আমার বড়দের সকলকে প্রণাম জানাই। আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। আমার তো এখন স্কুল ছুটি। তাই আমিও ভাল আছি। ছুটি বলে সকাল করে বেশ অনেকক্ষণ ঘুমাই। আজকে যেমন সকাল ৮:৩০ টা বেজে গিয়েছিল। তারপরও ঘুম ভাঙছিল না। মা আর দিদি বকাবকি করে ঘুম থেকে তুলল। ছবি আঁকার ক্লাস থেকে শুরু করে টিউশনও ছুটি। তাই এখন আর ওই পড়াশোনা করতে ভালো লাগছে না।
তাও পুজোর ছুটির জন্য অনেকে অনেক অনেক কাজ দিয়েছে। স্কুল থেকে অনেক কাজ দিয়েছে। এর সাথেই আমার ইংরেজি স্যার আমাকে প্রায় কোশ্চেন ব্যাংকের তৃতীয় সামেটিবের পুরো পেজ শেষ করতে বলেছে।আর যে কবে শেষ হবে, জানিনা। পুজোর কটা দিন তো পড়তে পারিনি। তাই এখন কাজ করতে হচ্ছে।আর আমি ঘুরতে খুব ভালোবাসি। তাই মাঝে মাঝে সাইকেল নিয়ে বারোয়ারির দিকে বা দোকানের দিকে চলে যাই ।তাই ছবি আঁকার কথাটাও মনে থাকে না।
আর কদিন আগেই আমার বাড়িতে আমার একটা খুব ভালো বন্ধু এসেছিল যার নাম ডোডো।সে আমাদের বারোয়ারির কাছেই থাকে। তাই সে যখন তখন আমাদের বাড়ি আসে। কিন্তু বারোয়ারি আর বাড়িটা তো অনেকটা দূর ।তাও সে আসে ।তাও বাবা-মায়ের সঙ্গে না ।একা একাই চলে আসে। সেই দিন সকাল বেলা আমি ঘুমাচ্ছিলাম। ফট করে উঠে দেখি সেই বন্ধুটা আমার কাছে এসে বলছে "এই প্রসাদ খাস তুই"।
তখন আমার কেমন যেন মনে হল যে, এটা তো আমার বন্ধুর গলা, ফট করে উঠে দেখি যে ও ।
সকাল নটার দিকে শিব তলায় ওর বাবা-মা আছে। আর ও একা একা আমাদের বাড়ি চলে এসেছে। ওর সঙ্গে সেদিন খুব খেলা করলাম , বাড়িতে তখনো রান্না হয়নি। তাই ও লাস্টে আমার মায়ের হাতের বানানো আলু সিদ্ধ ভাতও খেয়েছে। এর সাথে দই মিষ্টি খেয়েছে।
তারপর আমি ভাবলাম ও তো আমাদের বাড়ি প্রতিদিনই আসে ,কারণ যতদিন পুজো ছিল। ততদিন ও প্রত্যেক সন্ধ্যেবেলা নাহলে সকাল বেলা প্রসাদ দিতে না হলে আমাকে বারোয়ারিতে নিয়ে যেতে আমাদের বাড়ি এসেছিল।সেখানে ওর বাবা থাকুক, কাকা থাকুক, ও একা একাই আসে।
তাই আমি ভাবলাম অনেক দিন তো হয়ে গেল ওর বাড়িতে যাইনি। তাই ওর বাড়িতে যাই ।তাহলে আমি আমার বাড়িতে বোর না হয়ে ওখানে গেলে খুব মজাও হবে এবং ওর বাড়িতে যেহেতু দাবা ,ক্রিকেটে ,কেরাম বোর্ড এবং ফুটবল আছে। তাহলে ওর সঙ্গে খেলতে পারব। তারপর খেয়েদেয়ে তাড়াতাড়ি ওদের বাড়ি গেলাম।
লিংক
তারপর আমি ওদের বাড়ি চিনতে পারছিলাম না। যে কোথায় ওদের বাড়ি? আমি জানতাম এই বাজারের রাস্তা দিয়ে যায় ।কিন্তু ওর বাবা আমাকে অন্য রাস্তা দিয়ে নিয়ে গেল। ওদের বাড়ি ঢুকেই প্রথমে ওদের পুরো বাড়ি আবার দেখতে লাগলাম। কারণ সবাই জানে নতুন কোন একটা বাড়িতে ঢুকলে সেই বাড়িটাকে কেমন যেন মনে এক্সপ্লোর করার ভাবনা জাগে। তাই আমি ওর পুরো বাড়িটা এক পাক খেয়ে, তারপর ওর ঘরের খেলাগুলো নিয়ে ওর সঙ্গে খেলতে লাগলাম ।তারপর ক্রিকেটও খেললাম ।ওর বাড়িতে থাকার সাথে সাথে আমার না যেতে ইচ্ছে করছিল না ।
কারণ আমাদের বাড়িতে তো ওরকম ছোট বাচ্চা কারো সঙ্গে আমি খেলতে পারি না ।তাই আমি ওদের বাড়িতে ক্রিকেট তারপর ক্যারাম বোর্ড ছিল ,যেগুলো ক্লাবে থাকে সেরকম। তারপর ওর সঙ্গে ক্যারাম খেলেছি। সেদিন অনেক মজা হয়েছিল ।তারপর যখন বাড়ির দিকে আসছিলাম। তখন খুব দুঃখও লাগলো।
যাইহোক আমার বন্ধুর ব্যাপারে অনেক কথা আমি শেয়ার করলাম এবার আমি ছবি আঁকছি ।আর সাথে ভিডিও দিলাম।
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি ডেড পুল এর ড্রইং করে নিচ্ছি পেন্সিলের সাহায্যে। মুখের ড্রইং পুরোপুরি করে ফেলছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এবার বডির পোশাকের ড্রইং করছি।
তৃতীয় ধাপ
এবারে কাল মার্কার এবং কালো পেন এর সাহায্যে আউটলাইনগুলো একে নেওয়ার পর যে জায়গাগুলো কালো করার সেগুলো করে নিচ্ছি।
চতুর্থ ধাপ
সব জায়গা কালো করে নেওয়ার পর ফাঁকা জায়গাগুলো আমি লাল রং দিয়ে অর্থাৎ লাল রঙের ব্রাশ পেন দিয়ে ভর্তি করে নিচ্ছি। যেহেতু ড্রেস এরকম।
পঞ্চম ধাপ
এভাবেই ব্রাশ পেন দিয়ে ভালোভাবে রং করে নেওয়ার পরই তৈরি হয়ে গেছে এই ড্রয়িং টা।
এটাও আমি গতকালকে এঁকেছিলাম আজকে শেয়ার করলাম। আশা করছি আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে। সকলকে আবারো আমার প্রণাম। আবার পরের দিন নতুন কোন ছবি নিয়ে হাজির হব।
বাহ ছবি আঁকাটা খুব সুন্দর হয়েছে। গতকাল পুজোর মধ্যে ছবি আঁকতে পেরেছ এটা জেনে খুব খুশি হলাম। এই ভাবেই প্রত্যেকদিন একের পর একটা করে সুন্দর সুন্দর ছবি আঁকো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit