বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম |
---|
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। |
---|
সৃষ্টিকর্তা আমাকে নতুন একটি দিন উপহার দিয়েছিল ওই দিন কিভাবে উদযাপন করেছি আপনাদেরকে জানাতে পোষ্টের মাধ্যমে চলে আসলাম।
সকাল বেলা প্রতিদিনকার মতোই বিছানা থেকে একটু দেরি করে উঠি, বাইরে বের হয়ে ডানে বামে না তাকিয়ে সরাসরি কোয়েল পাখিদের সাথে দেখা করার জন্য চলে আসি।ওদেরকে সকালের খাবার দিয়ে আমি পানি গরম করতে চলে যাই ফ্লাক্সে গরম পানি করে নিয়ে এসে ঠান্ডা পানি গরম পানি মিক্স করে দিয়ে।
সকালবেলা তাদের কাজটা সম্পন্ন করে মুরগি দের সাথে দেখা করার জন্য ফ্রেশ হয়ে চলে আসি কারন , কোয়েল পাখির ব্যাকটেরিয়া যদি শরীরে বা কাপড়ের লেগে থাকে সেজন্যই ফ্রেশ হয়ে সতর্ক হয়ে তারপর পোল্ট্রি ফার্মে এসে জীবাণুমুক্ত স্প্রে করে পোল্ট্রি ফার্মে যতবারই ডুকি ততবারই জীবাণুমুক্ত স্প্রে করতে হয়।
আজকে মনে হয় ভালো করে মনে হয় রোদ উঠবে তাই কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাস এখনো আছে হালকা-পাতলা তাও দেখা যাচ্ছে সূর্য উঠতেছে তাই পর্দা গুলো উঠিয়ে ভিতরে না ঢুকে বাড়িতে এসে ফ্রেশ হয়ে সকালের হালকা কিছু খাবার খেয়ে, বড় বিল পাড়ে চলে আসি এসে দেখি গরুকে খাবার দিতেছে একটু পরের দুধ ধোয়া বে, আরো কিছু কাজ আছে গরুর সেগুলো করবে হোটেলে দুধ দিয়ে যাবে।
বিলে ওষুধ তিনজনকেই দেওয়া লাগবে একজন কমে গেলে সময় অনেক অতিবাহিত হয়ে যাবে তাই আব্বু আর আরেকজন কর্মচারী ভাই আসলে , দেখা যাবে তারপর কি করা যায়।
আব্বু আর কর্মচারী ভাই পোল্ট্রি কাজ শেষ করে আসলে, আমি বাড়িতেই বসে থাকি তারা অভিজ্ঞ লোক আছে কি করবে তারাই জানে, রোদ উঠে গেছে ভালো করেই আব্বু আমাকে ডাক দিয়ে সাথে নিয়ে বড় বিলে পড়ে আসে।
গরুর দায়িত্ব দিয়েছিল কর্মচারী ভাই উনার এখনো অনেক কাজ বাকি আছে, এই কাজগুলো একজনের শেষ করতেই হবে। যার কাজ তাকে আব্বু দায়িত্বে দিয়ে আমরা তিন জন নৌকা নিয়ে বড় বিল পাড়ে ওষুধ দেওয়ার কাজ শুরু করলাম।
আমি আর কর্মচারী ভাই নৌকায় পানি তুলে ওষুধগুলো মিক্স করে দিই নৌকাতেই ,আব্বু নৌকা চালাতে থাকে দুজনের সম্পূর্ণ বিল দেওয়া পরে বাড়িতে চলে আসি আমি গোসল করার জন্য। আর তারা শিং মাছের পুকুরে আর মাগুর মাছের পুকুরে ওষুধগুলো প্রয়োগ করে দেই দুই কর্মচারী ভাই।
আমি গোসল শেষ করে অনেকক্ষণ ধরে কোয়েল পাখিদের সাথে দেখা করি না তাই তাদের সাথে দেখা করার জন্য চলে আসি, আম্মু তাদেরকে খাবার দেয় পানি দেয়, আমি এসে দুপুরের খাবারও পানি দেই একটা দুর্বল পাখি তাকে সবাই টুকুর দেয় তাকে আলাদা করে খাবার দিয়ে আমি দুপুর খাবার খাওয়ার জন্য চলে আসি।
দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকি রোদ্রে ,আব্বু এসে বাহিরে রৌদ্রে দাঁড়িয়ে থাকে। আব্বু সকাল বেলা বড় বিলের বান দেখতে গিয়েছিল পানি যাচ্ছে কিনা কিন্তু সকালে গিয়ে দেখে দুই জায়গা দিয়ে পানি যাচ্ছে। সেই কথা দাঁড়িয়ে থাকে দুপুরবেলা আমাকে বলে এখন গিয়ে দেখে আসো তো কি রকম পানি যাচ্ছে বেশি না কম।
আমি আরেকজন কর্মচারী ভাইকে নিয়ে পানি বন্ধ করার জন্য চলে আসি বানে এসে কর্মচারী ভাই বিলে নেমে পানি যাওয়ার রাস্তাটা বন্ধ করে দিতে নামে, আমি অপর পাশ থেকে ওকে জানাই পানি কমছে না বাড়ছে। বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টা করার পরে সফল হয় আমি আর কর্মচারী ভাই বাড়িতে চলে আসি
পানি বন্ধ হওয়ার কথাটা জানিয়ে কর্মচারী ভাই চলে যায় আমি পোল্ট্রি ফার্মে যাওয়ার জন্য চাবি নিয়ে চলে আসি বাকি ডিম তুলে পানি পাইপ পরিষ্কার করে পানি দিয়ে কাকিদের বাড়িতে চলে আসি, ওদের সাথে গল্প করে। বাড়ি এসে ফ্রেস হয়ে বিকেল বেলা হাঁটতে বের হই।
ব্যস্ততার কারণে কাজের চাপে এখন প্রায় অনেকদিন ধরে সকালবেলা হাটা হয় না, ঘোরাঘুরি করতে আমার কতটা ভালো লাগে তা বলে বুঝানো যাবেনা। বিকালের হাটা অল্প শুধু হয় ,পোল্ট্রি ফার্মের কোয়েল পাখির দের লাইট দেওয়ার সময় হলে তাড়াহুড়া করে চলে আসতে হয়।
আমি এসে দেখি মুরগির পানির দুইটা পাইপের পানি পরিমাণ খুবই অল্প রাত নয়টা পর্যন্ত যাবে না তাই মোটর চালু করে দুইটা পাইপে পানি দিয়ে পোল্ট্রি ফার্মের পাশে গাছ গুলো কে পানি দিয়ে, বাকি ডিম তুলে কোয়েল পাখিদের খাদ্য পানি দিয়ে পর্দা লাগিয়ে লাইট জ্বালিয়ে বাড়িতে চলে আসি
ফ্রেশ হয়ে আমাদের বড় বিল পাড়ে চলে আসি ,ওদের কে নিয়ে ভালুকা যাব তাদের স্যালারি দেওয়ার জন্য ব্যাংক থেকে টাকা তুলে, সম্পূর্ণ টাকা তুলে দিতে পারি নাই, আগামী কালকে ও টাকা তুলে দেওয়া লাগবে, আগামী কালকে ডাক্তার আসবে কোয়েল পাখি তার সাথে মুরগিকে দেখার জন্যে।
তাদেরকে টাকা দিয়ে আমি বাড়িতে চলে আসি আম্মুর জন্য হাতে কিছু বাদাম নিয়ে, তারা কিছু বাজার করে মনে হয় বাড়িতে এসে আম্মুকে বাদাম হাতে দিয়ে আমার রুমে চলে আসি। মোবাইল নিয়ে কম্বলের নিচে শুয়ে পড়ি, আব্বু আশা আগ পর্যন্ত মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকি।
আব্বু আসলে রাত্রে খাওয়া দাওয়া করে আমি আমার রুমে চলে আসি মোবাইল নিয়ে আরো কিছুক্ষণ ব্যস্ত থাকি চোখে ঘুম আসলে মোবাইলটা রেখে ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নেই।
আজকে এ পর্যন্তই সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সাবধানে থাকবেন।।।