আসসালামু আলাইকুম, আমার সকল বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। অবশ্যই আপনারা ভালো আছেন, আজকে আপনাদের মাঝে খুব সুন্দর একটা মুহূর্ত শেয়ার করতে চলেছি। অবশ্যই আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়বেন, আমার মনে হয় ভালো লাগবে।
অবশ্যই আপনারা সবাই অবগতি আছেন, এইতো কালকে আমাদের মুসলমান সম্প্রদায়ের খুব বড় একটা আনন্দের মুহূর্ত ছিল। যেটা ছিল ঈদ উল আযহা।
আসলে এই ঈদে অনেক পরিমাণে পশু কুরবানী করা হয়, এটা আমাদের মুসলমান সম্প্রদায়ের একটা প্রথা। যেটা যুগের পর যুগ ধরে চলে আসছে।
তবে রোজার ঈদে যেমন মজা হয়, তেমন মজা এই কোরবানির ঈদে খুব একটা বেশি হয় না। কারণ সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত থাকে, যার যার কোরবানি নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
তারপরও বাড়ির বাচ্চা ছেলে মেয়েদের আনন্দের কোন শেষ থাকে না। তারা ঈদ মানেই একটা বিশাল বড় কিছু মনে করে। তাদের যে আনন্দ তারা নতুন জামা কাপড় পড়বে, নতুন সবকিছু ব্যবহার করবে। এবং সকাল সকাল বেরিয়ে ঈদগাহের উদ্দেশ্যে যাবে নামাজ পড়ার জন্য।
আর বাপ চাচা ভাই যেই আছে তার কাছ থেকে ঈদের সালামি নেওয়ার জন্য খুব ব্যস্ত থাকে। এক কথায় বলা যায় আমাদের বাংলাদেশ ঈদের এ আনন্দ অনেক বেশি দেখা যায়। কিন্তু আমাদের মত প্রবাসীর জন্য কি এই ঈদের আনন্দ অত পরিমানে হয়ে থাকে, সেটাই আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
সচরাচর আমরা প্রবাসীরা একটা কথা সবসময় বলি,, আমাদের ঈদ প্রতিদিন। কারণ এই প্রবাসে আমাদের ঈদ বলুন আর যাই বলুন সব এক রকমই কাটে।
যেমন দেখুন না কালকে ঈদ হয়ে গেল, কিন্তু কিছুই বুঝতে পারলাম না। সারাদিন ঘুমিয়ে ছিলাম, নামাজটা সেরে এসে একটু সেমাই খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছি ঈদ শেষ।
তবে হ্যাঁ সকাল সকাল একটু ঘুম থেকে উঠে গা গোসল দিয়ে একটা নতুন জামা পরে বেরিয়ে পড়েছিলাম নামাজের উদ্দেশ্যে। আর যেখানে আমাদের নামাজ পড়তে যেতে হবে ঈদগাহে। আমরা যে জায়গায় থাকি এখান থেকে বেশ অনেক দূর।
প্রায় ২০ মিনিটের মত রাস্তা এই রাস্তা পাড়ি দিয়ে ঈদগাহে পৌঁছাতে হবে। অবশেষে আমরা সকাল সাতটার দিকে গিয়ে ঈদগাহে পৌঁছালাম। আমরা যাওয়ার পরে দেখি অলরেডি ঈদগায়ে লোক পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। কারণ সকাল সকাল যদি নামাজ শেষ না করা হয়, তাহলে কোরবানি এই কাজ করতে অনেক দেরি হয়ে যাবে।
যাই হোক নামাজটা পড়লাম পড়ার পরে আবার বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। বাড়িতে এসে একটু সেমাই রান্না করলাম, কারণ যেহেতু ঈদের দিন আমাদের একটি প্রথা আছে ঈদের দিন সেমাই খাওয়া। তো সেমাইটি রান্না করে আমরা তিন ভাই বসে এক জায়গায় খেয়ে দেয়ে চিন্তা করলাম কি করব এখন তাহলে একটু ঘুমাই।
কিছুক্ষণ ঘুমানোর পরে বাড়িতে ফোন দিলাম, কারণ বাড়িতে দুইটি মেয়ে আছে। তাদের একটু খোঁজখবর না নিলে আবার বলবে। দেখো আজকে একটা খুশির দিন যাচ্ছে, কিন্তু আমার আব্বু আমাদের কাছে একবারও ফোন দিল না, আমাদের খোঁজ নিল না।
তাই ভাবলাম বাড়িতে একটু ফোন দেই, আর বাড়িতে ফোন যখন দিলাম আমার বড় মেয়ে ফোনটি উঠালো। উঠানোর পরপরই দেখি আমার মেয়েটি কান্না করছে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে আম্মু? তখন সে কান্না অবস্থায় আমাকে বলল আমার কেউ ঈদের সালামি দেয় নি। আমি এ কথা শুনে আসলে হতভাগ হয়ে গেলাম।
কারণ বাড়িতে আমার ছোট ভাই আছে, তার আম্মু আছে, তার দাদা দাদি সবাই আছে। তারা কেউ টাকা দেয়নি, তখন আমি আমার বাড়িওয়ালাকে বললাম ওকে টাকা দাও নি কেন। তখন বাড়িয়ালা বলল আসলে তাড়াতাড়ি নামাজ পড়তে যাব বলে দেয়া হয়নি। আমি বললাম এক্ষুনি দাও, ছোট মানুষ সারা বছর আশায় থাকে ঈদের দিনে সালামি নেবে, ঈদের দিনকে অনেক টাকা একত্রিত করে সে কিছু খাবে বা কিছু কিনবে।
যাইহোক অবশেষে আমার মেয়ের আম্মু তাকে ৫০০ টাকা হাতে ধরিয়ে দিল তখন মেয়ে অনেক খুশি। সে আমাকে বলল আব্বু আমি এখন খুব ব্যস্ত আমি আমার বান্ধবীদের সাথে ঘুরতে যাব।
যাইহোক হালকা পাতলা সবার সাথে বাড়িতে কথা বললাম, কথাবার্তা বলার পরে ফোন রেখে আবার ঘুমিয়ে পড়লাম। এভাবেই পুরো ঈদের দিনটা কেটে গেল, আসলে আমাদের ঈদ এমনই আমাদের ঈদ এমনই কাটে।
প্রত্যেকটি ছবি আমার | মোবাইলে উঠানো |
---|---|
Category | happy moments |
Location | malaysia |
Device | Vivo y76 |
Camera | 50 mp |
Captured | @mamun123456 |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit