Better LIfe with steem || The Diary Game || June 10, 2024 ||

in hive-120823 •  4 months ago 

Neutral Minimalist Romantic Photo Collage.png
Photo edited by canva
প্রিয় বন্ধুরা আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। তবে, আজ অনেক ব্যস্তময় একটি দিন কাটিয়েছি এবং দিন শেষে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে বসেছি, আমার আজকের দিনের কার্যক্রম তাই বেশ ভালো লাগছে। তো চলুন শুরু করছি।

ভোর পাঁচ টা বাজে আমার আব্বুর ফোনে ঘুম টা ভেঙ্গেছে, এবং ফোন রিসিভ করতেই আব্বু বললো আমাদের জন্য মাছ পাঠিয়ে দিয়েছে কাওরান বাজার, সাথে ঠিকানা টা ও দিয়ে দিলো, এবং বললো মাছের আওরতে গিয়ে ফোন দিতে। তা হলে মাছ পেয়ে যাবে। তবে যেতে হবে সকাল ১০ঃ০০ টা বাজে আগে। এরপরে ফোন টা রেখে দিলাম আব্বুর সাথে কথা বলা শেষ করে।

এরপর আর কি করার হাসবেন্ড কে ডেকে তুললাম ঘুম থেকে। প্রথমে জানতে চাইলাম আজকে কখনো অফিসে যেতে হবে। বললো বিকালের দিকে এ কথা শুনে আমি তার কাছে খবর টা দিলাম মাছ আনতে যাওয়ার জন্য। তিনিও রাজি হলো এরপর আমি অন্য দিকে চলে গেলাম সকালে নাস্তা তৈরি করার জন্য কারণ তাড়াতাড়ি করতে হবে।

আজ সকালে রান্না করে ছিলাম কবুতরের গোশত, সাথে চিতাই পিঠা। এই চালের গুড়ো কাল কে রাতে করে রেখে ছিলাম। আর বাকি টা সকালে করে নিয়েছি। অনেক বেশি চাল না মাত্র দুই কাপ তবে, এ গুলো করতে আমার অনেক কষ্ট হয়েছে। তবে খাওয়ার সময় বেশ ভালোই লেগেছে।

খাওয়া-দাওয়া শেষে হাজবেন্ড চলে গেলো কাওরান বাজার মাছ গুলো আনতে। আর আমি অন্যদিকে ফ্রিজ টা কে একটু খালি করে নিতে ছিলাম। সবকিছু গুছিয়ে রাখার পরে বেশ খানিক টা জায়গা বের হয়েছিলো। এরপরে দুপুরে রান্নার জন্য কিছু পুঁই শাক বেছে নিয়ে ছিলাম, সেই সাথে প্রতি টা রুম ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি। কারণ, মাছ আনার পরে আর এদিকে সময় দিতে পারবো না।

এসব করতে করতে কলিং বেল বেজে উঠলো দরজা খুলতে এই হাজবেন্ড ভিতরে আসলো, এরপরে মাছ গুলো বের করে নিলাম, এই মাছ গুলো আমাদের নিজেদের দিঘী থেকে ধরা। আজ চার দিন যাবত আমাদের দিঘী থেকে মাছ ধরতে ছিলো, বেশ অনেক দিন আগে দিঘী নিয়ে একটা পোস্ট করে ছিলাম ওই দিঘীর মাছ এগুলো।

মাছ ধরা শুরু হয়েছে পড়ে থেকে আমার বাবা বলছিলো মাছ দেওয়ার কথা। আমি অনেক বার নিষেধ করেছি এত দূরে পাঠানোর দরকার নেই। কিন্তুু বাবা বলে কথা, আমাকে না পাঠালে তো তিনি খেয়েও শান্তি পাবে না। তাই নিষেধ করার পরেও পাঠিয়ে দিয়েছে। সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি তিনি আমাকে এত সুন্দর বাবা-মা দান করেছেন।

এরপরে হাজবেন্ড এবং আমি দুই জনে মিলে মাছ কাটার জন্য বসে করি, এই মাছ কাটায় বেশ কষ্ট হয়েছে। শশুর বাড়িতে থাকতে বড় মাছ হলে কাজের খালাম্মা এই কেটে দিতো। আর এখন আমাকে করতে হচ্ছে। যদিও এই মাছ গুলো বাহিরে নিয়ে গিয়ে কেটে আনা যেতো,, তবে,হাজব্যান্ড বললো নিজেদের পুকুরের মাছ হাত দিয়ে ধরে কাটার আনন্দ টা এই অন্যরকম।

তখন বললাম তুমি ওই আনন্দ উপভোগ করো, এই বলে দুই জনে মিলে এই মাছগুলো কেটে ছিলাম। বেশ অনেক টা সময় কেটে গিয়েছিল আমার এই মাছ কাটা ধোয়ার পিছনে। এরপরে ঝটপট করে দুপুরে রান্না টা করে নিলাম । রাইস কুকারের করে ভাত বসিয়ে দিয়ে ছিলাম এবং সরপুটি মাছ দিয়ে পুঁই শাক রান্না করেছিলাম। এটা আমার কাছে নতুন রান্না ছিল তবে খেতে বন্ধ হয়নি।

এরপরে, গোসল শেষ করে দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে বেশ কিছুটা সময় ঘুমিয়ে ছিলাম। ঘুম থেকে উঠে শাশুড়ি আম্মার সাথে কথা বললাম। তিনি বললো আমার আব্বু নাকি আমার শ্বশুর বাড়িতে ও মাছ পাঠিয়ে দিয়েছে,, এরপরে শশুরের সাথে কথা হলো এবং তিনি জানালো এবার বাড়িতে কোরবানি অনুষ্ঠান করা হবে এবং আমাদের যাওয়ার জন্য।

তাদের সাথে কথা বলা শেষে রান্নাঘরের দিকে গিয়ে ছিলাম। এবং গিয়ে দেখলাম বেশ অনেক আগেই ফ্রিজ থেকে দুধ বের করে রেখেছি, দুই টা গরম করতে এই দুধ নষ্ট হয়ে গিয়েছে, এক কেজি পরিমাণ দুধ, এত গুলো দুধ নষ্ট হয়ে গিয়েছে কি করবো তাই, ভাবছিলাম এরপরে মেয়ে কে সাথে নিয়ে এই মিষ্টিগুলো তৈরি করে ফেললাম।

তবে, দুঃখের বিষয় হলো মিষ্টি গুলো চিনির শিরা মধ্যে দেওয়ার সাথে সাথে, সবগুলো মিষ্টি ভেঙ্গে গেলো আমার আর আমার মেয়ের দুজনের এই মন খারাপ এই অবস্থা দেখে। দুধের সাথে এখন চিনি গুলো নষ্ট হয়ে যাবে, তাই এগুলো দিয়ে সন্দেশ তৈরি করে নিয়েছিলাম। যদিও খুব একটা ভালো হয়নি দেখতে তবে, খেতে বেশ ভালো লেগে ছিলো তাছাড়া ফেলে দেওয়ার হাত থেকেও বেঁচে গিয়েছি।

এরপরে সন্ধ্যা আযান হলো মাগরিবের নামাজ আদায় করে নিলাম। নামাজ শেষে মেয়ে কে পড়তে বসিয়ে ছিলাম। মেয়ের পড়ানো শেষে আমি আমার কয়েক টা বান্ধবীর সাথে একটু কথা বলি। এরপর রাতের খাবার খেয়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে ছিলো আর আমি পোষ্ট লিখ‌ছিলাম। পোস্ট করা শেষে আমিও ঘুমিয়ে পড়বো।

  • বিদায়, ধন্যবাদ সবাইকে।

"আমার এই পোস্ট টা পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ"

DiHLrjiPetHt6ciV9azim9NPHuTMQ59H51nYE8xqo83cHxoWjkEXJT9iFny5FDK6V87zhnX5kJcSGE6ahn1RouZuijdX8aHZSZuNzNLrHLCesrYQeLFEN3XWqtzgugDvKSjLVorzHmsDV9fsCYARi3rzgEWfrvmwA657nCqYe5UwnnVK4Dxytu7ugFVWiW3mjezc1nCAisbww4sYtHPgvEw.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বাবা -মা থাকার এই একটা সুবিধা। তারা যতদিন জীবিত থাকে ততদিনই এই ভালোবাসাটা পাওয়া যায়। শুধু নিজের বাবা-মা-ই না, শশুর -শাশুড়ীও এদের মাঝেই পরে। হয়তো মাঝে মাঝে খানিকটা রাগ করে কিন্তু তারপরও এদের মতো শুভাকাঙ্ক্ষী আর কেউ হয় না।আমি খুব মিস করি মা -বাবার সাথে সাথে আামর শশুর শাশুড়ীকে।
মাছ কাটা আমার কাছে খুবও বিরক্তিকর একটা কাজ লাগে আর আমি ভালো পারিও না।তাই আমার বাইরে আর বুয়া ভরসা এই ক্ষেত্রে। চ
আপনার চিতই পিঠাটা খুবই লোভীয় লাগছে।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
ভালো থাকবেন সবসময়।

হ্যাঁ আপনি সত্যি কথাই বলেছেন বাবা-মা শশুর শাশুড়ি থাকলে একটা সুবিধা।
তারা আমাদের যতই রাগ করুক না কেন যতই বোকা দিক না কেন তাদের কাছে আমাদের ভালোবাসা সব সময় থাকবে।
একদম ঠিক আমার কাছেও বিরক্ত লাগে তবে মাঝেমধ্যে কিছু কিছু ব্যাপার আছে যেগুলো বিরক্ত লাগলেও কিছু করার থাকে না।।।
ধন্যবাদ আপনাকে

Loading...

আজকে সকালে খুবই লোভনীয় নাস্তা করেছেন। কবুতরের মাংস আমার খুবই প্রিয় তার সাথে যদি চিতই পিঠা হয় তাহলে আর কি লাগে। নিজেদের দিঘির মাছ খেতে আসলে আলাদা রকমের স্বাদ লাগে। আর এটাই হচ্ছে বাবা মা এর ভালোবাসা যে, আপনাকে না দিয়ে তারা আসলে খেয়ে শান্তি পাবে না। আপনার বানানো সন্দেশগুলো দেখতেও কিন্তু ভালো হয়েছে আর খেতে তো অসাধারণ হয়েছেই বললেন। সন্দেশ বানানোর জন্য অনেক দুধ আর চিনি নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বেঁচে গেলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার দিনলিপি শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।

হ্যাঁ লোভনীয় আমি চিতই পিঠা খাই তবে খুব একটা পছন্দ করি না। হাজব্যান্ড পছন্দ করে আর সেই কারণেই তৈরি করা।
একেই বলে বাবা-মা খেয়ে সন্তানদের কথা চিন্তা করে সন্তানদের না দিলে যেন তারা তৃপ্তি পায় না।
মাঝেমধ্যে খাবার নষ্ট হয়ে যায় আর ঐ নষ্ট খাবার ফেলে দিতে ভীষণ খারাপ লাগে তাই নষ্ট খাবার দিয়ে ভালো কিছু তৈরি করার চেষ্টা।

দুঃখের বিষয় হলো মিষ্টি গুলো চিনির শিরা মধ্যে দেওয়ার সাথে সাথে,

আপনার লেখা এই শিরাটির মানে সম্পূর্ণ ভুল। এই শিরা মানে আমাদের শরীরে রক্তসংবহন তন্ত্রের রক্তনালী। তাই এই শব্দটি এই লাইনে একদমই বেমানান। দয়াকরে এটিকে সঠিক ভাবে লিখুন। আপনার বাবা বেশ অনেকগুলো মাছ পাঠিয়েছে দেখলাম। নিজেদের দীঘির মাছ যেহেতু নিশ্চয়ই তার স্বাদ অনেক ভালো হবে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।

ও দিদি ধন্যবাদ আপনাকে, শিরা শব্দটি আমি পরিবর্তন করে দিব এবং পরবর্তীতে ও অনেক সতর্ক থাকবে।
হ্যাঁ অবশ্যই নিজেদের দিঘির মাছ এটা স্বাদ অন্যরকম। কেনার থেকে এই মাছ খাওয়ার আনন্দটাই।