lifestyle-the-diary-game-05-07-2024

in hive-120823 •  3 months ago 

Neutral Minimalist Romantic Photo Collage.png

Photo edited by canva
প্রিয় বন্ধুরা, আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, আমার আজকে সারা দিনের কার্যক্রম আমি আশাবাদী আপনাদের ভালো লাগবে।

সকাল বেলা,
প্রতিদিনের মতো আজও একটু তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠেছি। এবং ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে,ওযু করে,রান্নাঘরে চলে যাই। ডাল সিদ্ধ বসিয়ে, রুটি তৈরি করতে শুরু করি। ঠিক এমন সময় আমার মেয়ে ও এসেছে, ব্যালন নিয়ে রুটি তৈরি করবে বলে।এরপরে মেয়ে কে সাথে নিয়ে রুটি তৈরি করি।

এবং সবাই মিলে সকালের নাস্তা শেষ করি, এর পরে হাজব্যান্ড চলে গেল অফিসে। আর আমি রুমগুলো একটু গুছিয়ে নিলাম।রুম গোছানো শেষে আমার আম্মুর ফোন দিলো এবং তার সাথে কয়েক মিনিট কথা বললাম। তার সাথে কথা বলা শেষে ২ গ্লাস পানি খেয়ে নিলাম।কারন, ইদানিং পানির পরিমাণ টা খুব কম খাওয়া হচ্ছে আমার।

মধ্য দুপুর,

গতকাল রাতে ভেবে রেখে ছিলাম আজ একটু কাঁচা বাজারের দিকে যাবো,আমাদের এই এরিয়ার ভিতরে বাজার রয়েছে,এখানে আসার পর আমার হাজবেন্ড আমাকে সব জায়গা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে জায়গায় দেখিয়েছে। আর এই দেখানোর কারণ হলো প্রতিদিন তো আর, সে বাজার করার সুযোগ পাবে না। তাই আমাকে এই করতে হবে যদিও মাঝে মধ্যে সে করে দিবে।

তাই চলে গিয়েছিলাম,কিন্তুু গিয়ে আই I am তো অবাক। ভাইরে ভাই এখানের ভাবীরা যে পরিমাণে চালু,আমি তো তাদের কাছে কিছুই না,এখানে আবার একটা নিয়ম আছে, লাইনে দাঁড়িয়ে কাঁচা বাজারের সবজি গুলো কিনতে হয়। কিন্তুু ব্যাপার টা আমার কাছে কেমন জানি লাগছিলো,তার মধ্যে আবার মুষল ধারায় বৃষ্টি শুরু হয়েছিলো। বাজারের জন্য হাজব্যান্ড ১০০০ টাকা দিয়ে ছিলো,আর আমি এক কেজি আলু কিনে বাসায় ফিরেছি, আর কিছুই কিনতে পারিনি।

দুপুর বেলা,

বাসায় ফিরে প্রথমে দুপুরে রান্নার জন্য ভাত বসিয়ে দিয়েছি। কারণ, বৃষ্টি শেষে বাসায় ফিরতে অনেক টা লেট হয়ে গিয়ে ছিলো।এরপরে রান্নার জন্য সবজি গুলো কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিলাম। আজ দুপুরে রান্না করবো চিংড়ি মাছ দিয়ে বেগুন, সেই সাথে কালোজিরা ভর্তা এবং কচুর লতি। ধীরে ধীরে সবগুলো রান্নাই করে নিলাম।

এরপর হাজব্যান্ড কে ফোন দিলাম,বাজার করতে যাওয়া কাহিনী বললাম এবং বললাম তোমার বাজার তুমি করো, সে বললো আরো একটু চালু হয়, চালু না হলে এই শহরে থাকতে পারবে না। জানি না বাবা আরো কত কি দেখতে হবে সামনে আমার!!! অফিস শেষে হাজবেন্ড বাহিরে গিয়ে অনেক গুলো বাজার করে নিয়ে আসলো,শুকনা বাজার ছাড়াও এখানে কাঁচা বাজারও ছিলো।

এর মাঝে আমি মেয়ে কে নিয়ে দুপুরে গোসল শেষ করেছি,এবং হাজবেন্ড আসার পরে আমরা সবাই মিলে দুপুরে খাবার খেয়ে নিলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কিছুটা সময় রেস্ট নিয়ে ছিলাম। এরপরে আর সুয়ে না থেকে সব বাজার গুলো একে একে গুছিয়ে নিয়েছিলাম। বাজার গোছানো শেষে খেয়াল করলাম, বাহিরে আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

বিকাল বেলা,

যেহেতু, বাহিরের বৃষ্টি হয়ে ছিলো,মনে হলো এখন ভাজা পোড়া খাওয়া দরকার। বৃষ্টি হলে আমি মুচমুচে খাবার খেতে পছন্দ করি।ভেবে ছিলাম ভুট্টা দিয়ে পপকন তৈরি করবো,কিন্তু তার হলো কই, ভুট্টা গুলো ছাড়িয়ে কড়াইতে রাখবো ঠিক সময় হাজবেন্ড এসে কতগুলা চাল দিয়ে দিলো বাজার জন্য, শুধু কি চাল, চালের মধ্যে আবার কত গুলো সস দিয়ে দিছে।

দেখে তো আমার মাথা নষ্ট, খাওয়া তো হবেই না, উল্টো কষ্ট করা হবে,এরপর আমি ভুট্টা গুলো রেখে চলে গেলাম, দেখি সে কি তৈরি করে। কিছুক্ষণ পরে ভুট্টা, চাল ভাজা, একসাথে মিক্সচার করে নিয়ে এসেছে। কি আর করার!! খাবারের জিনিস ফেলে তো দেওয়া যাবে না,এরপরে খেয়ে নিলাম তবে আমার কাছে চাল ভাজা টা অনেক মজার হয়েছিলো,যেহেতু সস দিছে হালকা টক টক মিষ্টি মিষ্টি লাগছিলো।তবে আমি এরকম অদ্ভুত ধরনের চাল ভাজা কখনো খায়নি এটাই প্রথম ছিলো। আপনারা কি কখনো সস দিয়ে চাল ভাজে খেয়েছেন?চাইলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।

  • যাইহোক,আজ বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

"আমার এই পোস্ট টা পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ"

DiHLrjiPetHt6ciV9azim9NPHuTMQ59H51nYE8xqo83cHxoWjkEXJT9iFny5FDK6V87zhnX5kJcSGE6ahn1RouZuijdX8aHZSZuNzNLrHLCesrYQeLFEN3XWqtzgugDvKSjLVorzHmsDV9fsCYARi3rzgEWfrvmwA657nCqYe5UwnnVK4Dxytu7ugFVWiW3mjezc1nCAisbww4sYtHPgvEw.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

যাইহোক আজকে আপনার সারাদিনের সকল কার্যকর অনেক সুন্দর ছিল এবং আপনি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে এটি উপস্থাপনা করেছেন তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

আমি প্রতিদিনই চেষ্টা করি সারাদিনই কার্যক্রম আপনাদের মাঝে বিশ্লেষণ করে তুলে ধরার জন্য ,,, আর ধন্যবাদ আপনি যে মনোযোগ সহকারে পোস্টটি করছেন তা কমেন্ট পরে বুঝতে পারলাম।

এখন থেকেই মেয়েকে দেখি কাজ শিখাচ্ছেন ভালোই তো। আর হ্যাঁ ভাইয়া এটা ভালো করেছে সবকিছু আপনাকে দেখিয়ে কারণ কখনো আপনার কি লাগবে সেটা তো বলা যায় না।। শুনে আমি একটু অবাক হলাম যে লাইন ধরে বাজার করতে হয়।। দুপুরে তো রান্নাবান্না ভালোই হবে দেখছি।।

বাচ্চাদের সব সময় কাজ শেখাতে হয় কিন্তু আমরা মায়েরা সব সময় শিখাতে চাই না বাচ্চার কষ্ট হবে বলে। তবে আমার মনে হয় ছোট থেকে শিখলে বড় হলে আর অনিচ্ছা প্রকাশ করবে না কাজের ক্ষেত্রে।

এছাড়া কাজ শেখানো ভালো এতে মায়েদের অনেক কম হয়। হ্যাঁ আমিও প্রথমে আপনার মত দেখে অবাক হয়েছিলাম। এটা আবার কেমন নিয়ম লাইনে দাঁড়িয়ে বাজার করতে হবে। কিছু করার নেই সরকারের নিয়ম তাই মেনে নিতেই হবে।

এটা একদম সঠিক বলেছেন ছোট থেকেই বাচ্চাদের কাজ শেখালে বড় হলে তারা আর অলসতা করে না তাদের প্রতি একটা ভালোবাসা থাকে।। আর হ্যাঁ সরকারের আইন তো মানতেই হবে।।

আপনার মেয়ে তো এখন কাজ শিখে যাচ্ছে 😲দুজন মিলে কাজ করবেন তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। আপনার হাসবেন্ডর বুদ্ধি আছে। পুরুষদের বুদ্ধি থাকবে এটা স্বাভাবিক। প্রতিদিন বাজার করার থেকে জায়গাটা সাথে পরিচিত করে দিয়েছে আপনাকে। ভালো অনেক বাজার করলেন আপনার অনেক বাজার করার অভিজ্ঞতা আছে
আমার ততটা বাজার করার অভিজ্ঞতা একদমই নাই।

আর নিচে রেখো ফটোতে একটি টিফিন খাবার দেখলাম দেখে খুবই খেতে মন চাইলো। রেসিপিটা যদি আমাদের সাথে শেয়ার করতেন তাহলে আমরা ভালো করে খেতে পারতাম।

ধন্যবাদ আপু আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো

কি আর করার আমি বড় হচ্ছে তাই ধীরে ধীরে সবকিছু এই শেখাতে হবে এখন থেকে শুরু করছি।
প্রিয় ভাই আপনি খেয়াল করলে দেখতে পারবেন আমার বাজারের অভিজ্ঞতা কতটুকু আছে, হয়তো সেই কারণেই কিছুই কিনতে পারিনি। পরবর্তীতে হাজবেন্ড কিনে এনেছি।

তবে বাজার করার অভিজ্ঞতা আছে আমার কিন্তু নতুন জায়গায় এসে অন্যরকম দেখে একটু সবকিছু এলোমেলো মনে হচ্ছে আমার তবে আশা করছি খুব দ্রুত নিজেকে ঠিক করে নিতে পারবো।

ছোট বাচ্চাদের এমন কাজের প্রতি আগ্রহ দেখলে সত্যি ভালো লাগে। আশা করি আপনার মেয়ে বড় হলেও কাজের প্রতি এমন উৎসাহ থাকবে। সবসময় স্বামীরা বাজার করে তবে আপনি বাজার চিনে রেখে ভালো করেছেন তাহলে প্রয়োজন হলে আপনিও বাজারে যেতে পারবেন। বাইরে থাকতে গেলে একা চলার অভ্যাস করা ভালো।

একদম ঠিক কথা বলেছেন বাহিরে থাকতে থাকতে একা চলার অভ্যাস নিজের ভিতরে তৈরি হয়ে যায়।
এখানে আসার পরে এমন একটা ভয় ছিল নিচে নামতে কেমন জানি করতো আর সেই মানুষ আমি এখন মেয়েকে নিয়ে তাই ঘুরে বেড়াই।
সবকিছু সময় এবং পরিস্থিতি মানুষকে পাল্টে দেয়।

আজকে সকাল বেলে উঠে মা মেয়ে মিলে তো মনে হয় অনেক রুটি বানিয়েছেন। সবাই মিলে নাস্তা শেষ করে ঘর গুছিয়ে বাজারে গিয়েছিলেন। কিন্তু আলু ছাড়া আর কিছুই কিনতে পারেন নাই। কারণ এই বাজারের সবকিছুই নতুন লেগেছে আপনার কাছে। এরপর বাসায় এসে রান্না করেন।
বৃষ্টি নাময় পপকর্ন ভাজতে গিয়েছিলেন কিন্তু ভাই এসে ঝামেলা বাধিয়েছে। এর মাঝে চাল আর টমেটো সস ঢেলে দিয়েছে। আমি ছবি দেখে তাকিয়েছিলাম এটা ভেবে যে এটা আবার কি জিনিস। যাই হোক ,খেতে পেরেছেন শেষ পর্যন্ত এটাই বেশি।