Photo edited by canva
প্রিয় বন্ধুরা, আমার আজকের পোষ্টের সবাইকে স্বাগতম। কি অবস্থা সবাই কেমন আছেন? আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আনন্দে কাটছে আমার দিন তবে, আনন্দ স্থায়ী নয় অস্থায়ী।একটা মানুষ এই যখন এই পৃথিবীতে অস্থায়ী সেখানে আনন্দ স্থায়ী হবে এই আশা টা করা ও আমার ভুল,,তবে মায়া জিনিস টা বড় অদ্ভুত যেহেতু আমি খুব তাড়াতাড়ি কারো মায়ায় পড়ে যাই তাই এ জিনিস গুলো আশা ছাড়তে ও আমার ভীষণ কষ্ট লাগে।।।।
সে যাই হোক জীবন চলছে চলবে কষ্ট পেতে হবে দুঃখ পেতে হবে, আনন্দ এরকম ভাবে আসবে, হয়তো এই সব মিলিয়ে আমাদের এই জীবন। হয়তো জেনে থাকবেন গত পোস্টে আমার শাশুড়ি আম্মা এসেছে আমার কাছে ,, সে জন্য আমি ভীষণ আনন্দিত, আর এই আনন্দিত অস্থায়ী কারণ সে বেশি দিন আমার কাছে থাকতে পারবে না। প্রতিদিনের মতো আজ ও সকালে ঘুম থেকে উঠে ছিলাম খুব ভোরে, এরপরে শাশুড়ির জন্য দুধ চা তৈরি করলাম আর আমি ১ মগ গরম দুধ খেলাম, আর খেতে খেতে বেশ গল্প করলাম।
এরপরে, সকালের নাস্তা তৈরি করে ছিলাম, আমার শাশুড়ি আম্মার দেশের বাড়ি থেকে নিয়ে আসা সেমাই পিঠা দিয়ে, তার হাতের এই পিঠা ভীষণ মজার হয়।সকালের খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমার শাশুড়ি আমাকে নিয়ে গেয়ে ছিলাম একটু ঘুরতে,আমার মত তারও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে তবে, বয়স হয়েছে এখন আর আগের মতো হাঁটতে পারে না যার কারণে কোথায় ও যেতে চাইলেও একটু ভয় লাগে তবুও নিয়ে গিয়েছিলাম।
বেশি দূরে যায় নি আমাদের এই ভিতরেই একটা পার্ক আছে ওখানে নিয়ে গিয়ে ছিলাম, একটু ঘুরে ঘুরে চারদিকে দেখলাম সেই সাথে কয়টা ফটোগ্রাফি করলাম, কিছু স্মৃতি ক্যামেরাবন্দি করে রেখে দিলাম।সৃষ্টিকর্তা চাইলে একটা সময় আসবে যে সময় আমি অনেক বয়স্ক হয়ে যাব এবং এগুলো বের করে দেখবো আর হাসবো,,,।মানুষের মনে কত ধরনের আশা থাকে তাই না।
এই তো বেশি না একটু ঘোরাঘুরি করে দুপুরে রান্না আগে বাসায় ফিরলাম, এবং বাসায় আসে দুই জনেই মিলে দুপুরে রান্না করলাম এবং খুব দ্রুততা সাথে দুপুরে রান্না টা হয়ে গিয়েছিলো,,,আজ দুপুরে রান্না করেছিলাম কবুতরের গোশত, ও আমাদের পুকুরের সরপুটি মাছ দিয়ে করলার ঝোল,সেই সাথে ছিলো আমার শাশুড়ির হাতের পাতলা ডাল।
দুপুরে রান্না বান্না শেষ করে গোসল করে নিয়ে ছিলাম। এরপরে জোহরের নামাজ আদায় করলাম।জোহরের নামাজ পড়ে মেয়ে কে দুপুরে খাবার খাইয়ে দিলাম। এরপরে আমার হাজবেন্ট আসলো অফিস থেকে এবং সবাই মিলে একসাথে দুপুরের খাবার খেলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে খানিক টা সময় বিশ্রাম নিয়েছিলাম।
আরে এরই মাঝে আসরের আযান পড়ে গেলো, তাই বারান্দা থেকে শুকনা কাপড় গুলো নিয়ে আসলাম, এরপরে নামাজ আদায় করে আমার শ্বশুরের একটু খোঁজ খবর নিলাম যেহেতু দিনে বাড়িতে একা আছেন। তার খবর নেওয়া শেষ করে সন্ধ্যার আগে আমরা একটু হালকা নাস্তা করেছিলাম, কিছু ফল দিয়ে আপেল খেজুর সাথে মালটা ও ছিলো,হালকা নাস্তা শেষ করে মাগরিবের আজানের আগে শাশুড়ি আমাকে চা তৈরি করে দিয়ে ছিলাম।
এরপরে মাগরিবের আজান হলো নামাজ আদায় করে মেয়েকে একটু পড়ানোর চেষ্টা করছিলাম, কিন্তুু তার আপার সাথে তিনি মহা খুশি পড়া লেখার নাকি তার কয়দিন বন্ধ থাকবে, এ কথা শুনে আমার অনেক ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গিয়েছিল, আমি আমার বাবার ব্যবসার ক্ষেত্রে দাদা বাড়িতে থাকতে পারেনি খুব একটা সময়। যখন আমার দাদি ও আমার নানী বাসায় আসতো তখন আমি আমার আম্মাকে বলতাম ওই কয়দিন আমি একটু কম পড়বো,,,। আর সে কথাই আজ আমার মেয়ে আমায় বলছে,,,। ভাবলে সত্যি হাসি পায়।
এর পরে আর কি আর করার,কিছু করিনি তবে বসেও থাকেনি। আমি একটু হাসবেন্ডের সাথে ঝগড়া করলাম,, মাঝে মাঝে এই মানুষটা যেন অবুঝ হয়ে যায়,, তবে, বিয়ে এরপর থেকে এ পর্যন্ত যতবার এই ঝগড়া হয়েছে তার রাগটা আমি প্রথমে ভাঙ্গিয়েছি, হয়তো বা ভালোবাসা দিক থেকে এ কাজটা করেছি,তবে আজ বাসায় থেকে দুই জনে একটু ছোটখাটো ঝগড়া করেছি ঠিকই তুমি বাসা থেকে বের হয়ে আবার আমাকে মেসেজ দিচ্ছিলো,,, সরি বলে। সত্যি মাঝে মাঝে এই মানুষটার কান্ড কালাপ দেখে আমি একা একা হাসি।
এইতো কিছু আনন্দ কিছু, ভালো লাগা, কিছু ঝগড়া সব মিলিয়ে এভাবে কেটেছে আমার আজকের দিন, তো সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আর লিখছি না, আল্লাহ হাফেজ।।।