Better life with steem || The Diary Game || 16 November 2024 ||

in hive-120823 •  yesterday 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

সকাল

IMG_20241117_151555.jpg

আজকে সকালটা একটা দুঃখের জনক খবর শুনে শুরু হয়, আমাদের বাড়ির থেকে তিন বাড়ি পরে একজন মহিলা কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিল সেই মহিলাটা আজকে ভোররাতে মারা গেছে। মানুষের চেঁচামেচি শুনে ঘুম থেকে উঠে বাড়িতে গিয়ে দেখি কান্নাকাটি করতেছে। ওই মহিলাটিকে আমি দাদি বলে ডাকতাম।

IMG20241116080242.jpg

এটা দেখে খুবই খারাপ লাগলো, একদিন আমিও মারা যাবো এই কথা ভেবে, জন্ম নিলে মৃত্যু হবেই, কথাগুলো ভেবেই আমারও চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে পড়ল। মৃত্যুর ভয় সকলেই পাই।

তাই বেশিক্ষণ ওখানে দাঁড়িয়ে না থেকে বাড়িতে চলে আসি, মন খারাপ নিয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকি আব্বু আম্মু আমাকে বুঝিয়ে পোল্ট্রি ফার্মে চলে যাই আমিও তাদের সাথে চলে আসি, কাজে থাকলে এ বিষয়টা ভুলে যাব। গতকালকে মারামারি করে একটি মুরগি অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল সেটাকে আলাদা একটি খাচায় রাখি।

IMG20241116165304.jpg

কাজ করতে করতে আসলে এই বিষয়টা অনেকটাই ভুলে যায়। কাজ করার শেষ করে বাড়িতে আসার সময় আবার ওদের বাড়ি হয়ে আসি। মৃত্যু মহিলার ছেলে-মেয়ে অনেক কান্না করতেছে তাই ওইখানে আর দাঁড়িয়ে না থেকে তাড়াতাড়ি বাড়িতে চলে আসি।

অনেক মানুষ গাড়ি দিয়ে আসতেছে। বাড়িতে ভালো লাগতেছে না তাই কাকিদের বাড়িতে চলে আসি ছোট ভাতিজা সাথে খেলাধুলা করার জন্য হাসি খুশি থাকার জন্য। খেলাধুলা করে সকালের খাবার তৈরি করে ফেলেছে খাওয়ার জন্য আম্মু ডাক দেয়।

সকালে খাবার খাওয়ার জন্য, আম্মুর সাথে আমাদের বাড়িতে চলে আসি ।খাওয়া দাওয়া করার জন্য বাড়িতে এসে সকালে খাওয়া দাওয়া করতে একদমই ইচ্ছে করলো না। মেডিসিন খাওয়ার জন্য অল্প কিছু খাবার খেয়ে।

IMG20241116080525.jpg

মৃত্যু ব্যক্তির বাড়ি এসে দেখি কবর খনন করিতেছে যোহরের নামাজের পরে জানাজার। বাড়িতে চলে আসি আমাদের পোল্ট্রি ফার্মের মিটারে বড় বিলের মটর বৈদ্যুতিক সংযোগ দেওয়া আছে সেজন্য ওই সংযোগ সরিয়ে এর নিজস্ব একটি মিটার নামানো হয়েছে বড় বিলের জন্য সেই মিটারে সংযোগ করার জন্য একজন ইলেকট্রিশিয়ান আসে তার সাথে সাহায্য করি।

দুপুর +বিকাল

IMG20241116165430.jpg

এর সাথে আমাদের মাগুর মাছের পুকুরের একটি লাইক নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ।ওই টাও ঠিক করে রাখা হয়। ইলেকট্রিশিয়ান চলে যাওয়ায়। আমি আর আম্মুর ডিম তুলতে চলে আসি। দুই লাইন তুলতে জোহরের আযান দিয়ে দেয় তাই যোহরের পরে জানাযার ।

