ল্যাবরেটরিতে খাবারের আয়োজনে আমরাই সেরা!

in hive-120823 •  6 months ago 

শুভ সকাল,
সবাইকে জানাই সকালের শুভেচ্ছা। খুব ব্যস্ত সময় যেন যাচ্ছে আমার কেননা আমি দুই দিন হল নিজে রান্না করে খাওয়ার চেষ্টা করতেছি। আমি নিজে রান্না করে খাওয়ার জন্য প্রথম প্রথম কয়েকদিন একটু কষ্ট হবে যেমন বর্তমান সময় কোথায় দিয়ে যাচ্ছে বুঝতেই পারতেছি না, আর কেননা আমার রান্না করতে অনেক সময় লাগতেছে।

IMG_20240705_182948_392.jpg

যাই হোক আজকে আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি অফিসে শুক্রবারের দিন সন্ধ্যাবেলায় ল্যাবরেটরির কয়েকজন মিলে হালকা নাস্তার ব্যবস্থা করেছি।

Name of the participant in the event
  • Jakaria Talukder
  • Polok Kumar
  • Odhir

যেহেতু আমরা B Shift এ তিনজন ছিলাম এ কারণে আমরা তিনজন মিলে কাজ শেষ হওয়ার পর তিনজন মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম আজকে বাইরে থেকে খাবার নিয়ে আসবো বেশ ভালো হবে তাহলে।

যদিও আমাদের অফিসের ক্যান্টিন রয়েছে কিন্তু ক্যান্টিনে আমাদের আজকে যেই আয়োজন করার চিন্তাভাবনা করেছি সেই খাবারগুলো নেই এ কারণে বাহিরে যাওয়া।

IMG_20240705_182813_888.jpg

List of food names
  • সবজি রোল
  • সামোসা (মোটু আর পাতলু)
  • আলুর চপ
  • ডাল পুরি
  • পিয়াজি
  • শসা
  • টমেটোর সস

আরো বেশ কিছু খাবারের নামও লেখা হয়েছিল কিন্তু সেগুলো পাওয়া যায়নি এছাড়াও আমাদের টাকা অর্থাৎ বাজেট কম ছিল তা না হলে আরো অনেক অনেক খাবার পাওয়া যেত বাজেট অনুযায়ী।

আমাদের বাজেট অনুযায়ী মোটামুটি ভালো খাবারই ছিল। যাই হোক আলহামদুলিল্লাহ অবশেষে অনেকদিন পর কয়েকজন মিলে আমরা খাবারের আয়োজন করলাম। বিকাল ছয়টার দিকে Polok Kumar কে গেট পাশ দিয়ে বাহিরে পাঠিয়ে দিলাম। ওই ভাই বাহির থেকে খাবার নিয়ে আসলো।

IMG_20240705_182953_253.jpg

এরপর আমরা বেশ কয়েকটি সুন্দর সুন্দর সিম্পলের মধ্য থেকে তিনটি স্যাম্পল নিলাম যদিও ফুলের সৌন্দর্য দিয়েও ছিল কিন্তু সেগুলো নেয়া হয়নি! তবে সেইগুলো নিলে আরো ভালো লাগতো তো যাই হোক ব্যাপার না।

তিনটি সিরামিকসের প্লেট এর মধ্যে সুন্দরভাবে সাজাতে লাগলো Polok Kumar. এরপর সে নিজেই বলতেছে ভাই ছবি উঠান। বললাম হ্যাঁ অবশ্যই কেন নয়! এরপর খাবার খাব এই কারণে আমি আরও একটি সেলফি উঠালাম।

IMG_20240705_183120_395.jpg

অধীর ভাই বলল সমুসা আরো বড় আকারের পাওয়া যায় সেগুলোও ১০ টাকা করে বিক্রি করে ওই অলিপুর। এখানে একটু ছোট করে বিক্রি করতেছে দেখা যাচ্ছে কিন্তু একই রকম দাম। এক জায়গায় একেক রকম কিছুই বলা যায় না যেভাবে চায়!

তিনজন গল্প করতে করতে খাওয়া-দাওয়া করলাম। নাইট শিফটিং কে আসবে তাকে ভালোভাবে কাজ বুঝিয়ে দিয়ে চলে যেতে হবে। বাকি কাজ কি কি থাকতেছে সেগুলো নিয়ে কথা হলো।

যদিও নাইট শিফটে কোন কাজ রাখা হয় না শুধুমাত্র হাতেগোনা দুই একটি কাজ আর হচ্ছে ফায়ারিং সেকশনে যদি কোন স্যাম্পল দিয়ে থাকে সেগুলো সংরক্ষণ করা এগুলোই নাইট শিফটে রিসিভ করবে।

IMG_20240705_183002_272.jpg

যাই হোক অবশেষে তিনজন মিলে খাওয়া দাওয়া করলাম এবং ছবি উঠিয়ে সংরক্ষণ করলাম এবং আপনাদের মাঝে উহা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

তবে ফারজান ভাই থাকলে আরো বেশ ভালো হতো। ফারজান ভাই খুবই মজার মানুষ হাস্য রসিক! ফারজান ভাই অবশ্য তিন দিনের ছুটি নিয়েছে এই কারণেই তার দেখা নেই ল্যাবরেটরীতে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

রান্না করে অভ্যস্ত না হলে শরীর থেকে রান্না করাটা কিছুটা কষ্টসাধ্যই বটে। আমি প্রতিদিন রান্না করি তারপরও রান্না করার কথা মনে হলেই অস্থির লাগে।
তবে যদি নিজেরা রান্না করতে পারেন তাহলে সাস্থ ও খরচ দুটোই ভালো থাকবে।
আপান্দের খাবারের আয়োজনটা ভালোই। তবে সমুসা যে মটু পাতলু হতে পারে এটা দেখে মজা পেয়েছি।
যা-ই হোক, আপনাদের তিনজনের খাওয়ার ছবিটা অনেক সুন্দর হয়েছে।

সমুসা খাওয়ার কথা কিংবা দেখলেই সেই কার্টুনের কথা মনে হয় যেই কার্টুন এ মটু পাতলু থাকে। কেননা ছোটবেলায় মটু পাতলুর কাটুন দেখা হয়েছে তো এ কারণে 😃😅😉🤩

সবাই মিলে হঠাৎ করে এরকম খাবারের আয়োজন করতে আমারও ভীষণ ভালো লাগে।। আর হ্যাঁ অল্প টাকায় অনেক খাবার পেয়েছেন।। শুনে খারাপ লাগলো এখন নিজের রান্না নিজে করেই খেতে হয় ।। ছেলেদের জন্য রান্না করা অনেক বিরক্তিকর এটা আমার কাছে মনে হয়।।

হ্যাঁ মোটামুটি অল্প টাকায় তার পরেও তিনজনের টাকা একত্রে হয়ে মোটামুটি ভালো একটি এমাউন্ট এর জন্য ভালো খাবার পাওয়া গেছে। ধন্যবাদ

মাঝে মাঝে সবাই মিলে এরকম আনন্দ করবেন ভাই এতে করে মনটা অনেক ফ্রেশ হয়।। আর এখন তো আপনার রান্না করে খেতে হয় তাই মাঝে মাঝে নিজেই উদ্যোগ নিবেন।।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে যদি একটু আনন্দ না করা হয় তাহলে সে কাজে কখনো মন বসে না, যাদের সাথে আপনি কাজ করেন সবাই যদি একসাথে মিলে মিশে থাকেন তাহলে আরো ভালো লাগে যেমন আপনারা সবাই মিলে অনেক সুন্দর একটি নাস্তার ব্যবস্থা করেছেন এবং সবাই মিলে অনেক সুন্দর করে মিলেমিশে খাওয়া-দাওয়া করেছেন, যাই হোক আসলেই খাবারের আয়োজনে আপনারাই সেরা বললেই চলে এবং আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল।

বাইরের ভাজাপোড়া খাবারের দিকে আমার লোভ বারাবরই। কম খরচের মধ্যে ভালো আয়োজন করেছেন। আর নিজে রান্না করে খাওয়ার ব্যাপারটা খুব ভালো। এটি জীবন পরিচালনার একটি অন্যতম স্কিল বলে আমি মনে করি। নিজের খাবার নিজে রান্না করে খাওয়ার পর যখন মজা হয় খেতে তখন যেন আনন্দের সীমা থাকে না। তিনজন মিলে অসাধারণ সময় পার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে আনন্দঘন মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।

TEAM 6 : Congratulations!

This post has been curated using steemcurator08. We appreciate your efforts on making quality blogs and post relevant comments. Thank You! 😊

footer.jpg

Curated by : @shohana1

Dear sister (@shohana1)
Thank you very much for your valuable support in this article.

ভাই আপনার বাংলায় ব্লগ করা দেখে অনেক ভাল লেগেছে, আজকাল বাংলা পোস্ট দেখা যায় না স্টিমিটে এমনকি আমি নিজেও লিখিনা। আমি চাই আপনি বাংলা পোস্ট করার ভাল অভ্যাসটা ধরে রাখুন। অনেক শুভকামনা জানাই!

আপু আপনাকে ধন্যবাদ জানাই অনুপ্রাণিত করার জন্য 💞
আমি অবশ্যই আমার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিয়ে কোয়ালিটি সম্পন্ন বাংলা লেখা শেয়ার করব, আপু দোয়া করবেন আমার জন্য 🤲

প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি নিজে রান্না করে খাওয়ার জন্য। যেকোনো কাজ না জানা থাকলে প্রথমে একটু কষ্ট হয় এটা আমরা সকলেই কম বেশ জানি। প্রবাদ বাক্যে আছে চেষ্টা থাকলে উপায় হয়। তবে আমি বলবো নিজের কাজ নিজে করার মধ্যে অনেক আনন্দ উপভোগ করা যায়।

সন্ধ্যার পর বিভিন্ন রকম ফাস্টফুড সকল পেশাজীবী মানুষেরই খুব পছন্দ যে কারণে ফাস্টফুড খেয়ে থাকে। অফিস কলিগদের নিয়ে এই ফাস্টফুড খাওয়ার আয়োজন খুব ভালো ছিল। আর সত্যিকার অর্থে ফারজান ভাই ওখানে থাকলে আরো ভালো হতো। ফাস্টফুড খাওয়ার এই সুন্দর আয়োজন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

ফাস্টফুড আসলেই সকলেই পছন্দ করে। আর আয়োজনে তাই তো আমরা রেখেছি এই ফাস্টফুড জাতীয় হরেক রকমের খাবার। এটা ঠিক ফারজান ভাই থাকলে অবশ্যই আরো ভালো থাকতো। ধন্যবাদ জানাই আকর্ষণীয় মন্তব্যের জন্য।

আমার মন্তব্যের উপর এত সুন্দর করে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

অসম্ভব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন মাঝেমধ্যে এরকম খাওয়া-দাওয়া হলে তো বেশ ভালোই লাগে। আর তা যদি হয় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে দিতে তাহলে তো আনন্দের সীমা থাকে না।
চাকরি জীবন আরো ভালো কাটুক বন্ধুদের সাথে সেই প্রত্যাশা রাখছি।

বন্ধুদের সাথে খাবার খাওয়ার সময় যেন হারিয়ে ফেলেছি প্রায় সাত থেকে আট মাস পূর্বে। যখন আমরা কলেজের হলে থাকতাম তখন প্রায় আড্ডা হতো এবং খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন থাকতই! এখনো হয় তবে আগের মত আর হয় না।

এই খাবারগুলো আমার খুব প্রিয়, যদিও অনেকে ভয় পায় গ্যাস হবে ভেবে, পুরুষ মানুষের জন্য নিজে রান্না করে খাওয়া একটু কষ্টকর, আমি দীর্ঘদিন রান্না করে খেয়েছি, আপনাদের আয়োজনটা সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

আসলে বাহিরের খাবার খাওয়া ঠিক নয়! এছাড়া ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খাওয়ায় পর্যাপ্ত গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আপনার মূল্যবান মন্তব্য পেয়ে আনন্দিত‌ 🤝

সম্মানিত @ steemcurator01,
অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনার মূল্যবান সমর্থন প্রদানের জন্য। আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করি 🤝