বিকেল,
সকাল পেরিয়ে দুপুর আর দুপুর পেরিয়ে বিকেল। দিনটি ছিল বুধবার ১৭ তারিখ। আমি শরিফুল আর জাহিন ভাই আমরা একটি রুমে সব সময় গল্প করি।
বিকেলবেলা তাই দেখতে পারতেছি জাহিদ ভাই বের হয়ে যাচ্ছে। বললাম ভাই কোথায় যাবেন আমাদের কেউ নিয়ে যান। বলতেছে হাবিব ভাই ঘুরতে বের হবে তাই ডাকলো আমায়। আমি বললাম আমাদের কেউ নিয়ে যান আমরাও ঘুরতে যাই অনেকদিন হলো বের হওয়াই হয় না।
পরে বলতেছে ঠিক আছে তাহলে তোমরা রেডি হও যাওয়ার জন্য। দ্রুত ভাবে প্যান্ট পড়লাম আর গেঞ্জি গায়ে দিলাম। শরিফুল ও দ্রুত প্যান্ট ও গেঞ্জি পরিধান করো। হাটি হাটি পা পা করে গ্রামের মধ্য দিয়ে চলতে শুরু করলাম মেঠো পথ ধরে।
যাচ্ছি এখন হাবিব ভাইকে সাথে নিয়ে এরপর আমরা রেল পথ ধরবো। হাবিব ভাই দেখি রেগে ফায়ার! জাহিদ ভাইকে বলতেছে হ্যাঁ তুমি এত দেরি করলে কেন আমি এখানে ১০ মিনিটের মত দাঁড়িয়ে ছিলাম, এরপর আবার রুমে গিয়েছি; তোমার কোন খোঁজ খবর নাই; এত দেরি করে কেউ!
যাইহোক ভাই সাথে করে আমরা হাঁটতে শুরু করলাম। মেঠো পথ ধরে একটু সামনে গিয়ে রেলপথ আর রেল পথ এর ডান পাশেই এখন দেখতে পারতেছি বিশাল বড় পাহাড়। ভাইকে এটাই বলতেছি দেখুন ভাই কত সুন্দর এত বড় পাহাড় ভাবতে অবাক লাগে আর এরপরই রেলপথ এবং যানবাহন চলাচলের জায়গা করে দেওয়া হয়েছে আবার সেই পাহাড়ের ঘেসেই মানুষ বসবাস করে।
আরেকটি কথা বলে, রিফাত ভাই ও জাহিদ ভাই কোন একদিন হাঁটতে ছিল সাথে হাবিব ভাই ও ছিল মনে হয়; আমি তখন ছিলাম না। ঘটনাটি আমাকে বলেছে, রেল লাইন ধরে হাটতেছি আমরা কয়েকজন কিন্তু আমাদের খেয়াল নেই, ট্রেন আসতেছে আমরা সবাই মনের আনন্দে গল্প করতেছি হাসি ঠাট্টা করতে করতে রেললাইন ধরেই যাচ্ছি।
হঠাৎ করে আমাদের পাশ দিয়ে যাওয়া এগুলো চিৎকার করে বলতেছে আপনারা কি পাগল হয়ে গেছেন! ট্রেন আসতেছে তাড়াতাড়ি রেল লাইন ছাড়ুন। এভাবে আমরা গল্প করতে করতে একটি জায়গা পেলাম ছোট্ট একটি ব্রিজ আর সেই ব্রিজের নিচ দিয়ে ঝর্ণার মত পানি অবিরাম গতিতে যাচ্ছে।
সেখানে আমরা বসলাম। কর্মজীবনের কথা বিয়ে করার গল্প এবং জাহিদ ভাইকে বিয়ে করিয়ে দেব এ নিয়ে মেয়েদের জন্য আমরা সবাই রেডি কিন্তু কোনমতেই জাহিদ ভাই রাজি হচ্ছে না এখনই বিয়ে করার জন্য।
বড় ভাই অবশ্য এখনই বিয়ে করবে না তবে বাড়ি থেকে পড়লে সাথে সাথে বিয়ে করার জন্য এক পায়ে দাঁড়িয়ে যায় কিন্তু বাড়ি থেকে বলতেছে না এ কারণে কোন পায়েই দাঁড়িয়ে নেই 😅
এদিকে শরিফুল বিয়ে করে ফেলল কিন্তু দাওয়াত হলো না ষ, যদিও বন্ধু আমাদেরকে মিষ্টি খাওয়াইছে। যাইহোক অন্তত শরিফুল তো বিয়ে করল এখন আমাদের কেউ করতে হবে।
আমিও অনেক কথাই বললাম তবে বিয়ের কথা অবশ্য বাড়িতে বলা হয়েছে; কিন্তু স্যালারি আরো একটু বৃদ্ধি না পেলে বিয়েতে অগ্রসর না করাই ভালো। কেননা আর্থিক স্বচ্ছলতা প্রয়োজন।
অনেক গল্প আর গল্প। গল্পের সীমারেখা পেরিয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেল। এখন চলে যাওয়া যাক বাড়ি উদ্দেশ্যে রওনা। আজকের মত এখানেই সমাপ্তি ঘোষণা।
বিকেল বেলা রেললাইন দিয়ে হাটা মজাই আনন্দ ওইখানে যদি আড্ডা দেওয়া হয় তাও তো কোন কথাই হয় না আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। বিয়ে একদিন একদিন করতেই হবে শান্তির জন্য পরিবার থেকে করা ভালো। পরিবারের বিপরীতে বিয়ে করলে শান্তি কম থাকবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit