Better Life with Steem|| The Diary Game|| 23 August 2024

in hive-120823 •  3 months ago 

Black Minimalist Happy Father Day Photo Collage.png
Photo edited by canva

প্রিয় বন্ধুরা আশা করছি সবাই ভালো আছেন।আমি একটু অসুস্থ বোধ করছি সারাটা রাত চোখের পাতা এক করতে পারেনি। কেন জানিনা ইদানিং ঘুম খুব কম হচ্ছে এবং সারাটা দিনই শরীর খারাপ লাগছে,তবু ও আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া তিনি কিছুটা হলেও সুস্থ রেখেছে।

আজ সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে বারান্দায় এসে বসেছিলাম বেশ কিছুটা সময়,নিজের অজান্তে ফোনের ক্যামেরা টা বের করে, একটু নিজেকে দেখছিলাম আর কত ভাবনা মনে পড়ছিলো একটা সময় ছিলো, অনেক ছবি তুলতাম আর এখন মনে থাকে না!!! মানুষ পরিবর্তনশীল হয়তো তাই আমার একটু পরিবর্তন ঘটেছে।

খুব একটা সময় বসে থাকি নি কারণ, হাজব্যান্ড আবার অফিসে যাবে সময়ের আগে সকালের নাস্তা তৈরি করতে হবে, এজন্যই সকালের নাস্তার জন্য কাজে লেগে পড়ি। আজ সকালের খাবার ছিলো রুটি এবং ঘন ডাল। এরপর হাজব্যান্ড খেয়ে অফিসে চলে গেল, আজ মেয়ে কে খাইয়ে দিতে হয়নি নিজের হাত দিয়ে খেয়েছে।

তাই আমি একটু ঘর গুছিয়ে নিচ্ছিলাম এবং দুপুরে রান্নার জন্য একটু মসলা বেটে রেখে দিলাম, আমার এই নতুন সংসার দেখতে দেখতে বেশ অনেক টা দিন পার হয়ে যাচ্ছে,সবকিছু ভালো লাগলেও কিন্তুু ভালো লাগছে না আর প্রতিদিন রান্নাবাড়া।শ্বশুর বাড়িতে ভালো ছিলাম, শাশুড়ি আম্মা রান্না করতো আর আমি ঘর গোছাতাম।কিন্তু ভালো না লাগলেই বা কি করার আছে,,,কিছু করার নেই।

ভেবে ছিলাম আজ বেশ কয়েক ধরনের ভর্তা ও সবজি রান্না করবো।কিন্তুু আমার পাগল মন সব চিন্তা বাদ দিয়ে বিরিয়ানি রান্না করলাম দুপুরের খাবারের জন্য।দুপুরে রান্না টা শেষ করে গোসল করে যোহরের নামাজ আদায় করে নিলাম। নামাজ শেষ করতে হাজবেন্ড বাসায় চলে এলো, তিনি ফ্রেশ হলেন এবং সবাই একসাথে দুপুরে খাবার টা খেয়ে নিলাম।

দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে,বেশ কিছু টা সময় বিশ্রাম নেওয়ার ফাঁকে হাজবেন্ডের সাথে বসে খবর দেখছিলাম, বর্তমানে আমাদের দেশে বেশ কয়েক টা জেলা তে বন্যায় ৯০ শতাংশ ডুবে গিয়েছে। লাখ লাখ মানুষ ঘরবন্দী হয়ে রয়েছে,ও কত বৃদ্ধ, শিশু প্রাণ হারাচ্ছে। খবর দেখে মনটা অনেক বেশি খারাপ লাগছিলো,আল্লাহ তুমি এদের কে রক্ষা কর 🤲 ।

এরপরে, আমার শশুরের সাথে কিছুটা সময় কথা বললাম দেশের বাড়ির খবর সম্পর্কে অবগত হলাম। তার সাথে কথা বলার শেষ করে মেয়েকে নিয়ে একটু নিচে থেকে ঘুরে আসলাম। আজ বেশ অনেক দিন পরে নিচে গিয়েছিলাম একটু হাঁটাহাঁটি করলাম। চারিদিকে পরিবেশ দেখে একটু ভালো লাগছিলো,তাছাড়া বিকাল বেলা একটু হাঁটাহাঁটি না করলে ভালো লাগেনা।

বাসায় ফিরে সন্ধ্যার নাস্তা হিসেবে, তালের বড়া তৈরি করেছিলাম। এত বেশি সফট হয়েছিল তালের বড়া গুলো আর খেতে তো অসম্ভব মজার হয়েছিলো,গরম গরম সেই স্বাদ ছিলো। সবাই মিলে নিমেষের মধ্যে শেষ করলাম এই মজার নাস্তা টা। নাস্তা করা শেষে মাগরিবের আজান হলো নামাজ আদায় করে মেয়েকে নিয়ে পড়তে বসলাম। একটু পড়ানো শেষ করতেই খেয়াল করে দেখলাম মেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে যাচ্ছে।

আজ দুপুর বেলা ঘুমাইনি তাই এখন এই অবস্থা, আমি আর না পড়িয়ে রাতের খাবার টা খাইয়ে দিলাম। এবং খাবার শেষ করার আগেই ঘুমিয়ে পড়লাম। তাই জায়গা মাতা ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে,আমি কিছুটা সময় খবর দেখছিলাম। এরমধ্যে হাজবেন্ড আসলো বাহির থেকে দুই জনে মিলে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।

এইতো এই ছিলো আমার ব্যস্ত জীবনের কার্যক্রম, সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আমি আপনার পোস্ট খুবই সুন্দরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি আপনি অনেক ব্যস্ততার মাঝে দিনটি অতিবাহিত করেছেন। বিশেষ করে আজকের এই পোস্ট ডায়েরি গেম আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। সব সময় আপনার জন্য শুভকামনা রইল 😘

বেশ ভালো লাগলো জেনে আমার পোস্টটি পড়েছেন এবং আপনি খুব সুন্দর ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন।
ধন্যবাদ আশা করব এভাবে আপনার মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে আমার পাশে থাকবেন।

আমার কমেন্টে রিপ্লাই দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই🥰

আমাদের প্রতিটা দিন একইভাবে কাটবে না এটাই স্বাভাবিক।। ভালো খারাপ মিলেই আমাদের জীবন অতিবাহিত করতে হবে।। এটা একদম সঠিক মানুষ পরিবর্তনশীল তাই আপনিও পরিবর্তন হয়েছেন আর এটাই স্বাভাবিক।।

একলা সংসার সবকিছু একাই করতে হবে এটাই বাস্তবতা আসলে বাসায় থাকলে সাহায্যের মানুষ থাকলেও একা সংসারে এটার থাকে না।।

একদম ঠিক কথা বলেছেন অনেক মানুষের সংসার কি বা যৌথ পরিবার। যৌথ পরিবারের আনন্দটা হাসি দুঃখ কান্না সবকিছু ভাগ করে নেওয়া যায় একে অপরের সাথে। এবং তখনের দিনগুলো খুব সুন্দর কাটে।
অপরদিকে একা একটা সংসারে থাকা এবং চাইলেও কাছের মানুষ গুলোকে পাশে পাওয়া যায় না। আর কাজের কথা তো বাদে দিলাম নিজের উপরই সব থাকে। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য

মানুষের স্বভাব সব সময় এক রকম থাকে না। সময়ের সাথে সাথে নিজের অজান্তেই অনেক পরিবর্তন হয়ে যায়। আপনার হাসবেন্ড অফিসে যাবে এজন্য তার জন্য নাস্তা তৈরি করে দিয়েছিলেন। রুটি আর ডাল খেতে আমারও বেশ ভালো লাগে। বাংলাদেশ অবস্থা বর্তমানে সত্যি খুব খারাপ যাচ্ছে। অনেক জেলা জলের নিচে তলিয়ে গিয়েছে। তাদের জীবন দেখলে সত্যি খুব খারাপ লাগছে। আমাদের বাড়িতেও কয়েকদিন আগে তালের বোড়া বানিয়েছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য।

তাই জেনে ভালো লাগলো রুটি এবং ডাল খেতে আপনার পছন্দ। আমিও পছন্দ করি তাই মাঝে মধ্যে তার সাথে তৈরি করি। একদম ঠিক বলেছেন বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থা খুবই খারাপ, কত জেলা পানির নিচে। এবং কত মানুষ প্রান হারাচ্ছে। আল্লাহ তাদেরকে রক্ষা করুক সে প্রার্থনা করছি।

সত্যিই সংসারের কাজের চাপে আমরা একদমই হারিয়ে যাই ।মাঝে মাঝে নিজেদের ছবি তুলে একটু দেখতে ইচ্ছে করে। দুপুরবেলায় বিরিয়ানি রান্না করেছেন আর বিকেল বেলায় তাদের বড়া। বিরিয়ানি আর তালের বড়া দুটোই খেতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। তবে এই সময় সব বাড়িতেই তালের বড়া করা হয়। আপনার সারাদিনের কাজকর্ম তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই সময়টা তে তাল পাকে,আর হালকা বৃষ্টির মাঝে এরকম তালের বড়া খেতে কিন্তু আমার ভীষণ ভালোই লাগে। জেনে ভালো লাগলো আপনার বিরিয়ানি ও তালের বড়া বেশ পছন্দ। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

ভেবেছিলেন কয়েক পদের ভর্তা বানাবেন,তার বদলে বিরিয়ানি রান্না করেছেন। আপনি কতটা ভালো খেয়েছেন জানিনা, তবে আপনার মেয়ে যে বিরিয়ানি খুব পছন্দ করে খেয়েছে এটুকু বলতে পারি। কারণ বাচ্চা মাত্রই তাদের কাছে বিরিয়ানিটা খাওয়ার জন্য একটা আকর্ষণীয় পদ, কিন্তু ভর্তা খেতে তারা হয়তো ততটা পছন্দ করে না। তালের বড়া গুলো কিন্তু দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। এ কথা সত্যিই যে বাংলাদেশের বন্যা কবলিত এলাকার দৃশ্যগুলো দেখে মনটা খারাপ হয়ে যায়। ভালো থাকবেন।

একদম ঠিক বলেছেন আমাদের সংসারের এবং ব্যক্তিগত কাজের জন্য নিজেদের চেহারায় নিজেরাই ভুলে যাই। আপনি তো ছবি তুলে চেহারা দেখছেন আর আমি মাঝেমধ্যে আয়না দিয়ে নিজের চেহারাটা দেখি ।

বেশ মজাদার একটি খাবার আজকে দুপুরে বিরিয়ানি রান্না করেছেন। আবার সন্ধ্যায় দেখি তালের বড়া বানিয়েছেন। খুব লোভনীয় একটি
খাবার ।বেশি ভালই লাগলো আপনার ডাইরি গেমটা পরে থ্যাংক ইউ।।

এখন তালের সিজন তাই প্রায় প্রতিটা পোস্টে দেখতে পাচ্ছি যে তাহলে পিঠার গন্ধ। তালের পিঠা আমারও খেতে খুবই ভালো লাগে।

আপনার বানানো তালের পিঠাগুলো দেখে লোভ লাগছিল কিন্তু করার কিছু নাই এখান থেকে উঠিয়ে তো খাওয়া যাবেনা।

আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।

তালের পিঠা আমি ভীষণ পছন্দ করি তালের মালপোয়া তালের বড়া, তালের চ্যাপ্টা পিঠা আর কি যত ধরনের তালের পিঠা আছে আমার কাছে ভালো লাগে।।।

যখন শ্বশুরবাড়িতে ছিলাম তখন আমার শাশুড়ি মা অনেক বেশি পিঠা তৈরি করে খাওয়াতেন,,,, যদিও এখন মাঝে মাঝে ফোনে বলে আমার জন্য এটা ওটা রেখেছে তখন শুনে খুব আফসোস হয়,,,,,

যদি উঠিয়ে খাওয়া যেত তাহলে তো ভালই হতো এখান থেকে যার যেটা পছন্দ মত খাওয়া যেতো😁😁

আপন মায়ের মত একটি শাশুড়ি পেয়েছেন তাইতো আপনাদের ভিতরে সম্পর্কটা এত ভালো রয়েছে। অনেকে রয়েছে শাশুড়ির প্রশংসা করতে চাই না তবে আমি আপনার পোস্ট অনেক পড়েছি সেখানে আপনার শাশুড়ি প্রশংসা সহ আপনাদের ভিতরে সুসম্পর্ক সম্পর্কেও অনেকবার তুলে ধরেছেন আপু অনেক ভালো লাগে যদি পরিবারের শান্তি থাকে আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার কমেন্টে পড়ে খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য ভালো থাকবেন।