IMG20241116165250.jpg

ডিম তুলা বাদ দিয়ে বাড়িতে এসে গোসল করে জোহরের নামাজ পড়তে যায়। নামাজ শেষ করে মসজিদ থেকে অনেক ও আশেপাশে থেকে অনেক লোক আসতেছে। তাদের সাথেই আমি জানাযার নামাজ আদায় করার জন্য তাদের সাথে অংশগ্রহণ করি।

IMG20241116134745.jpg

জানাজার নামাজ শেষ করে মৃত্যু ব্যক্তির মাটি দেওয়ার জন্য ওকে কবর নামানো হয় ওটা দেখে আমার খুবই খারাপ লাগে তাই একটু দূরে চলে আসি ।
মাটি দেওয়া যখন শেষ পর্যায়ে আমিও কিছু হাতে নিয়ে মাটি দিয়ে বাড়িতে চলে আসি।

দুপুরে রান্না হয়ে গেছে আমাকে খাওয়ার জন্য আম্মু বলে আব্বু আসলে সকলেই এক সাথেই খাওয়া-দাওয়া করি। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমি শুয়ে ছোট একটি ঘুম দেই, আম্মু আব্বু তারা পোল্ট্রি ফার্মে মুরগিদের খাদ্য দেওয়ার জন্য চলে যাই।

আসরের আযান দিলে ঘুম থেকে উঠি নামাজ পড়ে বিকেলে হাঁটতে বের হই।সন্ধ্যা হওয়ার কিছুক্ষণ আগে বাড়িতে চলে আসি। পোল্ট্রি ফার্মে শিং মাছের মাগুর পুকুরে মাছের লাইট দেওয়া লাগবে। লাইট দিয়ে বাড়িতে চলে আসি আম্মু আর কাকিরা ওই দাদির বাড়িতে চলে যায় তাদের মেয়েদেরকে দেখার জন্য আমি এবং আমার চাচাতো বোন চাচাতো ভাই সবাই মিলে একটু লুডু খেলি।

সন্ধ্যা

IMG20241116210345.jpg

IMG20241116210510.jpg

IMG20241116210550.jpg

তারা আসলে আরো কিছুক্ষণ বসে গল্প করে আমাদের খেলা শেষ হইলে আমি আর আম্মু বাড়িতে চলে আসি। মোবাইল নিয়ে শুয়ে পড়ি কিছুক্ষণ মোবাইল দেখি আব্বু আসলে বাইরে থেকে আসাই ঠান্ডা বেশি লাগে তাই আর বাইরে বের হতে চাই না। আমাকে বলে বাইরের কাজগুলো তুমি করে আসো। পোল্ট্রি ফার্মের লাইট অফ করা আর মোটর চালু দিয়ে।

IMG20241116210623.jpg

বাড়িতে চলে আসি রাত্রের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে
শুয়ে শুয়ে মোবাইল দেখি নতুন সকালের আশায় ঘুমিয়ে পড়ি।

আজকে লেখা সমাপ্ত ঘোষণা করছি সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সাবধানে থাকবেন

আল্লাহ হাফেজ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

জন্ম যখন নিয়েছি একদিন না একদিন এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে। এই পৃথিবীতে কেউ অমর হয়ে আসে না হয়ত কেউ বেশি দিন এই পৃথিবীতে বেচে থাকে আবার কেউ অনেক আগেই সবাইকে ছেড়ে চলে যায়। আগে হোক বা দেরিতে একদিন না একদিন চলে যেতেই হবে এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে।

মুরগী ফার্মে আমিও মাঝে মাঝে কাজ করি আর ওদের কান্ড দেখলে আমার ভীষণ রাগ হয়। একটা অন্যটার সাথে মারামারি করে করার সময় ঠোঁট দিয়ে একে অপরকে ঠোকাতে থাকে এসে অনেক সময় আহত হয়ে রক্ত বের হয়। সেগুলোকে আলাদা করে রাখা হয়। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য।