আমার প্রিয় নারিকেলের আইসক্রিম| (My favourite Coconut ice cream)| @hasnahena

in hive-120823 •  2 years ago 
৯০ দশকের শুরুর দিকে পোলার আইসক্রিম ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। তখন রেফ্রিজারেটর মানুষের ঘরে ঘরে ছিল না। ফলে আইসক্রিম কিনে বাড়িতে রাখা রাখার প্রচলন জনপ্রিয় ছিল না। সে সময় একটি সাইকেল নিয়ে একটা ফেরিওয়ালা আসত তার কাঠের বক্সে এক ধরনের আইসক্রিম পাওয়া যেত। আইসক্রিমের অর্ধেকটা জুড়ে থাকতো ছিল নারকেল কোরা দেওয়া। দাম ছিল মাত্র দুই টাকা। যদিও দুই টাকা জোগাড় করা আমাদের জন্য অনেক কঠিন ছিল। তখন তবে শৈশবের এই নারকেল দেয়া আইসক্রিম যে কতটা সুস্বাদু ছিল তাই এখনকার বাচ্চারা যারা দামি দামি আইসক্রিম খায় তাদেরকে বোঝাতে পারবো না।

Source

নিতান্তই সাদাসিধা ধরনের আইসক্রিম ছিল এটি। দুধ চিনি আর নারকেল দিয়ে তৈরি এই আইসক্রিম প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হতো। আর এখন এত এত ফ্লেভারের আইসক্রিম কোনটা খাব তার কোন হিসেব নেই। আমি এতটা আইসক্রিম পছন্দ করি না। তবে আমার বাচ্চারা অনেক বেশি আইসক্রিম ভালোবাসে। তাদের জন্য ঘরে গরমের সিজনে আমের আইসক্রিম তৈরি করা হয়। আমার অভিজ্ঞতা থেকে আজকে কিছু আইসক্রিম তৈরির নিয়ম কানুন আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আর শেয়ার করছি নারকেল আইসক্রিমের আধুনিক একটি রেসিপি।

Source

আইসক্রিম তৈরির নিয়মকানুন:

১. প্রত্যেকটি আইসক্রিম গুঁড়া দুধের সাহায্যে তৈরি করতে হবে।

২. স্কিমড মিল্ক বা মাখন তোলা গুঁড়া দুধ চলবে না।

৩. আইসক্রিম তৈরির জন্য ফুল ক্রিম বা হোল মিল্ক ব্যবহার করবেন।

৪. প্রত্যেকটি আইসক্রিমেই টাটকা ঘন ক্রিম মেশাতে হবে। টিনে সংরক্ষিত ক্রিমের দ্বারা আইসক্রিম তৈরি করলে দামও বেশি পড়ে এবং খেতেও সুস্বাদু হবে না।

৫. প্রতিটি আইসক্রিম মিক্সারে দুবার ফেটাতে হবে। প্রথমবার জমাবার আগে এবং দ্বিতীয়বার জমে যাবার পরে। তার ফলে আইসক্রিম মোলায়েম বা নরম হবে এবং বরফগুলো কচকচে থাকবে না।

৬.প্রত্যেকটি আইসক্রিম জিএমএস এবং সিএমসি নির্দিষ্ট পরিমাণে মেশাতে হবে।

৭. টুটি-ফ্রুটি,বাদাম,ফিরনি,পেস্তা ও জেলী আইসক্রিম জমাতে একটু সময় লাগে। কারণ হলো আইসক্রিমের স্তর যত পুরু হবে, ততই জমতে সময় লাগবে।

Source

নারিকেলের আইসক্রিম

উপকরণ :
দুধ ৭০০ মিলি,
শুকনো নারিকেল কোরা ১৫০ গ্রাম,
ক্রিম ৭০০ মিলি,
কর্ণফ্লাওয়ার ১কাপ,
চিনি ২০০ গ্রাম,
লবণ আধা চা চামচ।

Source

প্রণালী : পাত্রে দুধ জ্বাল দিয়ে নারিকেল গুঁড়া ও ক্রিম দিয়ে কম আঁচে মিনিট ২০ রেখে ফোটান। আঁচ থেকে নামিয়ে একটা বড় ছাঁকনিতে দুধের মিশ্রণটা ছেঁকে নিন। মিক্সারে কর্ণফ্লাওয়ার, চিনি ও লবণ দিয়ে ফেটিয়ে নিন। বড় পাত্রে পানি ফুটতে দিন। এর মধ্যে ডাবল বয়লারে মিশ্রণটা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিয়ে বেশ ঘন করুন। আঁচ থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে ফ্রিজার ট্রেতে রেখে ফ্রিজে রাখুন। জমে এলে ফ্রিজার থেকে বার করে দুধ দিয়ে আবার ফেটান। এতে আইসক্রিম নরম হলে ৩ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে বের করে জমানো অবস্থাতেই পরিবেশন করুন।

আমার লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আইসক্রিম কমবেশি সকলের পছন্দ কিন্তু একেকজনের একেক আইসক্রিম পছন্দ হয়ে থাকে। আজকে আপনি নারিকেল আইসক্রিম নিয়ে কথা বলেছেন এবং এটি তৈরি করার সকল উপাদান আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যেটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।

ধন্যবাদ আপনাকে আইসক্রিম নিয়ে এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।

আপনার আইসক্রিম খাবার অভ্যাসের কথা শুনে আমার ছোটবেলা কাঠি আইসক্রিমের কথা মনে পড়ে গেল। ১৯৬৮ সাল নাগাদ একটা আইসক্রিমের দাম ছিল মাত্র পাঁচ পয়সা। একটা কোকাকোলা ড্রীংকস ২০০ ম এল দাম ছিল ২৫ পয়সা। এসব কথা শুনে হয়তো অবাক লাগছে কিন্তু এটা ধ্রব সত্যি ।

Posted using SteemPro Mobile

একদমই ঠিক কথা বলেছেন। এটাই ধ্রুব সত্য। যা শুনলে এখনকার বাচ্চারা হাসবে।

ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন এজন্য।

আইসক্রিম আমারও খুব প্রিয় একটা খাবার,, আমি এখনো আইসক্রিম অনেক বেশি পছন্দ করি। আসলে ছোটবেলায় এই নারিকেলের আইসক্রিম গুলো পাওয়া যেত। বর্তমানে ও পাওয়া যায় তবে অনেক কম।

আজকে আপনি আমাদের সাথে আইসক্রিম তৈরির পদ্ধতিটা ও শেয়ার করেছেন। আসলে আমিও অনেকবার নিজের মতো করে আইসক্রিম তৈরি করেছি। কিন্তু ইনশাআল্লাহ অবশ্যই আপনার নিয়মাবলী ফলো করে। আইসক্রিম তৈরি করার চেষ্টা করব। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,, আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।

Delicious

আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আইসক্রিম আমার খুব পছন্দের একটা খাবার,আপনার আইসক্রিম দেখে আমার এখনই লোভ লেগে গেছে মনে চাচ্ছে এখনই বানিয়ে খেতে,খুব সুন্দর ভাবে উপকরণ সহ উপস্থাপনা করেছেন,যে কেউ চাইলে আপনার এখান থেকে আইসক্রিম বানানো শিখে নিতে পারবে, ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।

আমার।ও খুব পছন্দের আইসক্রিম ছিল এই নারিকেলের আইসক্রিম। আইসক্রিম ওয়ালা যখন বাসায় এসে ঠনঠন করে বাজাতো একটা বক্সের ভিতরে ঢুকিয়ে নিয়ে আসছি আইসক্রিম গুলা ।উপরে বরফ দেওয়া থাকতো, যাতে আইসক্রিম গুলা দীর্ঘক্ষণ ভালো থাকে না গলে যায়। অসাধারণ স্মৃতি মনে পড়ে গেল আপনার এই পোস্ট টি পড়ে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল।