Better life with steem || The Diary Game || 24 January 2025 ||

in hive-120823 •  8 days ago 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

Collage_2025-01-25_06_12_03.jpg

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

কেমন আছেন বন্ধুরা ? আশা করি এই শীতের দিনগুলোতে অনেক সুন্দর সময় কাটছে আমার ওই শীতের সুন্দর দিনগুলো অনেক সুন্দর ভাবে অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছে, তাই শীতের সুন্দর একটি দিন আপনাদের সাথে শেয়ার করতে, চলে আসলাম পোস্টের মাধ্যমে।

আলহামদুলিল্লাহ সৃষ্টিকর্তার দয়ায় নতুন আরেকটি সকাল আমার জীবনে দেখতে পেলাম, তাই সুন্দর সকালটাকে সুন্দরভাবে দেখার জন্য বাহিরে বের হয়ে দেখি ভারী কুয়াশা ঠান্ডা বাতাস খুব কম।

IMG20250124094743.jpg

প্রাকৃতির মধ্যে যখন সাদা চাদরে ডেকে থাকে এই দৃশ্যটা দেখতে খুব ভালো লাগে, আজকে কোয়েল পাখি দেরকে খাবার না দিয়েই প্রথমে একটু হেঁটে প্রকৃতি টাকে দেখে আসি, বেশিদূর আর হাঁটা হলো না কোয়েল পাখিদের খাবার দিতে হবে, বেশি দেরি হয়ে গেলে তাদের খাবার কষ্ট হতে পারে।

IMG20250124142925.jpg

বাইরে কুয়াশা তাই পর্দা না খুলে খাবার পানি দিয়ে আমি পোল্ট্রি ফার্মে চলে আসলাম গতকালকে ডাক্তার এসেছিল ওষুধ লিখে দিয়ে গিয়েছে। গতকাল পোস্টে লিখেছিলাম সন্ধ্যার পরে ওষুধ ক্রয় করে নিয়ে এসেছিলাম আজকে সকাল বেলা ওষুধ দিয়ে দেই। ওষুধ দেওয়া শেষ করে আমি বাড়িতে এসে ফ্রেশ হয়ে সকালে হালকা কিছু খাবার খেয়ে।

IMG20250124122822.jpg

বাহিরে বের হয়ে দেখি সকালের থেকে বেশি কুয়াশা, বাহিরে আর না বের হয়ে রুমের মধ্যেই মোবাইল নিয়ে, ব্যস্ত হয়ে পড়ি। সকালের খাবার আগ পর্যন্ত রুমের মধ্যেই থাকি সকালে খাওয়া দাওয়া করে।

IMG20250124150535.jpg

বাহিরে বের হয়ে দেখি কুয়াশা আগে থেকে একটু কমে গেছে, গতকাল কে ডাক্তার এসেছিল মাকড়সার জাল সেগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য বলে দিয়ে যায় ।তাই আমি আরেকজন কর্মচারী ভাই পোল্ট্রি ফার্মে এসে মাকড়সার জাল গুলো ফেলে দেই। আজকে শুক্রবার তাই এই বিষয়টি মাথায় রেখে তাড়াতাড়ি আরো কাজটা শেষ করে, এর পাশাপাশি ডিম তুলা শেষ করে বাড়িতে আসা মাত্রই জুম্মার আযান দিয়ে দিয়েছিল।

IMG20250124130218.jpg

নামাজ পড়তে যাবো গোসল করে রেডি হয়ে মসজিদে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে চলে আসি। নামাজ শেষ করে সূর্য উঠেছে কিন্তু সূর্যের ততটা তাপ লাগছে না তাই কোয়েল পাখির এক সাইট খুলে দেই।
তার সাথে দুপুরে কোয়েল পাখি দেরকে খাবার দিয়ে আমি বাড়িতে চলে আসি।

IMG20250124143155.jpg

IMG20250124143228.jpg

IMG20250124143322.jpg

সূর্য থেকে যতটুক তাব আসছে তাও ভালো লাগছে শীতের কালের সময়ে। আম্মু ডাক পড়ে যায় দুপুরে খাবার খাওয়ার জন্য। দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করেন বিল পাড়ে এসে রোদ্রে বসে থাকলাম রোদে বসে থাকতে ভালোই লাগছিল এর মধ্যেই মোবাইলের ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি দুপুরের মুরগিকে খাবার দেওয়ার সময় প্রায় গনিয়ে এসেছে ।

IMG20250124142948.jpg

IMG20250124143032.jpg

আমি বাড়ি থেকে পোল্ট্রি ফার্মে চাবি নিয়ে পোল্ট্রি ফার্মে এসে বাকি ডিম গুলো তুলে পাইপ পরিষ্কার করতে থাকি এর মধ্যেই আব্বু আর কর্মচারী ভাই চলে আসে। পানির পাইপ পরিষ্কার করে ওষুধ দিয়ে দেই এই ওষুধের দাম খুব বেশি তাই ওষুধ দেওয়া লাগতেছে একটু ওষুধ অপচয় করা যাবে না, এই চিন্তা ভাবনাই করে দিয়ে দেই ওষুধগুলো মুরগী কে দেয়। আরে সাথে যারা বেশি অসুস্থ হয়ে গেছে তাদেরকে নিজে নামিয়ে রেখে তাদেরকে এক্সট্রা যত্ন করি।

IMG20250124161250.jpg

ওষুধ দেওয়া শেষ করে বাড়িতে এসে, ফ্রেশ হয়ে বিকেলবেলা হাঁটতে যাব সকালে একবার ফোন দিয়েছিল আমাদের একজন ভাড়াটিয়া তাদের ডিস লাইন নষ্ট হয়ে গেছে সেটা দেখার জন্য তার সাথে সাথে লোকদের সাথে যোগাযোগ করে সেটা সংযোগ দেওয়ার জন্য। তাদের বাড়িতে আসা মাত্রই যাদের রুম একটি নাই তারা বলতে থাকে সকাল থেকে ফোন দিতে ছি আসার এখানে আসার ইচ্ছে নেই। বিকেলবেলা আসছেন আমার কাজের কথাগুলো বলি যায়নি তো আমার কিরকম ব্যস্ততা বাড়িতে।

IMG20250124103909.jpg

তাদের সাথে আর কথা না বললে ছাদে গিয়ে দেখি ডিস লাইন পানি পড়ে জং ধরে গিয়ে ছিড়ে পড়ে আছে জয়েন্টের জায়গায়, সেটা সংযুক্ত দিয়ে তাদের কাছে পেঁচানোর মত টেপ ছিল না পলিথিন দিয়ে নিচে চলে আসি। ওদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে।

IMG20250124104656.jpg

মনে মনে ভাবলাম আজকে বিকেলের আর হাঁটা হলো না, তাই ঐখানে থেকেই সরাসরি পোল্ট্রি ফার্মে লাইট দিয়ে কোয়েল পাখিদের লাইট দিয়ে খাবার দিয়ে পর্দা গুলো ফেলে দেই, আমি বাড়িতে এসে মাগরিবের আজান শুনতে পাই এসে ফ্রেশ হয়ে রুমে এসে মোবাইল নিয়ে বসে পড়ি।

IMG20250124193021.jpg

IMG20250124165558.jpg

বেশ কিছুক্ষণ মোবাইল চালানোর পর সাতটার দিকে নরমাল পানি দিতে আবার পোল্ট্রি ফার্মে চলে আসি । সন্ধ্যার দিকে দুইজন কর্মচারী ভাই বাস স্ট্যান্ড চলে গেছে তাই আমার পানি দেওয়া লাগলো, পানি দেওয়া শেষ করে আমি আবার বাড়িতে চলে আসি, মোবাইলে বাকি অংশ কাজটা শেষ করে।

IMG20250124193051.jpg

আব্বু আসলে রাত্রের খাওয়া-দাওয়া করে আমি আমার রুমে চলে আসি ঘুমানোর জন্য, অল্প খানিক মোবাইল চালিয়ে আবার নতুন একটি সকালের জন্য ঘুমিয়ে পড়ি।

আজকের পোস্টে পর্যন্তই সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সাবধানে থাকবেন ।

আল্লাহ হাফেজ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

বাসায় কোন কাজের দায়িত্বে থাকলে বাইরে বেশি সময় অতিবাহিত করাটা কষ্টকর হয়।। সকাল মুহূর্তে হাঁটাহাঁটি করেছেন আসলে শীদের দিনে হাঁটাহাঁটি করা আমার অপছন্দ।।

দায়িত্ব নিয়ে কোয়েল পাখির যত্ন নিয়েছেন আবার নামাজ ও আদায় করেছেন।। সব মিলিয়ে সুন্দর ভাবে একটি দিন অতিবাহিত করেছেন।।

সকালবেলা হাঁটাহাঁটি করার গরম হক বা শীত সবসময় ভালো লাগে আমার শুধু বৃষ্টি দিন বাদ দিয়ে।

ধন্যবাদ ভাই, সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।

দাদা আপনার দৈনন্দিন দিনের কর্মকান্ড আমাদের মাঝে এতো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রতিদিন আপনার দৈনন্দিন দিনের কর্মকান্ড পড়তে বেশ ভালো লাগে। আপনি প্রতিদিনই ব্যস্ততার মাধ্যমে দিনগুলো অতিবাহিত করেন। পোল্ট্রির ফরমে কাজ করা সত্যি অনেক কষ্টসাধ্য একটি কাজ।

আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন দাদা।

সকাল থেকে শুরু করে মোটামুটি বলা যায় আপনার দিনটা অনেক বেশি ব্যস্ততার মধ্যেই কেটে যায় বিশেষ করে নিজেদের পোল্ট্রি ফার্ম এবং কোয়েল পাখির দেখাশোনা করার জন্য অবশ্যই লোক নিয়েছেন কিন্তু তারপরেও আপনাদেরকে কাজ করতে হয় আসলেই কাজগুলো যতটা সহজ ভাবে মানুষ নেয় ততটা সহজ হয় না।

আবার ডিস লাইনের তার ঠিক করার জন্য গিয়েছিলেন সেখানে গিয়ে আবার কাজটা সঠিকভাবে সম্পূর্ণ করেছেন আপনাদের দুজন কর্মচারী তারা বাস স্ট্যান্ডে চলে গেছে তাই আপনাকে আবার সন্ধ্যার পরে কাজ করতে হয়েছে অসংখ্য ধন্যবাদ এত ব্যস্ততার মাঝেও আপনার একটা দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।