আসসালামু আলাইকুম, আশা করছি সবাই ভালো আছেন । আমি ও আলহামদুলিল্লাহ সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি। তবে প্রতিদিন তুলনায় আমি আমার আজকের দিনটা একটু অন্যরকম কাটিয়েছি। ঘুম থেকে ওঠার পরে ভাবি নি সারাটাদিন এভাবে যাবে।
কি হয়েছে না হয়েছে সবই শেয়ার করব চলুন তাহলে পোস্টটা শুরু করছি , আজ পানি কেটেছে আমার দিন টা বলা যায়। আজ আমাদের এখানে সারাটা দিন এই পানি ছিল না,এখানে আসার পরে আমার এমন পরিস্থিতিতে কখনো করতে হয়নি।
তবে, এমন পরিস্থিতি তে না পড়লে বুঝতামও না,যেখানে পানির অভাব সেখানে মানুষ কতটা না কষ্ট করে চলে, ঢাকায় অনেক জায়গায় আছে পানি অনেক সমস্যা তবে, আমাদের এখানে পানির সমস্যা নেই বললেই চলে। তবে আজ হঠাৎ করেই লাইনে অনেক বেশি সমস্যা দেখা দিয়েছিলো। তাই সকাল থেকে একদম রাত পর্যন্ত পানি ছিল না এক ফোঁটা।
আজ ঘুম থেকে ওঠার পরে হাতমুখ ধুয়ে ওযু করা পর্যন্ত সব ঠিকই ছিলো,আমার আবার একটা অভ্যাস আছে ভালো নাকি খারাপ তা বলতে পারবো না তবে , আমি সব সময় বালতি ভরে রাখি। তাই আজও করেছিলাম।
আমার মেয়ে ঘুম থেকে উঠলো ব্রাশ করলো ফ্রেশ হলো, হাজবেন্ড উঠে যখন ওয়াশ রুমে গেলো দেখলো পানি নেই, কি একটা অবস্থা, যে টুকু ছিলো হাত-মুখ ধুয়ে কোন মতে ফ্রেশ হয়ে নিলো।
সকালের নাস্তা টা করে নিয়ে ছিলাম যেহেতু খাবারের পানিটা আলাদা, নিচে ফিল্টার থেকে আনতে হয় । এর পরে হাজবেন্ড অফিস চলে গেল আমি ভেবেছিলাম হয়তো পানি চলে আসবে।
কিন্তুু তার কোন খবর নেই, আমি কখনো এমন পরিস্থিতিতে পড়ি নি, পানি আসবে আসবে করে দুপুরে রান্না বান্নাটা করা হলো না। কারণ, রান্নাবান্না করতে গেলে অনেক পানির প্রয়োজন মাছ ধোঁয়া, সবজি ধোঁয়া চাল ধোয়া ইত্যাদি।
এই করতে করতে হাজবেন্ড অফিস থেকে আসার সময় হয়ে গেল প্রায় দুইটা বেজে গিয়েছিল তখন, কি যে একটা অবস্থা একদম টেনশনে পড়ে গিয়েছিলাম,রুমে যতোটুকু খাবারের পানি ছিলো সেটা দিয়ে টুকি টাকি কাজ সেরেছি।তবে এভাবে আর কতক্ষণ।
হাজবেন্ড বাসায় এসে বাহির থেকে গিয়ে পানি নিয়ে আসলো খাবারের জন্য,, কোন ভাবে মেয়েকে গোসল করাতে পারলেও নিজে আর গোসল টা করিনি,সারাটা বিকাল ও পানির অপেক্ষায় কেটেছে, কিন্তুু তখনো পানি এলো না। সকালে নাস্তা তৈরি করেছিলাম রুটি ডাল, তাই খেয়ে নেওয়া হয়েছিল আর দুপুর বেলা আমরা দুধের সাথে চিড়া ও দই খেয়ে ছিলাম।
বসে বসে ভাবছিলাম, আজ একটা দিন পানির জন্য আমরা কত সমস্যায় ভুগছি , আর যারা মাসের পর মাস পানি নিয়ে ভোগান্তিতে পড়ে আছে তাদের তো আরো খারাপ অবস্থায়, এ কথা চিন্তা করতে সৃষ্টিকর্তার কাছে একবার শুকরিয়া আদায় করে নিলাম। যেভাবে রেখেছে হাজারো ও ভালো।
তবে আমরা কিন্তুু এটা মাঝে মধ্যে ভুলে যাই, এবং এটাও সত্যি,আমাদের সমাজে বা পরিবারে কিছু মানুষ আছে যারা পানি অপচয় খুব বেশি করে। গোসল করতে গেলে, কি বা পানি যতটুকু খাবে তার থেকে বেশি পরিমাণে ঢেলে না খেয়ে বাকি টা ফেলে দেওয়া,এবং অনেক কিছু পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে অনেকেই কিন্তুু অনেক বেশি পানি অপচয় করে।
আমি অন্যের কথা বলবো না মাঝে মধ্যে নিজের ও করা হয়ে যায়, তাই আমাদের সকলের এ ব্যাপারে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। কারণ "আজ আমি বুঝেছি একটু পানির কতটুকু মূল্য"।পানি ছাড়া বেঁচে থাকা সত্যিই অসম্ভব এজন্য এই মনে হয় পানির অপর নাম জীবন।
সারাটা দিন অপেক্ষার পরে রাতের বেলা পানি আসলো,এর পরে আর দেরি না করে রান্নাবান্না টা শেষ করলাম। ও এরপরে গোসল টা ও শেষ করে নিলাম। এবং নিজেকে কিছুটা হালকা করে আবারো ও আপনাদের মাঝে ফিরে এলাম।
আমি সকাল বেলা ও ঘুম থেকে উঠে চিন্তা করিনি যে দিনটা আমার এভাবে কাটবে,,তবে শুকরিয়া এই যে দি নশেষে হলেও রাতের বেলা পানি পেয়েছে, যাইহোক দোয়া করবেন আমাদের জন্য এবং সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।।।
আজ বলে নয়, সকলেরই সবসময়ই বোঝা উচিত যে কোন জিনিসের মূল্যই অনেক। তবে জল ছাড়া কোন মনুষ্য জাতি বাঁচতে পারবে না। আমাদের জীবনে চলার পথে জল আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় উপাদান। জল ছাড়া আমরা এক মুহূর্ত চলতে পারব না। সারাদিন জল না আসার জন্য আপনি বুঝতে পেরেছেন জলের মূল্য কতখানি। সারাদিন জল না আসার কারণে আপনার স্নান ঠিকঠাক হয়নি। জল ছাড়া সত্যিই খুবই অসুবিধা। সারাদিন পর রাতের বেলাতে জল এসেছিল। তারপর আপনি সমস্ত কাজকর্ম করেছেন। প্রত্যেক পরিবারেই বহু মানুষ রয়েছে তারা জলে অপচয় করে। তাদেরও একটু জলের অপচয় বন্ধ করা উচিত।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গ্রামে থাকার সবচেয়ে বড়ো সুবিধা হলো সেখানে অনেক সমস্যায় পড়লেও রান্না করার জন্য গ্যাস আর পানির সমস্যায় পড়তে হয় না। কিন্তু ঢাকাতে বসবাসকরি সবাইকেই কখনো না কখনো এই সমস্যা ভোগ করতে হয়। তবে এই দুইয়ের মাঝে পানির সমস্যাই সবচাইতে মারাত্মক যার মুখোমুখি না হলে এর গুরুত্ব বোঝা যাই না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit