আব্বু না থাকায় সংসার ও ব্যবসা গুলোর দায়িত্ব বহন করা।

in hive-120823 •  10 days ago 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

আপনাদের মাঝে নতুন একটি অভিজ্ঞতা নিয়ে হাজির হয়েছি অভিজ্ঞতা জীবনের প্রথম বলা যেতে পারে। বিষয়টি হলো আব্বু না থাকায় সংসার ও ব্যবসা গুলো র দায়িত্ব বহন করা।

প্রায় দুই দিনের কাছাকাছি এই দায়িত্ব বহন করছি সংসার এর দায়িত্ব বহন করাটা কতটা কষ্ট তো হয় নাই কিন্তু অনেক দূর চিন্তা অনেক ক্লান্তের মধ্যে যাওয়া হয়েছে। একজন মানুষ সংসার জীবনে ঢুকলে কত কাজ করে যে প্রথম ঢুকে সেই বুঝে সেটার কাজের মর্ম।

আমাদের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পারিবারিক ও আমাদের নিজস্ব কিছু জমি আছে সেটা বিক্রিয় কথা চলতেছে প্রায় মাস খানিক আগে থেকেই, কিন্তু কাগজপত্র বের করতে তৈরি করতে প্রায় অনেকদিন লেগে যাচ্ছে আশেপাশের জমি গুলো প্রায় বিক্রি করা শেষ শুধু আমাদের জমি গুলোই আছে।

সেই জমি গুলো বিক্রি করার জন্য কোম্পানির লোকদের সাথে কথাবার্তা চলতেছে গত দুইদিন আগে কোম্পানি থেকে জানাই জমির পরিমাণ বেশি হওয়ায় ঢাকা যেতে হবে ।

সেজন্যই বুধবার সকালবেলা আব্বু আমাকে জানায় আমি যদি ঢাকা যাই আমার কাজগুলো তুমি করতে পারবে যদি করতে পারো তাহলে ঢাকা যাব আর যদি করতে না পারো তাহলে আমি যাব না আমি তো মনে করেছিলাম সামান্য কাজ এগুলো তো আমি আর আম্মু করতে পারবো সাথে কর্মচারীরা আছে কোন সমস্যা হবে না।

IMG20241108072454.jpg

আব্বু সকালের খাবার খেয়ে দাদু আর মেজো কাকা তিনজন মিলে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ।এরপর থেকে আমার কাজ করা শুরু হয়ে যায় । অনেক রকমের কাজ করে আজকে আবার পোল্ট্রি ফার্মের ডিম যাবে সে টাকা আনতে ভালুকা যেতে হবে তাই মোটামুটি কাজগুলো শেষ করে ডিমের টাকাগুলো আনতে যাই। ৮০% টাকা পোল্ট্রি ফার্মের খাদ্য টাকা দিয়ে আসি দোকানে।

ভালুকা থাকতেই আব্বু কল দেই গরুর ডাক্তার আর পোল্ট্রি ফার্মের ডাক্তার আসবেন সেগুলো ভালো করে দেখাতে কি কি সমস্যা কি সমস্যা গুলো আমাকে বলে দেয় আরো যদি অন্য কোন সমস্যা পাই সেগুলো যাতে ডাক্তারকে বলি। এর মধ্যেই জিজ্ঞেস করি কোন পর্যন্ত যাওয়া হয়েছে আব্বু ঢাকা পৌঁছে গেছে ।

ঢাকাতেই আমাদের পারিবারিক একটু দোকান আছে উত্তরার রাজলক্ষীতে, ঢাকা শহর আত্মীয় অনেকেই আছে তাই থাকার কোন সমস্যা হবে না তাও আত্মীয়ের বাসায় না উঠে কোম্পানি থেকে হোটেলের টাকা দিবে সে জন্যই হোটেলেই থাকবে। কথা শেষ করে বাকিগুলো টাকা নিয়ে বাড়িতে চলে আসি।

বাড়িতে আসা মাত্রই কিছুক্ষণ পরেই গরু ডাক্তার আছে গরুর কি অবস্থা সেটা জিজ্ঞেস করে কিছু ওষুধ লিখে দেয়। গরুর ডাক্তার থাকাকালীন ই পোল্ট্রি ডাক্তার চলে আসে কিছুদিন যাবৎ আমাদের ডিম কম আসতেছে সে কারণে ডাক্তার কে কল দিয়েছিল।

এরপরই কর্মচারী ভাইদের বাড়িতে আসি এসে মাছদের খাবার ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলি আব্বুর পরামর্শেই। মুরগি কি খাবার দিয়ে বাড়িতে এসে গোসল করে সন্ধ্যার দিকেই, বাস স্ট্যান্ড আসা লাগবে কিছু বাজার করা লাগবে তার সাথে ওই ওষুধগুলো
ক্রয় করতে হবে। ওষুধ কিনতে ভালো কাশি ওইখানে ওষুধ খুঁজতে খুঁজতেই আমার ২ ঘন্টার উপরে সময় পার হয়ে যায় ‌।

free-photo-of-two-girls-riding-bicycles-and-a-dog-running-on-a-countryside-road.jpeg

Link:
বাড়ির জন্য কিছু বাজার ওষুধ নিয়ে একটি গাড়ি নিয়ে বাড়িতে আসি। রাত দশটার দিকে পোল্ট্রি ফার্মের লাইট বন্ধ করে রাত্রে দুই থেকে তিন বার পোল্ট্রি ফার্ম পুকুর বিলগুলো চেক দেই একজন কর্মচারীকে সাথে নিয়ে।

সকাল হলে আবার কত রকম কাজ চিন্তা মাথায় ভর করে বর করতাছে এ কারণে মাথার ব্যথা করতেছে। সকালবেলা বুকে ফোন দিয়ে কালকের কাজের সম্পন্ন বিবরণ দেই আজকে কি কাজ করতে হবে তা মোটামুটি আব্বু বলে তার সাথে একজন কর্মচারী ভাইদের সাথে কথা বলে তার সাথে কথা বলা শেষ করে আম্মুর সাথেও কথা বলে কর্মচারী ভাইয়ের কথা শুনে একজন দিনমজুর রাখার কথা বলে।

চিন্তায় পড়ে যাই আমি এখন দিনমজুর কোথায় পাবো একটু পরে আবর আব্বুকে ফোন দেই আমি দিনমজুর কোথায় পাবো আব্বু কয়েকজনের নাম্বার দেয় তাদেরকে ফোন দেই সবাই ব্যস্ত আল্লাহর রহমতে একজনকে বলি আপনি না আসলেও আমাকে আরেকজন দেন। উনি একজনকে পাঠিয়ে দেয় ওকে দিয়ে অনেক রকমের কাজ সম্পন্ন করি। ওর সাথে সাথে থাকা লাগে এদিক দিয়ে কর্মচারী ভাইয়েরা পুকুরের কাজ করতেছে।

এর মধ্যেই আম্মু আব্বুকে কিছুক্ষণ পরপরই ফোন দেন জানি কি অবস্থা এর মত আম্মুর কাছ থেকে আমি আব্বুর ব্যাপারে খবর জানি। জমি বিক্রি হয়ে গেছে এখন চলে আসবে। তাও আস্তে আস্তে রাত্রে দশটা থেকে এগারোটা বাজবে। এই দুই দিন কাজ করে আমার খুবই না যে আলো অবস্থা খুবই ক্লান্ত। আব্বু বাড়িতে আসলে জানতে পারি জমি কত টাকা বিক্রি হলো আমাদের জমিন। আব্বু আমাকে জানাই দুইটা জমি মিলে দেড় কোটি টাকার উপরে বিক্রি হয়েছে।

pexels-photo-1835926.jpeg

Link:
আসলে সংসার জীবনটা খুবই কঠিন দুই দিনে আমি অনেক টাই বুঝে গেছি। যারা সিঙ্গেল থাকে তারা আসলেই চিন্তা থেকে মুক্ত থাকে। আমার কাছে সিঙ্গেল লাইফ ই বেস্ট হিসাবে মনে হয়।

আজকে পর্যন্তই সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সাবধানে থাকবেন

আল্লাহ হাফেজ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

বাড়িতে থাকতে আব্বু শুধু বলতো যে সংসদের দায়িত্ব ঘাড়ে নাও বাজার কর আমরা দুই ভাই কখনোই এই দায়িত্ব গ্রহণ করি না, আমরা কাজ করি আর অর্থআব্বুর হাতে তুলে দেই সংসারের সমস্ত দায়িত্ব আব্বুর কাছে থাকে।

দুইদিন সংসারের দায়িত্ব পালন করে বুঝতে পারছেন যে দায়িত্ব কাকে বলে আসলেই যাদের বাপ-মা নাই তাই বোঝে এর কষ্ট কতটুকু।

আপনার আব্বু বাড়িতে না থাকাই ব্যবসা এবং সংশয়ের সমস্ত দায়িত্ব আপনার ঘাড়ে যাই হোক আস্তে আস্তে অভিজ্ঞতা বাড়তে থাকবে তখন এটা মনে হবে নাহঠাৎ করে যে কোন কাজ করতে গেলেই অনেক বিভ্রান্তির ভিতরে পড়তে হয়।

জমি নিয়ে একটু ব্যস্ত থাকার জন্য আপনার আব্বু ঢাকায় চলে যায় এবং আপনাকে বলে আপনি যদি তার জায়গায় থেকে তার কাজ গুলো সম্পূর্ণ করতে পারেন তাহলে সে ঢাকায় যাবে আপনি ভেবেছিলেন সামান্য কাজ তাই আপনি কাজ গুলো করে উঠতে পারবেন আসলে একটি পরিবারের গার্জিয়ান একটি বাবা এবং এই বাবার ওপর দিয়ে কতটা পরিশ্রম যায় আশা করি সেটা আপনি অনুভব করতে পেরেছেন। যাইহোক সুন্দর একটি লেখা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

আমাদের সংসারে বাবা কতটা ভূমিকা পালন করে যখন বাবা থাকে না তখন সেটা বোঝা যায়। কয়েকদিন আঙ্কেল নেই তাই সংসারের সকল কাজ আপনাকেই করতে হচ্ছে এতে বুঝতেছেন বাবা নামক জিনিসটা কতটা প্রয়োজন।।