Better Life with Steem || The Diary Game || 03 September 2024 || The rainy day passed by lazily

in hive-120823 •  2 months ago 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

হ্যালো বন্ধুগন আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন, আমিও আপনাদের দোয়া এবং সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।

photo_1_2024-09-04_00-06-59.jpg
Cover photo edit by canva

ইদানিং খুব চেষ্টা করতেছি একটু তাড়াতাড়ি পোস্ট করার জন্য এবং একটু তাড়াতাড়ি ঘুমানোর জন্য, কিন্তু নিজের অলসতার কারণে হচ্ছে না, অহেতুক সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, যদিও অনলাইনে আরো অন্য কিছু কাজ করে থাকি, কিন্তু স্টিমিট এ পোস্ট করতে রাত হয়ে যায় এবং ঘুমাতে অনেক দেরি হয়ে যায়। যাই হোক আমি আজকের সারা দিনের কার্যক্রম আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

প্রতিদিনের মতোই সকালে মোবাইলে এলার্ম শুনে ঘুম থেকে জাগ্রত হই, আজকে সকালে পরিবেশটা ঠান্ডা হওয়ার কারণে ঘুম থেকে উঠতে মন চাচ্ছিল না, এ কারণে ঘুম থেকে জাগ্রত হয়েও মোবাইল হাতে নিয়েই শুয়ে থাকি, নামাজের আগ মুহূর্তে মা এসে ডেকে দেয়, মায়ের ডাক শুনে ঘুম থেকে বিছানা থেকে উঠে দ্রুত ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যাই।

প্রতিদিনের অভ্যাস মত ফজরের নামাজ পড়ে আবার ঘুমাই, আজকে ফজরের নামাজ পড়ে বাড়ি আসার কিছুক্ষণ পরেই প্রচণ্ড বৃষ্টি হয়, বৃষ্টি ফোটা টিনের চালে পরলে একটা ঝুম শব্দ হয়, বৃষ্টির সেই ঝুম শব্দের মধ্যে ঘুমাতে অনেক মজা লাগে, এজন্য বৃষ্টির সময়ে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম।

photo_7_2024-09-04_00-06-59.jpgphoto_6_2024-09-04_00-06-59.jpg

ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে দেখি বৃষ্টি থেমে গেছে, তখন জানালা খুলে বাইরে তাকাতেই দেখি আম গাছের নতুন পাতা গজিয়েছে, গাছের পাতা সাধারণত সবুজ হয় কিন্তু যখন নতুন পাতা জন্মে তখন সে পাতার রং একটু ভিন্ন রকম হয়, নতুন পাতার উপরে বৃষ্টির পানি পড়ার কারণে দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল, সেজন্য এই পাতার ছবি তুলে রাখি।

বৃষ্টির পরে সুন্দর দৃশ্য দেখতে দেখতে ভুলেই গিয়েছিলাম যে, মাদ্রাসায় যেতে হবে, মোবাইলের টাইমের দিকে তাকাতেই দেখি মাদ্রাসায় যাওয়ার সময় হয়ে গেছে, তখন দ্রুত সকালের নাস্তা করে মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য তৈরি হয়, তৈরি হয়ে যখনই মাদ্রাসা যাওয়ার জন্য বের হব তখনই আবার মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়, এইজন্য আর মাদ্রাসায় যাওয়া হয় নাই।

আমার রুমে এসে কিছুক্ষণ বসে থাকি এবং বৃষ্টি থামার অপেক্ষা করতে থাকি, মাদ্রাসায় তো যাওয়া হলো না কিন্তু ব্যাংকে যেতে হবে, প্রতি মাসের প্রথম দিকে একবার ব্যাংকে যেতে হয়, কারণ বেতন উঠাতে হয়, কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর বৃষ্টি থেমে যায়, তাই ব্যাংকে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হই।

photo_8_2024-09-04_00-06-59.jpg

রাস্তায় যাওয়ার পর অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকি কিন্তু কোন যানবাহন পাইনা, বৃষ্টির কারণে রাস্তা ভিজে আছে এবং কোন যানবাহন আসছে না, কিছুক্ষণ পর একটা অটোরিকশা আসে সেটাতে উঠে আমাদের বাজার বাসস্ট্যান্ডে যাই, সেখান থেকে আরেকটা অটো রিক্সায় উঠে কাজীপুর শাখার সোনালী ব্যাংকে যাই। ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়ে কিছু কেনাকাটা করে বাড়িতে চলে আসি।

photo_4_2024-09-04_00-06-59.jpg

বাড়িতে আসার কিছুক্ষণ পরে জোহরের নামাজের আজান হয়, আজকে সারাদিনই হালকা হালকা বৃষ্টি হয়েছে, যার কারণে পরিবেশটা ঠান্ডা ছিল, এজন্য আমি আজকে গোসল করি নাই, আমি জোহরের নামাজের জন্য তৈরি হয়ে মসজিদে যাই। জোহরের নামাজ আদায় করে এসে দুপুরের খাবার খাই, খাবার খাওয়ার পরে ল্যাপটপ নিয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকি এবং অনলাইনের কিছু কাজ করি।

কিছুক্ষণ পর আসরের নামাজের আযান হয় তখন আসরের নামাজের জন্য মসজিদে যাই, আসরের নামাজের পরে মক্তবের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পড়াই, ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ছুটি দিয়ে কিছুক্ষণ বাহিরে হাঁটাহাঁটি করি, কিছুদিন আগে বন্যা হওয়ার কারণে এখনো খাল বিল পানিতে ভরপুর হয়ে আছে, সেই পানিতে মানুষ বিভিন্ন পদ্ধতিতে মাছ ধরে।

photo_2_2024-09-04_00-06-59.jpg

মাছ ধরার একটা পদ্ধতি হচ্ছে বড়শি, এলাকা কয়েকজন ছেলে বড়শি দিয়ে মাছ ধরছে, তাদের দেখে আমারও মাছ ধরতে ইচ্ছে হলো, তাদের থেকে একটা বড়শি নিয়ে আমি কিছুক্ষণ মাছ ধরার চেষ্টা করলাম, কিন্তু আমি মাছ ধরতে পারি নাই, তাদের মাছ ধরার দৃশ্য দেখে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল, আমিও ছোট বেলায় এভাবে মাছ ধরেছি।

তাদের মাছ ধরার দৃশ্য দেখতে দেখতেই মাগরিবের আজান হয়ে যায়, মাগরিবের নামাজ আদায় করে বাড়ি ফেরার সময় পশ্চিম আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি, আকাশটা লাল হয়ে আছে, সারাদিন হালকা হালকা বৃষ্টি হওয়ার কারণে রোদের দেখা পাওয়া যায় নাই, পশ্চিম আকাশটা লাল হওয়ার কারণে খুব সুন্দর দেখা যাচ্ছিল, বিষয়টা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে তাই মোবাইল দিয়ে ছবি তুলেছি।

photo_3_2024-09-04_00-06-59.jpg

বাড়িতে আসার পর আমার স্ত্রী আমার জন্য পেয়ারা এবং আমড়া কেটে দেয়, পেয়ারা এবং আমড়া দেশি ফল হওয়ার কারণে অনেক সুস্বাদ, এবং এটার পুষ্টিগুন অনেক ভালো, তাই খুব আনন্দের সাথে পিয়ারা এবং আমড়া খাই, এগুলো খেয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরেই এশার নামাজের আজান হয়।

photo_5_2024-09-04_00-06-59.jpg

আজান শুনে আমি মসজিদে যাই, এশার নামাজ আদায় করে এসে রাতের খাবার খাই, এরপরের ডিস্কোডে কমিউনিটির এডমিন মডারেটর এবং সদস্যদের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলি, এরপর এই পোস্ট লেখি এবং এই পোস্ট করার পরে ঘুমাবো।

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iPJL81FSnaUvBWcD5iZTFpjf9ezxs3kiupVWRKF61XuqhasvCtC1JRTK9P6Sz7YNnUaWYABNiuL.png

ধন্যবাদ সবাইকে আমার আজকের পোস্ট পড়ার জন্য।

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iPJL81FSnaUvBWcD5iZTFpjf9ezxs3kiupVWRKF61XuqhasvCtC1JRTK9P6Sz7YNnUaWYABNiuL.png

Device Used
Camera
Location
Short by
Samsung Galaxy A52 5G
64M camera
Bangladesh
@mahmud552

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

🎉 Yay! Great post, @yourusername! 👏 It's wonderful to see you sharing your experiences and thoughts on such a diverse range of topics. 😊 Your community is lucky to have you as an active member and moderator. 💖 Please keep sharing your wisdom and insights with us! 🤓

👉 And don't forget to vote for our witness, @xpilar.witness, by heading over to https://steemitwallet.com/~witnesses. Your support means the world to us! ❤️ With your help, we can continue growing and thriving together as a community. 💪

আল্লাহ সুবহানাতায়ালা রহমত সুন্দর সেটা দেখতে দেখতেই অনেকটা বেলা হয়ে যায় আর এই কারণে মাদ্রাসায় যেতে পারি নাই। তবে ব্যাংকে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত নিচ্ছেন এবং আপনাকে ব্যাংকে যেতেই হবে।

মাছধরা দৃশ্যটা আসলে অনেক সুন্দর আমরাও ছোট বেলায় এভাবে পুকুরে মাছ ধরেছি। এখন সেগুলো শুধু স্মৃতির পাতায় লিপিবদ্ধ।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কাজ করুন খুব ভালো হবেই উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।

ঠিক বলেছেন ভাই অনেক সময় আল্লাহর রহমত দেখতে মন হারিয়ে যায়, বৃষ্টির কারণে মাদ্রাসায় যেতে না পারলেও ব্যাংকে যেতে হয়েছিল, কারণ সেখানে যাওয়া খুব বেশি প্রয়োজন ছিল, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টে মনোযোগ দেয়ার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার কমেন্টে পড়ে যথাযথ একটি রিপ্লাই দেওয়ার জন্য। আসলে জরুরী কাজগুলো আমাদের যতই বাধা আসুক না কেন করতে হয় বৃষ্টির মধ্য আপনাকে ব্যাংকে যেতে হয়েছে কেননা এটা আপনার জন্য খুবই জরুরী ছিল।

শহরের জীবনে অনেক সুযোগ সুবিধা পাওয়া গেল গ্রামের জীবনটা অনেক শান্তিপূর্ণ। মাঝে মাঝে মন চায় সবকিছু ছেড়ে চলে গ্রামে চলে যাই। যদিও জানি থাকতে পারবো না হয়তো বেশি দিন ।কারন শহরের জীবনের অনেকটাই অভ্যস্ত হয়ে গেছি
আমরা।
একটা জিনিস আমি খেয়াল করেছি গ্রামে প্রচুর বৃষ্টি হয়, যেটা ঢাকাতে হয়ই না বলতে গেলে। ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।

আমি দীর্ঘদিন শহরে ছিলাম, কিছু কিছু ক্ষেত্রে শহরের জীবনও অনেক ভাল লাগে, আর কিছু ক্ষেত্রে ভাল লাগে না, কিন্তু গ্রামের পরিবেশটা অনেক সুন্দর হয়ে থাকে, আমার কাছে গ্রামের পরিবেশটা বেশি ভাল লাগে। ধন্যবাদ আমার পোস্টে মনোযোগ দেওয়ার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।