সকল সদস্যকে জানাই 🙏🏾
ব্যরাকপুর গান্ধী স্মারক সংগ্রহালয়, কলকাতার মেট্রোপলিটন ডেভলপমেন্ট অথরিটি ও গ্রেটার কোলকাতায় অবস্থিত। ১৯৬১ সালে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় এবং ১৯৬৬, ৭ মে দর্শনের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এখানে গান্ধীজীর ব্যবহৃত সামগ্রী সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করে যা গান্ধীজীর জীবনের প্রতীকী দর্শনের প্রতিফলন করে। ১৯৭১ সালে এই ব্যরাকপুর সংগ্রহালয়টি একটি স্বাধীন সংস্থায় পরিনত হয়। বর্তমানে একটি মেন্জিং কমিটির দারা পরিচালিত হয়। মহাত্মা গান্ধীর মানব জাতির প্রতি ভালোবাসা ও অহিংস নীতির মর্যাদা দিয়ে এই মিউজিয়াম তৈরি হয়েছে সমগ্র প্রান্তিক মানব সমাজের জন্য। আজকের দিনে সমস্ত রকম আধুনিক মিউজিয়াম মিডিয়ার প্রয়োগ ও অনুষ্ঠান আয়োজন করে সংগ্রহালয়টি বিশেষ ভাবে চিত্তাকর্ষক। এখানে নানা সেমিনার, টক, ডায়লগের বিনিময় আয়োজন করা হয় ও গবেষণা করা হয়। এখানে গবেষকদের থাকার হোস্টেল আছে।
সংগ্রহালয় লাইব্রেরীতে বিভিন্ন গান্ধীজীর লেখা ও তার সম্বন্ধে লেখা বই এর সংখ্যা ১২০০০। গান্ধীজীর সম্পাদনায় অসংখ্য জার্নাল। ১০টি সাবস্ক্রাইব জার্নাল ও তিনটি দৈনিক পত্রিকা আসে। এখানে গ্রাহক হবার সুযোগ আছে।
এর গ্যালারি পাঁচ ভাগে বিভক্ত।
১. মুরাল গ্যালারি
প্রফেসর ধীরেন্দ্রনাথ ব্রহ্মা আঁকা ৮১ফুট বিস্তৃত চিত্রে গান্ধীজীর জীবনী ও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস বর্নীত হয়েছে। এই গ্যালারির কাজ শুরু হয় ১৯৬৪ এবং শেষ হয় ১৯৮০। এখানে দুটি ক্ষুদ্র সবরমতী আশ্রম ও সেবাগ্রাম আশ্রমের মডেল আছে। এখানে ভি আর কর্মকারের তৈরি গান্ধীজীর ব্রোঞ্জের মূর্তি আছে।
২. মহাত্মা গান্ধী ও স্বাধীনতা সংগ্রাম
১২টি প্যানেলের মধ্যে স্বাধীনতা সংগ্রামের বর্ননা করা আছে চিত্র সহকারে ও লেবেলিং করা আছে। বিভিন্ন পর্যায়ের ইতিহাস দেখা যায় এই প্যানেলে যেমন ভারতের রেঁনেসা, ১৮৫৭ দা গ্রেট মিউটিনি, পিজন মুভমেন্ট, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল মুভমেন্ট,ডা ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস, ডা পার্টিশন ওফ বেঙ্গল, ডেস ওফ পার্টিশন, মোহন থেকে মহাত্মা, লবণ সত্যাগ্রহ আন্দলন, কুইট ইন্ডিয়া মুভমেন্ট, আজাদ হিন্দ ফৈজ, স্বাধীনতা, ও গান্ধী হত্যা ইত্যাদি। একটি ফাইবার গ্লাস লাইফ সাইজ, সাবরমতীতে চরকা কাটার, গান্ধীজীর মূর্তি রয়েছে।
৩. বেঙ্গল গ্যালারি
এখানে আছি অনেক দুষ্প্রাপ্য গান্ধীজীর ছবি , সাক্ষাৎকারের নিউজ ক্লিপিংস, বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের ব্যবহৃত বিছানার চাদর, তালপাতার টুপি, লন্ঠন, ডেস্ক, কাঠের চড়কা, চিতা ভস্ম। এখানে সাব সেকশন গুলি রবীন্দ্রনাথ, শান্তিনিকেতন, নোয়াখালী ও সোদপুর ভাগ করা আছে।
এছাড়াও দুইটি আলাদা গ্যালারির নাম অডিও ভিজুয়াল এবং ডাইওরামা।
এই সংগ্রহশালা থেকে অনেক বাংলা ও ইংরেজি পুস্তক ও বুলেটিন প্রকাশিত হয়। একটি বার্ষিক রিপোর্ট ও প্রকাশিত হয়।
https://www.gandhimuseum.in/index.php
আমার ব্লগটি পড়ার জন ধন্যবাদ।
TEAM 1
Congratulations! This post has been upvoted through steemcurator04. We support quality posts, and good comments anywhere with any tags.Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit