- প্রিয় বন্ধুরা শীতের মধ্যে সবার কি অবস্থা, তবে অন্যদিনের তুলনায় আজকে আমাদের এদিকটা একটুখানি ভালো রোদের দেখা মিলেছে দুই দিন পরে , গতকালকে প্রচন্ডভাবে কুয়াশা ছিল একটুখানি রোদ ওঠে নাই, সেই সাথে হালকা বাতাস, সব মিলিয়ে একটা কনকনে আবহাওয়া ছিলো,তবে শীত গরম যেটাই থাকুক না কেন দিন তো চলে যাবে কারণ, সময় যখন কেউ জন্য অপেক্ষা করে না তাই তো দিন শেষ হয়ে যাবে এই।
তাই আমিও প্রতিদিনের মতো ঘুম থেকে উঠে পড়েছি তবে বিছানা ছাড়িনি কারণ কম্বল ছেড়ে উঠতে একদমই মনে চায় না। তবে আবার এটাও ভাবছিলাম অলসতা শয়তান এসে ঘরে বসেছে নামাজটা তো কাজা করা যাবে না। তাই কোনভাবে কষ্ট করে উঠে ওজু করে, খানিক টা সময় কুরআন শরীফ পড়ছিলাম।
এর মাঝে আমার শাশুড়ি আম্মা উঠেছে নামাজ পড়েছে খাবার ঘরে গিয়ে চা তৈরি করেছে, বাড়িতে আসার পরে আমি চা তৈরি করি কিন্তুু আজ কেন জানি ইচ্ছা করছিল না । এরপরে শাশুড়ি আম্মা ডাক দিলো চা খাওয়ার জন্য, গিয়ে তার সাথে বসে বসে চা খেলাম। খেতে খেতে খানিক টা সময় কথা বললাম কারণ আমি আগামীকাল কে বাবার বাড়িতে চলে যাব এবং সেখান থেকে ঢাকা যাবো।
আমি ঢাকায় গিয়েছি দীর্ঘ নয় মাস হয়ে গিয়েছে, এর মাঝে বেশ কয়েক বার বাড়িতে এসেছি তবে একবারও বাবার বাড়ি থেকে যাওয়া হয়নি। এবারও হত না একটা কাজ করে গিয়েছে সে কাজটা শেষ করে তারপরে যাবো, যে কারণে যাওয়া।
কথা বলা শেষ করার পরে, আমার শাশুড়ি আম্মা বললো গাছ থেকে কয়েক টা পান তুলে আনার জন্য, এই পান গাছগুলো সে লাগিয়ে ছিলো তবে, পান গাছের যে যত্ন নিতে হয় তা যে, খুব একটা করা হয়েছে এমনটা কিন্তু নয়। তবে এই পান গুলো যে এত ভালোভাবে হয়েছে। এটা গাছ না দেখলে বোঝার উপায় নেই প্রত্যেকটা জায়গায় পান ধরছে।
আমার শাশুড়ির একটা অভ্যাস আছে প্রতিদিন সকাল বেলা একটু পান মুখে দিয়ে তারপরে সে কাজ করতে শুরু করবে। এই পানগুলো খেতে নাকি ভীষণ স্বাধের যেহেতু এটাতে কোন রকমের সার দেওয়া হয়নি,তা ছারা নিজের হাতে লাগানো যেকোনো জিনিসের এই আনন্দ মজা অন্যরকম।
আজ সকালে নাস্তা করিনি, বারো টা দিকে এক গ্লাস দুধ খেয়েছিলাম সাথে একটা ডিম, এরপরে মেয়েকে নিয়ে গোসলটা শেষ করেছিলাম,কারণ শীতের সময় যত দ্রুত গোসল করা যায় ততই ভালো। এরপরে জোহরের নামাজ আদায় করে,আমার হাজবেন্ডের সাথে কিছু সময় কথা বললাম।
এরপরে সবাই মিলে দুপুরে খাবার খেলাম ভুনা খিচুড়ির সাথে দেশি মুরগির মাংসের ঝোল, আমার শাশুড়ি আম্মা পালন করে, আর শীতের সময় ভুনা খিচুড়ির সাথে এমন খাবার আমার ভীষণ পছন্দের। মেয়ে খাওয়ানো হয়নি ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম,,।
এরপরে আমি বেশ খানিকটা সময় বিশ্রাম নিয়েছি, দুপুরবেলা একটু শুয়ে থাকার পরে উঠলে আরো বেশি খারাপ লাগে তাই খুব একটা সময় শুয়ে থাকি নি। যেহেতু আগামীকাল কে বাড়িতে যাব। তাই আমার ব্যাগটা একটু গুছিয়ে নিচ্ছিলাম। ঢাকা যাওয়ার জন্য শাশুড়ি আম্মা আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে নিয়ে যেতে হবে সবটা আবার না নিতে চাইলে মন খারাপ করবে কি যে জালা।
তাই অল্প কিছু নিয়েছি বাকিটা যাওয়ার দিনে পাঠিয়ে দিবে, এরপরে মেয়ে ঘুম থেকে উঠেছে, এবং ওকে অনেকটা সময় নিয়ে খাইয়ে দিলাম, মেয়েকে খাওয়ানোর সময় আজ আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গিয়েছিলো,ঠিক ছোটবেলা বলবো না আমি যখন একটু ভালো-মন্দ বুঝি তখনো আমার আম্মু আমাকে এরকম ছোট ছোট ডিম করে দিতো,আর আমি এক একটা করে মুখে দিতাম।
মাঝেমধ্যে আমার মেয়ের কর্মকাণ্ড দেখে আমি পুরনো দিনে ফিরে যাই মাঝেমধ্যে বিরক্ত হই ভালো লাগে না আর এমনটা নিজের অজান্তে বলে ফেলি। কিন্তু যখন চিন্তাভাবনা দিয়ে দেখি তখন ভালো লাগে কারণ এই অভ্যাস গুলো একটা সময় আমার মত হয়তো হারিয়ে যাবে। ছোটবেলা বাচ্চাদের কত স্মৃতি থাকে কিন্তু যখন বড় হওয়ার সাথে সাথে সব ভুলে যায়,ও একটা সময় মনে পড়ে কিন্তু নিজের অজান্তেই অনেক হাসি পায়।
- তাই মাঝে মধ্যে বিরক্ত হয়ে হই না, যাইহোক ঠান্ডায় সাবধানে থাকবেন, সুস্থ থাকবেন আমার আজকের পোস্ট এখানেই শেষ করছি । আল্লাহ হাফেজ।
আপনার প্রতিদিনের কার্যক্রম পড়ে অনেক ভালো লাগলো! আপনার পোস্টটে একটি মূল্যবান বিষয় জেনে খুব ভালো লাগলো। আপনি প্রতিদিন সকালবেলা কোরআন শরীফ পড়েন। এই বিষয়টি অনেক ভালো একটি বিষয় এই পৃথিবীর বুকে সবাই শূন্য হাতেই বিদায় নিবে, শুধু নিয়ে যাবে নেক আমল। আমি আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য দোয়া করি। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি সর্বদা চেষ্টা করি আমল করার কোরআন শরীফ পড়ার এবং নিজেকে সত্যের সাথে বাঁচিয়ে নেওয়ার, তবে শয়তান তো আমাদের সব সময় ধোঁকায় ফেলানোর জন্য প্রস্তুত থাকে। আর মাঝে মাঝে শয়তানের ধোঁকায় পড়ে খানিকটা অলসতা পড়ে যাই।
তবে আমি চেষ্টা করি সর্বদা সৎ পথে চলার এবং মৃত্যুকে ভয় করার, কারণ এই জগত সংসার আমাদের জন্য কিছুই না, জীবনে যতটুকু ভালো কাজ করতে পারব সেটুকু নিয়েই ফিরতে পারব না ফেরার দেশে। দোয়া করবেন এবং নিজেও সুস্থ থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit