বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। |
---|
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। |
---|
প্রতিদিনকার মতোই আজকে সকালবেলা একটু আগে গিয়ে উঠে পড়ি কিন্তু ঘর থেকে বাইরে বের হওয়ার অনুমতি পাইনা, জানালা দিয়ে বাহিরের দৃশ্য সকালবেলা একটু উপভোগ করি বাইরে ঠান্ডা বাতাসে নেই ,নেই কোন কুয়াশা। তাও গায়ে ঠান্ডা লাগছে।
আমার রুমে থেকে বাইরে বের হয়ে প্রতিদিনের মতোই ডানে-বামে না তাকিয়ে সরাসরি কোয়েল পাখি দেরকে দেখার জন্য চলে আসি, তার সাথে খাবার ও পানি জন্য আসি, পাখি দেরকে সকালবেলার খাবার দিয়ে তার সাথে গরম পানি ঠান্ডা পানি মিক্স করে কোয়েল পাখি দেরকে পানি দিয়ে।
প্রতিদিনকার মতোই পোল্ট্রি ফার্মে চলে আসি, তাদের কাজ কতটুক শেষ হয়েছে তা দেখতে আসি তার সাথে সাথে পর্দা তোলার জন্য আসি আজকে এসে দেখি পর্দা অলরেডি তুলে ফেলেছে, কর্মচারী ভাইয়ের ফ্লোর পরিষ্কার করছে। আব্বু মুরগিকে খাবার দিচ্ছে এখনো মুরগিকে পানি দেওয়া হয় নাই।
গতকালকের ঠান্ডা পানি গুলো ফেলে দিয়ে মটর চালু করাই ছিল পাইপ টা কিছুক্ষণের জন্য পানি দিয়ে দিতে বলি কর্মচারী ভাইকে, যদি আবার কারেন্ট চলে যায় এটার তো কখনো বর্ষা নেই।
ফ্লোর পরিষ্কার বাদ দিয়ে মুরগিকে পানি দেওয়া শেষ করে আমি বাড়িতে চলে আসি, ফ্রেশ হয়ে হালকা কিছু খাবার খেয়ে মোবাইল নিয়ে রৌদ্রে বসে পরি, রোদে বসে মোবাইল চালাতে বেশ ভালোই লাগছিল। বেশ কিছুক্ষণ মোবাইল চালানোর পরে, সকালের খাবার তৈরি হয়ে যায় তাই, সকালে খাওয়া দাওয়া টা সম্পূর্ণ করে, বড় বিল পাড়ে চলে আসি।
ছোট্ট সদস্যকে দেখার জন্য অনেকদিন ধরেই তার সাথে সময় কাটানো হয় না, আগে থেকে অনেকটাই চঞ্চল হয়ে গেছে, এসে দেখি মায়ের কাছ থেকে দুধ খাচ্ছে কেবল এইমাত্র দুধ ধোয়া শেষ করেছে দুধ নিয়ে হোটেলেও চলে গেছে, ভাবিদের সাথে গল্প করে।
বাড়িতে চলে আসি, আম্মু দিয়ে ছিল কল ডাক্তার এসেছে, ডাক্তারের সাথে কোয়েল পাখি সমস্যা গুলো অসুবিধা গুলো খুলে বলি কিছু সাজেশন দেয় আমাকে তার সাথে ওষুধপত্র দেয়, পোল্ট্রি ফার্মো চলে আসে ও ঘুরে দেখে ওখানে ওষুধ লিখে দেয়।
বাড়িতে এসে প্রেস্ক্রিপশন রেখে , আমি আমার ছোট কাকির বাচ্চা গুলো দেখতে আসি, ডিম তুলার সময় হলে প্রতিদিনের মতোই ডিম তুলতে আমি আর কর্মচারী ভাই চলে যাই , ডিম তুলা শেষ হলে বাড়িতে চলে আসি প্রতিদিনকার মতোই কোয়েল পাখির কে দুপুরের খাবার পানি দিয়ে গোসল করে রোদ্রের বসে থাকি।
মোবাইল দিয়ে ব্যস্ত থাকি, দুপুরের খাওয়া তৈরি হলে খাওয়া দাওয়া করে রোদে এসে বসে থাকি খাওয়া দাওয়ার পরে একটু ঠান্ডা লাগে রোদ্রে এসে বসে থাকলে খুব ভালো লাগে। পিছন দিক দিয়ে আমাদের ফ্যামিলির ছোট্ট সদস্য আমাকে কানে কানে কি বলতে চাই কিন্তু দুঃখজনক তার ভাষা একদমই আমি বুঝি না।
দুপুর বেলা মুরগির খাবার দেওয়ার সময় হলে আমি তাদের সাথে চলে আসি তাড়াতাড়ি আমি পানি পরিষ্কার করে আবার মোটর চালু করে পানি দিয়ে , দেওয়া শেষ হলে বাড়িতে চলে আসি ফ্রেশ হয়ে তাড়াতাড়ি করেন বাস স্ট্যান্ড চলে আসি প্রেস্ক্রিপশন নিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ।
ভালুকা চলে যায় কোয়েল পাখিদের জন্য ওষুধ ক্রয় করে বাড়িতে চলে আসি। কাজের চাপে বিকেল বেলায় হাঁটা হলো না, এই কথা ভেবে বাড়ি পর্যন্ত আসি বাড়িতে প্রথম না ঢুকে সরাসরি বিল পারে কর্মচারী ভাইদের বাড়িতে চলে আসি। ভাবিদের হাতে বাকি টাকাগুলো তুলে দেয় পোল্ট্রি ফার্মের প্লাস কোয়েল পাখির লাইট দেওয়ার সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে তাই দৌড়ে চাবিগুলো নিয়ে ।
পোল্ট্রি ফার্মে লাইট জ্বালিয়ে বাকি ডিম গুলো তুলে পোল্ট্রি ফার্মে আশপাশ ঘুরা ঘুরি করে, কোয়েল পাখির ওখানে চলে আসি ওদেরকে লাইট জ্বালিয়ে খাবার দিয়ে পানি দিয়ে পর্দা লাগিয়ে দেই, আমি বাড়িতে চলে আসি ওদের কাজ মোটামুটি শেষ করে।
আমি ফ্রেশ হয়ে আমার রুমে চলে আসি, মোবাইল নিয়ে কিছু সময় অতিবাহিত করার পর আমাদের ভাড়াটিয়ার দুই বাহিনী আমার রুমে চলে আসে, ল্যাপটপে কাটন দেখবে, আমি দেব না তাদের সাথে একটু মজা করতেছি বড় জন বসেই ছিল বসে বসে আমাকে অনুরোধ করতেছে আর একদম ছোট্ট সে দৌড়ে চলে যায় কান্না করে দেয় আম্মুকে নিয়ে আসে আম্মু দিতে বলে। কি আর করার দেওয়া লাগবে।
তাদেরকে কার্টুন দিয়ে আমি মোবাইলে নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়ি। সাড়ে আটটা পর্যন্ত তারা দেখা শেষ করে আবার তাদের বাড়িতে চলে যায় আমার শরীরটা একটু খারাপ লাগছিল তাই আর আব্বুর জন্য অপেক্ষা না করে রাত্রে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নেই,
আজকের পোস্ট এ পর্যন্তই সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সাবধানে থাকবেন।।
আপনার দিনচর্যার বিবরণ পড়তে খুবই ভালো লাগল। পোল্ট্রি ফার্মে আপনার কাজের প্রতি যত্ন, কোয়েল পাখিদের প্রতি ভালোবাসা, এবং ছোট সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটানো সবকিছু খুবই সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। জীবনযাত্রার ছোট ছোট মুহূর্তগুলির মধ্যে যে আনন্দ লুকিয়ে থাকে, তা আপনার পোস্টে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। আপনার ভালোবাসা এবং দায়িত্বশীলতা সত্যিই প্রশংসনীয়। আপনার দিনের অভিজ্ঞতাগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit