কলেজে পিকনিকের দিন

in hive-120823 •  7 days ago 

নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি একটি পিকনিকের মুহূর্ত। গত ১৯ তারিখে আমাদের কলেজে পিকনিক ছিল। কলেজ বলতে আমাদের কৃষ্ণনগর বিএড কলেজ ।যেখান থেকে আমি আমার টিচার্স ট্রেনিং এর ডিগ্রীর জন্য ট্রেনিং করছি । যদিও আমি কলেজ বেশি যাই না, তাই পিকনিক করা নিয়েও আমার খুব একটা মাথা ব্যথা ছিল না।

20250121_131026_1.jpg

পরীক্ষার আগে এবং প্রজেক্ট নিয়ে স্যাররা আমাদের সবাইকে যেভাবে চাপ দেয়,সেই কারণে আমি ভেবেছিলাম যে পিকনিক করব না ।কিন্তু পিকনিক এর কিছুদিন আগে থেকেই সবাই খুব জোর করতে থাকলো। স্যার ম্যাডামরাও অনেকবার বলাতে, কিছু করার থাকলো না ।তখন ভেবেছিলাম যে , চলো সবাই বলছে যখন,পিকনিক করব।

আবার মাঝে এমন একটা গন্ডগোল হল। সবাই আবার পিকনিক করবে না ঠিক করেছিল। তখন আমিও ভেবেছিলাম ঠিক আছে ,আর পিকনিক করবো না ।যাই হোক শীতকাল মানেই পিকনিক। আমার ফ্যামিলি পিকনিকও ছিল অনেকগুলো। তাই এই কলেজের পিকনিক নিয়ে আমার অতটা মাথাব্যথা ছিল না।

20250121_125709.jpg

যেহেতু বাবা মার সাথে অনেক জায়গাতেই পিকনিক করতে হচ্ছে ।তাই একটা পিকনিক না করলে কোন যায় আসে না। আর যেটা ব্যাপার, সেটা হল কলেজে সকলের সাথে সেরকম বন্ডিং নেই ।কিছু জন আছে ,যারা খুব কাছের ।এছাড়া কারো সাথে সেরকম আমার অত কথাবার্তা হয় না ।তাই আমার অত ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু পিকনিকের আগের দিন এত ফোন আসতে থাকলো যে, ঠিক করে ফেললাম যে ,চলো পিকনিক করা যাক।।

20250121_130905_1.jpg

১৯ তারিখে পিকনিক ছিল। পিকনিকের মেনুতে ছিল সকালবেলায় লুচি, আলুর তরকারি ,চাটনি। আর দুপুরবেলায় ছিল বাসন্তী পোলাও, চিকেন, বেগুনি ,চাটনি পাপড় ,মিষ্টি। মিষ্টির মধ্যে ছিল কেশরী ভোগ। সব মিলিয়ে পার হেড আমাদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নিয়েছিল।

20250121_131100.jpg

যেহেতু সকাল থেকেই আমার অনেক কাজ থাকে। তাই আমার পিকনিকে ঢুকতে ঢুকতে দুপুর একটা বেজে যায়। গিয়েই চাটনি দিয়ে লুচি খেয়ে নিলাম।। আলুর তরকারি সব শেষ হয়ে গিয়েছিল। বাড়ি থেকে খেয়েও গিয়েছিলাম, এইতো আমি জানতাম আমাকে কাজ করেই ওখানে ঢুকতে হবে। তারপর সকলের সাথে দেখা হল এবং গল্প আড্ডা দিচ্ছিলাম।

20250121_132019.jpg

চাটনি এত সুন্দর খেতে হয়েছিল ,যে লুচি দিয়ে খেতে অসুবিধা হয়নি। ওদিকে ওরা বারবার বলছিল, যদি আমরা আগে থেকে ফোন করে বলে রাখতাম ,তাহলে ওরা আমাদের জন্য আগে থেকে সমস্ত খাবার তুলে রাখত। কিন্তু অসুবিধা হয়নি ।চাটনি দিয়েই খাওয়া গেছে। আসলে আলুর তরকারিটা নাকি এতই ভালো হয়েছিল, যে পুরো গামলা চেটেপুটে খেয়েছে সবাই। আমরা গিয়েও দেখলাম যে গামলা পুরো পরিষ্কার।

20250121_134709.jpg

তারপরে আমরা অনেক অনেক মজা করলাম ।কিন্তু বসে বসে । পিকনিক যেখানে হচ্ছিল সেটা কলেজের পেছন দিকের মাঠ। মাঠ না।ছোটখাটো একটা ফাঁকা জায়গা। সেটা পরিষ্কার করেই সেখানে পিকনিকের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আর সে জায়গাটায় যেহেতু অনেকটা রোদ ছিল, তাই আমরা সবাই কলেজের মধ্যে এসে কলেজের ছোট্ট মাঠটাতে ক্রিকেট খেলা দেখছিলাম কিছু জন মিলে। আমাদের মধ্য থেকে কিছু জন ক্রিকেট খেলছিল।

আমাদের মধ্যে থেকে কিছু মেয়েকে ক্রিকেট খেলার জন্য নেওয়া হয়েছিল। কারণ তারা ভীষণ কৌতূহলী ছিল ক্রিকেট খেলার জন্য। প্রথম কথা আমি ক্রিকেট খেলার নিয়ম জানি না, কখনো খেলিওনি। তাই আমি বসে বসে ওদের খেলাই দেখছিলাম। আর গল্প করছিলাম। আর মেয়েগুলোর ক্রিকেট খেলা দেখে হাসাহাসি করছিলাম। কারণ কারোরই ব্যাটে বল লাগছিল না।

কিছুক্ষণ এভাবে থাকতে থাকতে যখন ক্রিকেট খেলা শেষ হলো। তখন ঘুরতে বেরিয়ে গিয়েছিলাম।সেই নিয়ে পরের দিন লিখব। আজ এখানেই শেষ করছি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

পিকনিকে যাওয়ার মজাই আলাদা, কলেজের সকল বন্ধু-বান্ধবের সাথে অনেক আনন্দ করেছেন তা আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম। হয়তো আপনাদের পিকনিক স্থানটা আপনাদের কলেজের পিছের মাঠ। আপনার পোষ্টের ছবিগুলো দেখে খুবই আনন্দই পাচ্ছি। এত সুন্দর একটি আনন্দ মুহূর্ত আমাদের সাথে ভাগ করার জন্য, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

TEAM 5 Congratulations! This post has been voted through steemcurator07. We support quality posts, good comments anywhere and any tags.

Picsart_24-12-31_15-00-29-616.jpg

Curated By: @vivigibelis

Thank you so much @vivigibelis mam for supporting me.

Loading...

MashAllah so beautiful looks

Loading...

TEAM 5 Congratulations! This post has been voted through steemcurator07. We support quality posts, good comments anywhere and any tags.

Picsart_24-12-31_15-00-29-616.jpg

Curated By: @vivigibelis

শুরুতেই বলতে চাই আপনাকে দেখতে খুবই সুন্দর লাগতেছে দিদি 🤍😊 ৷ আরো দেখা টা যদি সামনে থেকে হতো আরো বুঝি বেশী সুন্দর লাগতো ৷

যাই হোক কথা না বাড়িয়ে মূল কথায় আসি আপনি কলেজের পিকনিকে অংশগ্রহণ করেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো ৷ আমরাও কলেজে থাকা অবস্থায় বেশ কয়েকবার পিকনিক করেছি বেশ আনন্দ পাই সবাই মিলে ৷ তার পাশাপাশি বেশ কিছু মুহূর্ত সবার সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়া যায় ৷

ধন্যবাদ দিদি ভালো থাকবেন 🥰🥰

আপনার পিকনিকের অভিজ্ঞতা পড়ে খুব ভালো লাগলো! পিকনিকের গল্প, খাবারের বর্ণনা এবং ক্রিকেট খেলার মজার মুহূর্তগুলো দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা এবং ছোট ছোট মজার ঘটনা পুরো পোস্টটাকে প্রাণবন্ত করে তুলেছে। পরের দিনের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করবেন, অপেক্ষায় থাকলাম। শুভকামনা রইল।