সে পার্থক্য ভালো বা খারাপ তাতে কিছু আসে যায় না। যে মুহূর্তটি ও যে সময়টি আমি কাটিয়েছি এটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড়। আর প্রিয় ছবি তো সেটাই হয় যে মুহূর্তটি ছিল অত্যন্ত আনন্দের অথবা আমার জন্য স্মরণীয়।

ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আজকে আপনি আমাদের সাথে আপনার হৃদয়ের খুব কাছাকাছি থাকা কিছু ছবি শেয়ার করেছেন। যেখানেই আমি দেখতে পেয়েছি আপনার হাসবেন্ডের সাথে আপনার ছবি রয়েছে। আপনার খুব ছোটবেলার একটা ছবি রয়েছে। খুব ছোটবেলা বললে ভুল হবে মোটামুটি প্রাপ্তবয়স্ক। যেখানে আপনাকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে।

সেই সাথে আপনি আপনার প্রিয় মানুষগুলোর সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। এবং প্রতিযোগিতার প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।

রবিন আপু, আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। আপনি আমার ছবিগুলো দেখেছেন এবং আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম।

আপনার পছন্দের সব কটা ছবির স্মৃতি সত্যি অতুলনীয় ও হৃদয়গ্রাহী। আপনি অনেক বছর আগে কলকাতা ও দার্জিলিং ভ্রমণ করলে ও তার স্মৃতি আপনার মনে উজ্জ্বল হয় রয়েছে। দার্জিলিং হচ্ছে ভারতীয়দের সুইজারল্যান্ড। আমি পাহাড়ে অনেক ভ্রমন করেছি। কিন্তু মিরিক একবারই গিয়েছিলাম ১৯৭৬ সালে, তখন মিরিকে লেক আর তার ধারে একটা সরকারী রেস্টুরেন্ট ছিল। আশাকরি আপনাদের মনোস্কামনা পূর্ণ হবে।

১৯৯৯ সালের ছবি আপনি এখনো রেখে দিয়েছেন।। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে এই ছবিগুলো আপনার কতটা স্মৃতিময়।। আর আপনি আপনার প্রতিটি ছবির কারণ ও বলেছেন।। আপনি কলকাতায় ঘুরতে গেছিলেন অনেক বছর আগে আর সেই জায়গাটা আপনার সবচাইতে স্মৃতিময়।।।

খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।।

আমাদের সবার জীবনে কিছু না কিছু স্মৃতি থাকে ।স্মৃতিগুলো কখনও কখনও হাসায় আবার কখনও কাঁদায় ।আপনি আমাদের মাঝে আপনার স্মৃতি গুলো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ।
আপনাদের জন্য রইল শুভকামনা ।

  • Beautiful moments, although so are the pictures that have always remembered you in the past, the good memories do not make us forget right.because sweet memories are always in yourself, greetings and good luck in this contest
Loading...

আজকে আপনি আমাদের সাথে আপনার স্মৃতিময় কিছু ছবি শেয়ার করেছেন এবং সেই ছবির পেছনের গল্প গুলো।। আপনি ঠিকই বলেছেন কিছু কিছু ছবি আমাদের হৃদয়ের অনেক কাছের হয়, যা আমাদের অতীতকে স্মরণীয় করে রাখে।। আর কাছের মানুষের সাথে তোলা ছবি গুলো আমাদের কাছে সারা জীবন অনেক স্পেশাল হয়ে থাকে।।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে,এই পোস্টের মাধ্যমে এত সুন্দর কিছু ছবি তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন সব সময়, অনেক শুভকামনা রইলো আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য।

১৯৯৯ তে আমিও কলকাতাতে গিয়েছিলাম। ৯ দিন ছিলাম আমি।তবে দার্জিলিং যাওয়া হয় নাই। এই মিলটা দেখে ভালোই লাগলো।আসলে সময়ের সাথে সাথে আমরা যে কত দ্রুত চেঞ্জ হয়ে যাই ছবি দেখলে বুঝা যায়। আপনার মেয়ে ছোটবেলা মাশাল্লাহ কিউট ছিলো।সাথে আপনিও।
ভালো লাগলো আপনাকে ভাই আার পরিবারের অন্য সদস্য দের সাথে দেখে।চমৎকার সব ছবি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য