সুন্দর্য,
সৌন্দর্য শুধু ফুলের মধ্যেই কি সীমাবদ্ধ নাকি উহার বহিঃ প্রকাশের জন্য সুঘ্রাণের প্রয়োজন রয়েছে! অবশ্যই সুঘ্রাণ প্রয়োজন রয়েছে কেননা শুধরানোর মাধ্যমেই মানুষ উহাকে আরো বেশি উপভোগ করে।
আচ্ছা এমন কি কখনো দেখেছেন যে কেউ ফুল নিল বা আপনি কাউকে ফুল দিলেন বা আপনাকে কেউ ফুল দিল আর সেই ফুল আপনি নাকে নিয়ে সুবাস নিচ্ছেন না এমন কি কখনো হয়েছে মনে করে দেখুন তো?
না এমন কি কখনো হয়নি! তার মানে কি তার মানে হচ্ছে আপনি ফুলকে বাহ্যিকভাবে ওয়ার সৌন্দর্য চক্ষু দ্বারা দেখলেন এবং উহাকে আরো দৃঢ়ভাবে উপভোগ করার জন্য নাকের কাছে নিয়ে ঘ্রাণ শুকছেন।
অনুরূপভাবে মানুষ এর বিকল্প নয় তবে মানুষকে ফুলের মত শুকে উপভোগ করার জন্য নয় কিংবা মানুষের সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে তার প্রতি মুগ্ধ হয়ে যাওয়া এমনটিও নয় বরং মানুষের সৌন্দর্য মানুষের মুগ্ধতা মানুষের আচার-ব্যবহার চলাফেরা এগুলোর মাধ্যমে প্রকাশিত পায়।
তুমি অনেক সুন্দর, তুমি অনেক জ্ঞানী তোমার মধ্যে বেশ ভালো গুণ রয়েছে এরপরেও তুমি যদি অহংকারী হও তাহলে তোমার সৌন্দর্য ধূলিসাৎ হয়ে যাবে জ্ঞান অর্জন বৃথা হয়ে যাবে তোমার গুণগুলো থাকবে না। কেননা অহংকার একমাত্র আল্লাহ তাআলার। যদি কেউ অহংকার করে সে যেন আল্লাহ তাআলার চাদর ধরে টানা হেঁচড়া করে,, নাউজুবিল্লাহ।
যদি তোমার মধ্যে অত্যাধিক পরিমাণে জ্ঞান নেই তবে যতটুকু জ্ঞান তুমি আহরণ করেছ আল্লাহতালা তোমাকে মেধা দিয়েছে তুমি মানুষের পাশে থাকো আল্লাহ্ তাহলে তোমাকে অনেক গুণ দিয়েছে। তুমি যদি অহংকার না করো আল্লাহতালা তোমাকে ভালোবাসবে। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে অহংকার থেকে মুক্ত হওয়ার তৌফিক দান করুন আমিন।
অনেকেই আমরা রয়েছি যারা অন্যকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে কথা বলি। মনেই করি না যে আমি তাকে অপমান করে কথা বলতেছি, ঘোরার মত লাগামহীন। এমন কথা বলিও না যা অন্যকে কষ্ট দেয় সত্যের পথে অবিচল থেকে
হয়তো আজ তুমি রুপে লাবণ্বিত সৌন্দর্য মন্ডিত চেহারা নিয়ে অন্যকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যভাবে কথা বলতেছ কালো বলে! কখনো কি চিন্তা করে দেখেছো এই সৌন্দর্য রূপ কতদিন stable. একদিন সবই ছেড়ে চলে যেতে হবে। একটি সময় একেবারে ছোট ছিলাম এরপর ধীরে ধীরে বড় হলাম যৌবনকাল পেরিয়ে এখন বৃদ্ধর পথে। দাড়ি চুল পেকে যাচ্ছে চামড়া ঝুলে পড়ছে দাঁতগুলো আবারো ঝরে পড়ছে। মনে কি পড়ে যখন ছিল সৌন্দর্য তখন অন্যকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে কথা বলেছি আজ আমার পরিণতি কি!
এভাবেই আমাকে আপনাকে যেতে হবে সময়ের ব্যবধানে অনেক কথাই হয়নি বলা পেয়ে যাবে নিজে নিজেই উহার জবাব। থাকবে না বলার কিছু তখন আর।