বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। কেমন আছেন বন্ধুরা আশা করি ভাল আছেন সুস্থ আছেন আপনাদের মাঝে নতুন একটি ডাইরি গেম নিয়ে হাজির হয়েছি।
সকাল বেলা
গতকাল রাত্রে হালকা তুফান হয়েছিল যার গতকাল রাত থেকেই কারেন্ট চলে গেছে সে কারণে সকালবেলা কাজটাও কিছু কম শুধু মুরগিকে খাদ্য দিয়েই আব্বু-আম্মু আবার ঘুমিয়ে পড়ে।
আমি আটটার পরে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে কিছুক্ষণ হাটাহাটি করি। আম্মু উঠে গেছে সকালের না খাবার রান্না করতেছে আব্বু এখনো ঘুমাই মধ্যে আছে।
কারেন্ট নাই মোবাইলে নেটওয়ার্ক কিছুটা দুর্বল ঘরে কাজ করতেছে না বাহিরে গেলে মোটামুটি কাজ কর সকালে খাবার খাওয়ার জন্য আম্মু ডাক দেয় খাবার খেতে যাব তখনই বাহির থেকে দুই থেকে তিনজন লোক আসে আব্বুর সাথে দেখা করতে সেটার কারণ ছিল আমাদের বড় বিলে কিছু পোনা মাছ ছাড়বে সে জন্য যার কাছ থেকে মাছ আনবে তাকে অগ্রিম কিছু টাকা দেয়।
উনারা চলে গেলে সকালের খাবার খাই আমি আব্বু আম্মু কারেন্ট জন্য অপেক্ষায় আছে কারেন আসলে তাদের হাতে অনেক কাজ এগুলো করে তারপর তারা খাওয়া দাওয়া করবে এর আগে হালকা টিফিন খাই তারা।
আব্বু আমাকে বলে আমাদের কারেন্ট বিলের গুলো জমা দিয়ে আসতে। পাঁচটা কারেন্ট বিলের কাগজ নিয়ে বাড়ি থেকে ২২ হাজার টাকা নিয়ে ভালুকা চলে আসি বিদ্যুৎ অফিসে। এ বিলগুলো অনলাইনেও দেওয়া যেতে পারে কিন্তু বাড়ির কাছেই অফিস থাকায় তাহলে কেন অনলাইনে টাকা ঢুকাবো।
আর অনেকগুলো টাকার তো অনেক ব্যাপার হতে পারে তাই হাতে হাতেই জমা দেওয়া হয়। কারেন্ট বিলগুলো জমা দিয়ে আমি বাড়িতে চলে আসি।
দুপুর বেলা
প্রচন্ড গরম শরীর পানিতে সম্পন্ন ভিজে গেছে তাই সাড়ে বারোটায় গোসল শেষ করি তারপর জোহরের আজান দিলে নামাজ পড়তে চলে যায় নামাজ শেষ করে বাড়িতে এসে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকি তারপর আড়াইটার দিকে ডিম তুলবে কর্মচারী চলে আসে দেখতে কিভাবে কাজ করতেছে।
এদিক দিয়ে আবার করে খাদ্য দিবে সময় পার করার জন্য তার পিছনে পিছনে চলে আসি খাদ্য দেওয়া দেখতে। আমি যদি সুস্থ থাকতাম তাহলে ওদের সাথে কিছু হেল্প করা যেত। প্রচন্ড গরম লাগতেছিল তাই।
বিকেল বেলা
এখন ওইখানে দেখে বাড়িতে চলে আসি। এসে দেখি কারেন্ট চলে আসছে তাই আসা মাত্রই উপরে খাওয়া-দাওয়া টা শেষ করেনি। কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে আসরের নামাজ পড়তে মসজিদে চলে আসি।
হাঁটতে থাকে এদিকে খাদ্যের গাড়ি চলে আসে খাদ্য গুলো কর্মচারীরাই নামাইতাছে আমি শুধু গণনা করে হিসাব করে আব্বুকে বলে দেই। মুরগির ফার্মের জন্য ১০ বস্তা। শিং মাছ ও মাগুর মাছের জন্য ৩৫ বস্তা। আর পাংকাস মাছের খাদ্য এখনো শেষ হয় নাই সেজন্য সেটা এখনো আসেনি।
সন্ধ্যাবেলা
এই হিসাবগুলো দিয়ে এবং খাদ্য রিসিভ এর খাতায় সিগনেচার দিয়ে বাড়িতে চলে আসি। এখন ঘোরাফেরা করি মাগরিবের আজান হলে নামাজ পড়ে বাড়িতে চলে আসছি। মাগরিবের পর থেকেই দুই ভাড়াটিয়া প্রচন্ড ঝগড়া লাগতেছে সেই ঝগড়াটা থামানোর চেষ্টা করি কিন্তু ব্যর্থ হই। কারণ এই ঝগড়াটে আমার আম্মু শরিক হয়ে যায়।
তিনজনকে থামানো খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয় এই জগড়ার মধ্যেই বৃষ্টি পড়ে যায় আশেপাশে বাড়ি থেকে চলুক জন আসে আমাদের বারান্দায় লোকজন ভরে যায় বৃষ্টি থামলেই একে একে সবাই চলে যাই ঝগড়াও থেমে যায় মহিলাদের ঝগড়া এতটা বড় হতে পারে কোথায় থেকে কোথায় চলে যায় কেউ জানে না।
আমি আমার রুমে চলে আসি রাত্রে খাওয়া দাওয়া খেয়ে নেই এবং পোস্ট লিখতে বসে যাই অসুস্থতার কারণে মাঝেমধ্যে একদিন গ্যাপ পড়ে যাচ্ছে সেজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সুস্থ হয়ে গেলে নিয়মিত পোস্ট করব ইনশাআল্লাহ।
আজকে পোস্টে পর্যন্তই সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সাবধানে থাকবেন এবং আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যাতে তাড়াতাড়ি অসুস্থ থেকে সুস্থ হয়ে উঠি।