Photo edited by canva
আসসালামু আলাইকুম আশা করছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো আছি । প্রতিদিনের মতো আবারও হাজির হলাম, আপনাদের সাথে আমার সারাদিনে কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য, তবে অন্য দিনের তুলনায় আজকের থেকে আমার সারাদিনের কার্যক্রমে থাকবে আমার নতুন বাবুর ও বেশ কিছু কার্যক্রম ,,,।
হসপিটালে যাওয়ার পর থেকে গতকাল পর্যন্ত আমার মনে হয় না সারারাত একটু ঘুমাতে পেরেছি। তবে আজ এই কয়েক দিন পরে রাতে একটু ঘুম হয়েছে, কারণ হলো বাবু সারাদিন ঘুমায় আর রাত হলে কিছুক্ষণ ঘুমানোর পরে শুরু হয় তার কান্নাকাটি আরো কত কি , তবে আজ আমাকে একটু বিরক্ত কম করেছে তাই খানিকটা ঘুমাতে পেরেছি যেহেতু এখনো নবজাতক তাই এমন সমস্যা হবে এটাই স্বাভাবিক।
ঘুম থেকে উঠেছিলাম তখন প্রায় সাড়ে আট টা বাজে, উঠে দেখি হাজব্যান্ড খাবার দাবার খেয়ে রেডি হয়ে নিয়েছে অফিসে যাওয়ার জন্য। এখন আর আমাকে রান্নাবান্না নাস্তা তৈরি করা সংসারের কোন কাজে খুব একটা খেয়াল নিতে হয় না কারণ, বাসায় আমার আম্মু শাশুড়ি দুই জনেই রয়েছে তাই এই সুযোগ শান্তিতে একটু ঘুমিয়ে নেই,,।
উঠে হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে পাউরুটি, জেলি, ডিম সিদ্ধ, চা বিস্কুট দিয়ে সকালের নাস্তা টা শেষ করলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে মেয়েকে একটু পড়াতে বসলাম । কিছু সময় বই পড়ানোর পরে, বাবুর দিকে একটু খেয়াল করলাম বারান্দায় রোদ এসেছিলো তাই রোদে গিয়ে খানিক টা সময় বসে ছিলাম। কারণ, এই সময় টা তে রোদে বসা বাচ্চাদের নিয়ে খুবই জরুরী। ছোট বাচ্চাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী রোদ টা।
বেশ কিছু সময় রোদে বসার পরে একটু হালকা নাস্তা করলাম পেয়ারা এবং মাল টা দিয়ে , এরপরে মেয়েকে গোসল করিয়ে দিলাম সাথে নিজেও করে নিলাম, আর ছোট্ট বাবুকে আমার আম্মু গোসল করিয়ে দিয়েছিলো।গোসল শেষ করে একটু একটু করে রুমের কিছু কিছু জিনিস গুছিয়ে রাখলাম।
যদিও আমার আম্মু শাশুড়ির দুই জন মিলে করছে, তবে সত্যি কথা বলতে আমার কাছে কেন জানি মনে হয় যে দিকে তাকাই এলোমেলো, আর তাছাড়া একটা জিনিস তো সত্য নিজের রাখা জিনিস অন্য কেউ ভালোভাবে খুঁজে পায় না এবং ও ভাবে রাখা সম্ভব না। আর তাছাড়া কেন জানি আমার সব সময় বসে থাকতে শুয়ে থাকতে ভালো লাগে না দিনেও কাটে না,,।
এরপরে দুপুরে খাবার খেয়ে নিলাম। ইদানিং একটু তাড়াতাড়ি দুপুরের খাবার টা আমি খেয়ে নেই কারণ, বাবু ঘুমে থাকতে আমাকে সব কাজই করে রাখতে হয়, আর খাওয়া কিন্তুু একটা কাজের মধ্যেই পড়ে। দুপুরের খাবার খেয়ে মেয়ে কে নিয়ে একটু শুয়ে ছিলাম ।
খুব একটা সময় ঘুমানো হয়নি অল্প কিছুক্ষণের জন্য এরপরে, তিনটা বাজতেই মেয়েকে আরবি পড়াতে পাঠিয়ে দিলাম।সবাই খাওয়া দাওয়া করে একটু শুয়ে ছিলো এরপর হাজব্যান্ড অফিস থেকে আসলো, তাই আমি একটু তাকে খাবারের দিলাম, যদিও টেবিলে সবকিছু থাকলে সে নিয়েই নেয়,তবুও এই এক সপ্তাহ পরে নিজের হাতে খাবার দিতে পেরে বেশ ভালোই লাগলো।।।
এরপরে বিকাল বেলা হাজব্যান্ড ঝালমুড়ি মাখিয়ে ছিল এবং সবাই মিলে খুব মজা করে ঝাল মুড়ি খেয়েছিলাম,,অনেক দিন পরে ঝাল মুড়ি খেয়ে ভীষণ ভালোই লাগছিলো। এইতো এভাবে এই বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলো,,।
সন্ধ্যায় কিছুটা সময় একা একা কাটিয়ে ছিলাম, কেন জানিনা হঠাৎ কেন মনটা খুব খারাপ লাগলো, যদি ওই খারাপ লাগার পিছনে ছোট্ট কারণ আছে, মাঝেমধ্যে নিজেকে নিজের খুব বিরক্ত লাগে,,।যখন কাছের মানুষ গুলো খুব বিরক্ত সুরে কথা বলে,,,।তখন মনে হয় পৃথিবীতে আপন বলতে কেউ নেই,,,।
আমার লেখা আজ এখানেই শেষ করছি, সবাই ভালো থাকবেন,,,। আল্লাহ হাফেজ।
বাচ্চাদের অবস্থা একেবারেই খারাপ কি আর বলব বর্তমান সময়ে তারা দিনের বেলা ঘুমায় রাতের বেলা তাদের ঘুম একেবারেই হারাম হয়ে যায়। রাতে একেবারে ঘুমাতে চায় না নিজের সংসারটাকে নিজের হাতে আমরা যতটা সুন্দরভাবে গুছিয়ে রাখি অন্য শাশুড়ি কিংবা মা যাই করুক না কেন তার পরেও সবকিছু একেবারে এলোমেলো মনে হয় এটাই স্বাভাবিক আপনার আরও একটা দিনের গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit