আশাকরি , আপনারা সবাই খুব ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো একটি বৃষ্টি ভেজা দিনের কথা।
চলুন শুরু করা যাক।
একটি বৃষ্টি ভেজা দিন
বৃষ্টির অনেক ধরনের মানে আছে। বৃষ্টিতে আমাদের কারো জন্য ভালো আবার কারো জন্য খারাপ হয়ে থাকে। যেমন মনে করেন আপনি বাসায় আছেন এবং বৃষ্টিকে উপভোগ করতে পারছেন, সেটি আপনার জন্য ভালো। কিন্তু মনে করুন,অতিমাত্রায় বৃষ্টির কারণে আপনার বাসায় পানি চলে আসলো। তখন আপনি আর শান্তিতে বসে থাকতে পারবেন না। অথবা যারা দিনে আনে এবং দিনে খায়, তাদের কথা একটু চিন্তা করুন। বৃষ্টির কারণে তাদের নানা ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। তীব্র গরম পড়ুক আর বৃষ্টি পড়ুক,পেটের খিদা মেটাতে তাদের কিন্তু কাজ করতে যেতে হয়। একজন রিক্সাচালক ভাইয়ের কথা চিন্তা করুন। চারিদিকে বন্যায় থৈ থৈ করছে পানি।
কিন্তু সে রিক্সাচালক ভাইটিকে রিকশা চালিয়ে যেতে হবে। কারণ রিকশা চালাতে না পারলে যে, পরিবার চলতে পারবে না। পরিবারের কথা চিন্তা করে হলেও রিকশা চালিয়ে যেতেই হবে। গত কয়েকদিন যাবত টানা বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রামবাসীকে অনেক বেশি বন্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিশেষ করে শহর অঞ্চলে ,যেসব জায়গা গুলো নিচু এলাকা রয়েছে, সেগুলো অনেক বেশি পানিতে প্লাবিত হয়ে গিয়েছে।
যাদের প্রতিদিন অফিস করতে হয় এবং স্কুল কলেজের যেতে হয় তারা অনেক বেশি সমস্যায় পড়ছেন ।কোন কোন জায়গায় এত বেশি পানি যে ,আপনি সহজে হাঁটতেও পারবেন না ।পানিশ্রুত অনেক বেশি থাকে এবং সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হল ,রাস্তার পাশে বড় বড় কিছু নালা রয়েছে। যেগুলো কিনা সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা সংস্করণ করা হয়েছে । তারপরও পানি অতিমাত্রায় হয়ে যাওয়ার কারণে রাস্তা এবং নালা দুইটি একসাথে মিলে গিয়েছে । ফলে লোক সাধারণের কাছে বোঝতে অসুবিধা হয়ে যাচ্ছে, কোনটি রাস্তা এবং কোনটি নালা । যার কারণে বড় বিপদের আশঙ্কাও রয়েছে ।
এই নালা গুলো সংস্করণের জন্য অনেক বড় বড় প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে । কিন্তু এখনো তার ফলাফল তেমন একটা পাওয়া যায়নি । যার কারণে চট্টগ্রামবাসীকে এখনো, সে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ।
বৃষ্টি আমার কেমন লাগে?
আমার নিজের সম্পর্কে যদি বলতে যাই ।যেহেতু চারদিকে অনেক বেশি বৃষ্টি হচ্ছে ,পুরো জায়গায় বন্যায় প্লাবিত হয়ে গিয়েছে এবং পরিবেশটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগছিল । তাই বাসায় ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় খোলা ছিল । শহর থেকে হাটহাজারী ক্যাম্পাসে যেতে হয় । কিন্তু সারারাত বৃষ্টি হওয়ার পর সকালের পরিবেশটা অনেক বেশি মনোরম ছিল ।যার কারণে আর ক্যাম্পাসে যাওয়া হয়নি । আপনি যদি বাসায় থেকে বৃষ্টিকে উপভোগ করতে চান। তাহলে আপনার কাছে বৃষ্টি অনেক বেশি মনমুগ্ধকর মনে হবে ।আর এই সময় যদি খিচুড়ি খাওয়া যায় এবং সাথে ডিম ।তাহলে তার কথাই নেই ।এই সময় অনেকে অনেক ভাবে উপভোগ করতে পারে এই দিনগুলা ।কিন্তু আপনি যদি একটু চিন্তা করেন পার্শ্ববর্তী মানুষগুলো কেমন আছে ,তখন আসলে মনে হবে, বৃষ্টি অতিমাত্রায় হলে সেটি আসলেই বেদনাদায়ক ।কারণ গরিব মানুষের জন্য অতিমাত্রার বৃষ্টি অনেক বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে ।বৃষ্টি হচ্ছে আল্লাহর একটি রহমত স্বরূপ ।
এটি বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের জন্য বিভিন্ন রকম হতে পারে ।কারো কাছে আনন্দময় এবং কারো কাছে বেদনাদায়ক ।
বৃষ্টিতে ক্যাম্পাসের অবস্থা
আমার এক বন্ধু ,সে ক্যাম্পাসে থাকে । সারাদিন বৃষ্টি হওয়ার কারণে তাদের এলাকায় প্রায় ১৭ ঘণ্টার মতো বিদ্যুৎ নেই । বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ,মটর দিয়ে পানি তুলতে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে । যেটা কিনা বড় একটি সমস্যা । আমাদের ক্যাম্পাস পাহাড়ের ভেতরে অবস্থিত । অতিমাত্রায় বৃষ্টি হলে সেখানে পাহাড় ধস থেকে শুরু করে অনেক বেশি সমস্যা সৃষ্টি হয় । যার কারণে ক্যাম্পাসে যারা থাকে ,তাদের জন্য অনেক বেশি অসুবিধার সৃষ্টি হয় ।
বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম শহরবাসীর অবস্থা
শহরবাসীর মধ্যে যারা ,নিচতলায় যারা অবস্থান করছেন, তাদের জন্য এটি ঝামেলা পূর্ণ ।কারণ বন্যায় পানির উচ্চতা একটু বেশি হলে ঘরে পানি ঢুকে যায় । সেক্ষেত্রে দুই তলা বা উপরের তালার মানুষগুলো ভালো থাকলেও, নিচের তলার মানুষগুলোর মধ্যে একটি চিন্তা কাজ করে । আর বর্ষাকালে এটি হর-হামেশা হয়ে থাকে, আমাদের এই চট্টগ্রামের নিচু এলাকাগুলোতে ।
সারসংক্ষেপ
সব মিলিয়ে বৃষ্টি আমাকে আনন্দ দেশ ।কিন্তু সেসব মানুষের জন্য কষ্ট হয় ,যারা দিনে আনে দিনে খায় এবং এই বৃষ্টির মধ্যেও কাজ করতে হয় । আল্লাহ যেন তাদের পরিবার এবং তাদেরকে ভাল রাখুক ,সুস্থ রাখুক ,সেই কামনাই করি । আজকের মত এখানে বিদায় নিলাম। সবাইকে ধন্যবাদ ।
বৃষ্টি আসলেই খুব রোমাঞ্চকর। এই বৃষ্টির দিনে ফুটবল খেলতে এখনো আমার ভালো লাগে। তবে বৃষ্টি সবার জন্য সুখকর হয় না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit