Better Life with Steem|| The Diary Game||12 November 2024

in hive-120823 •  6 months ago 

Neutral Minimalist Romantic Photo Collage.png
Photo edited by canva

আসসালামু আলাইকুম, সবাইকে আমার আজকের পোষ্টের স্বাগতম। আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি । জীবনে কিছু কিছু অধ্যায় থাকে,সব কিছু শেষ করে দেবার পরেও মাঝে মাঝে এমন ভাবে নিজের ভিতর থেকে মন টা মনে করিয়ে দেয় যে টা নিয়ে ভাবলে,,!!!! যাইহোক, কথাটা শেষ করেও করলাম না। আজ শুরু করছি সকাল থেকে এই।

সকাল বেলা,,

গতকাল রাতে হাজবেন্ডকে বলে রেখেছিলাম আজ যেন আমাকে ফজরের আযানের সময় ডেকে দেয়া হয়, ইদানিং ফজরের আজান শুনে ঘুম ভাঙ্গে ঠিকই কিন্তুু নামাজ আদায় করতে পারি না ওই যে শয়তান এসে ঘাড়ে বসে। তাই আজ সকাল বেলা ফজরের আজান হওয়ার পরে আমাকে ডাক দিলো,প্রথমে একটু অলসতা বোধ হয়েছিলো কিন্তুু পরবর্তীতে উঠে আমি ফজরের নামাজ আদায় করে নিলাম,,।

খেয়াল করে দেখলাম আমার হাজব্যান্ড ও অন্য রুমে নামাজ আদায় করছিলো,এরপরে তার কাছে গিয়ে দুই জনে মিলে কিছু সময় দোয়া দুরুদ করলাম। এরপরে সকালের নাস্তা তৈরি করি, রুটি ও গত কালকের তরকারি তবে, আজ সকালে আমি নাস্তা করেছিলাম একটু বড়লোকি খাবার দিয়ে, কোকো ক্রনা্চ সাথে গরম দুধ, ভেবে ছিলাম অল্প পরিমাণে একটু খাবো ,তবে আমার মেয়ে করে এসে এই তাপস করে সব ঢেলে দিছে।তাই কি আর করার সম্পূর্ণ টা আমাকে খেতে হয়েছে, তবে আমার মনে হয় এসব খাবারের আমার মত বাঙালির পেট ভরবে না,,,। তাই পরবর্তীতে দুই টা ডিম সিদ্ধ করে খেয়েছিলাম ।

মধ্য দুপুর,,

সকালের খাওয়া দাওয়া থালা বাটি পরিষ্কার করা সব কাজ সেরে নিলাম।এরপরে, আলমারি থেকে মেয়ের কিছু জামা কাপড় রোদে দিলাম। কারণ, এগুলো এলোমেলো হয়ে ছিলো যার কারণে অনেক টা ভাজ পড়ে গিয়েছে। তাই রোদে দিয়ে একটু টান করে নিতেছি,, তবে রোদে দিয়ে বারান্দার কাছে বসে থাকতে হলো,,।

কারণ, এখানে কিছু পাখি আছে ছোট ছোট যেগুলো এসে দড়ির উপরে বসে, আর যেহেতু আমি এখানে জামাগুলো রোদে দিয়েছি। তাই একটু ভয়ে ছিলাম, পাখিগুলো বসতে তো সমস্যা নাই কিন্তুু বসা করে যদি বাকি কাজ টা করে দেয়,,,।অবশ্যই,😃 বুঝতে পারছে আমি কোন কাজটার কথা বলেছি।। পরবর্তীতে দেখা যাবে আমার এগুলো আবার ধুয়ে দিতে হবে ।
তাই এখান থেকে সরে না গিয়ে, দুপুরে রান্নার জন্য কিছু সবজি এখানে বসেই কেটে নিলাম। এরপরে এই জামা কাপড় গুলো খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে জায়গা মতো রেখে দিলাম।

দুপুর বেলা,,

যোহরের আযান হলো,আর আমিও দুপুরে রান্নাটা সুন্দর মতন করে নিলাম। আজ দুপুরে আমি করে রান্না করেছিলাম মুরগির মাংস, সিম ও আলু দিয়ে একটা সবজি,শীতকালীন এই সবজি গুলো আমার কাছে ভীষণ পছন্দের। তবে বর্তমান বাজারে সবজির যে দাম। খেতে ও ভয় লাগে।দুপুরে রান্না বান্না শেষ করে মেয়েকে নিয়ে গোসল করে নিলাম।

এরপরে, দুপুরের নামাজ আদায় করে। হাজব্যান্ড এর জন্য অপেক্ষা করলাম যদিও সে আসার আগেই দুপুরের খাবার খেয়ে নেই।তবে আজ মেয়ে বায়না ধরেছে তার সাথে খাবার খাবে। তাই আমি এবং আমার মেয়ে বারান্দায় গিয়ে অপেক্ষা করলাম, কত সাইকেল আসতে ছিলো কিন্তুু তার সাইকেল তো দূরের কথা তার ও কোন খবর নাই। ওই যে কোথায় আছে না,অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় না। খানিক টা পরে সে আসলো, এরপরে সবাই মিলে দুপুরে খাবার খেয়ে কিছুটা সময় বিশ্রাম নিলাম।

বিকাল বেলা,,

বিশ্রাম শেষ করে উঠতেই আসরের আযান পড়ে গেল,এরপরে নামাজ আদায় তাই করে, আমার শাশুড়ি আম্মার সাথে বেশ কিছুটা সময় কথা বললাম, এবং জানতে পারলাম আগামী শুক্রবারে তিনি আমাদের বাসায় আসতেছেন, এ কথা শুনে তো আমি মহা খুশি, সেই সাথে আমার মেয়ে ও অনেক খুশি কারণ, অনেক দিন পরে তার আপার সাথে দেখা হবে।

এরপরে আগে মেয়ে জন্য কিছু জামা কাপড় কিনে এনেছিলাম, সেখান থেকে একটা জামা পড়িয়ে একটু দেখে নিলাম যে তার গায়ে লাগবে কি না। মাশাআল্লাহ লেগেছে ভালো তবে, আমার কাছে মনে হয় একটু বড় হলে ভালো হতো যদিও এই জামা গুলো একটু শট পড়ে । মেয়ে টা দেখতে দেখতে বড় হয়ে যাচ্ছে,, আমার কত কষ্টের আশিয়া,ওকে দেখে মাঝে মাঝে আমি একা একা হাসি। সে পুচকি মেয়েটা আজ কত বড় হয়ে গিয়েছে।মনে হয় যেন এই তো দুই দিন আগের কথা,,,,।

লিখতে লিখতে যখন পুরনো স্মৃতির কথা মনে পড়ে যায়,, তখন আর সামনের দিকে আগানো যায় না। তাই আমিও আর আগাতে পারলাম না, শেষ করছি আমার আজকের পোস্ট এখানে এই,,,।

আল্লাহ হাফেজ।।।।।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আসলে মাঝে মধ্য আমাদের ঘুম থেকে উঠার ইচ্ছা থাকে। এবং নামাজ আদায় করার ইচ্ছা থাকে । তবুও সকাল বেলা অলসতার কারণে ঘুম থেকে না উঠে। নামাজ আদায় না করে বসে থাকি। যেহেতু আজ কয়েক দিন ধরে আপনি ফরজের নামাজ আদায় করতে পারছেন না। বলে আপনার হাসবেন্ড কে বলে রেখেছেন এবং সে আপনা কে ডেকে দিয়েছে। এটা সে অনেক ভালো কাজ করেছে। এবং আপনি খেয়াল করে দেখতে পেলেন আপনার হাজব্যান্ড অন্য রুমে নামাজ আদায় করছে। আপনারা দুইজন এক জায়গায় বসে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা রেখেছেন এটা অনেক ভালো কাজ বলে আমার কাছে মনে হয়। স্বামী স্ত্রী এক সাথে বসে আল্লাহর কাছে কিছু চাইলে তিনি না কথা বলতে পারেন না। যাইহোক অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।