Covid-19 ভ্যাকসিন এর দ্বিতীয় ডোজ মেয়ের স্কুলে।

in hive-120823 •  2 years ago 

হ্যালো বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম/আদাব। সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন আশা করছি। আমিও মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার ব্লগ লেখা শুরু করছি।

Picsart_23-03-15_23-17-44-259.jpg

আজ থেকে দু বছর আগেও করোনাভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করেছিল। বর্তমানে সংক্রমণ কিছুটা কমে গেলেও আমাদের অসচেতনতা আবারও বিপদের কারণ হতে পারে।

সেসময় বিশ্বব্যাপী লকডাউন এর কারনে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মজীবী লোকদের করুন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। শুধুমাত্র যারা সরকারের কর্মচারী ছিলেন তারাই কিছুটা নিশ্চিন্তে জীবন যাপন করতে পেরেছেন।

লকডাউনের সময় বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়। সেই ভয়াল ছোবল থেকে আমিও রক্ষা পাইনি। ব্যবসায় সবকিছু খুইয়ে জীবন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গিয়েছিল।

কিন্তু রিজিকের ব্যবস্থা উপরওয়ালা ঠিকই করে দেন। একটি ঔষধ কোম্পানিতে কাজ শুরু করি লকডাউনের সময়। যেহেতু সেই সময় অন্যান্য সবকিছু বন্ধ ছিল তাই ঔষধ কোম্পানি ছাড়া আর কোন উপায়ও ছিল না।

IMG20230313112510.jpg

যাইহোক করোনাভাইরাস হচ্ছে বিভিন্ন ভাইরাসের সমন্বয়ে একটি বড় পরিবার। আমরা জানি সাধারণত বিভিন্ন ভাইরাসের কারণে আমরা সংক্রমিত হই। তাদের মধ্যে Covid-19 সবচেয়ে বেশি সংক্রামক।

২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীনের উহান শহরে প্রথম এই ভাইরাসের সনাক্ত করা হয়। তারপর থেকে আস্তে আস্তে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের দেশেও এই সংক্রমণ ছড়ায়।

কিন্তু আমাদের দেশে পূর্ব প্রস্তুতি ও সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে সংক্রমণ এবং মৃত্যু উভয়ই অনেক কম ছিল। কিন্তু Covid-19 এর কারণে বিশ্বব্যাপী মহামারী আকার ধারণ করে।

সারাবিশ্বে ছয় কোটির উপরে সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এবং মৃত্যুর সংখ্যা ৬৫ লক্ষ ছাড়িয়ে যায়। এহেন পরিস্থিতিতে আতঙ্ক নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়েছে প্রতিনিয়ত।

IMG20230313113429.jpg
IMG20230313113357.jpg
IMG20230313112703.jpg

স্বাস্থ্যকর্মীরা সেসময় থেকে এখন পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন ভ্যাকসিন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য। এই মহান পেশার সাথে জড়িত অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছেন আক্রান্ত হয়ে।

আমি মন থেকে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। যারা নিজের জীবনকে তুচ্ছ মনে করে আমাদের সেবা দিয়ে চলেছেন। বর্তমানে ভ্যাকসিন কার্যক্রম বিভিন্ন স্কুলে চলছে।

আমার মেয়ের স্কুলে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ উপলক্ষে আয়োজিত ভ্যাকসিন কার্যক্রমে আমিও উপস্থিত ছিলাম। উদ্দেশ্য ছিল মেয়ের দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন নেয়া। ছোট বাচ্চাদের ইনজেকশন নিয়ে ভয়ের কান্ডকীর্তি দেখে আমারও ছোটবেলা মনে পড়লো।

IMG20230313112247.jpg
IMG20230313112208.jpg
IMG20230313111939.jpg

এখনকার বাচ্চারা আমি মনে করি অনেক এডভান্স। তারা কম করে হলেও ভ্যাকসিন নিতে এসেছে। কিন্তু আমি প্রাইমারি স্কুলে থাকাকালীন ভ্যাকসিনের ভয়ে স্কুল থেকে পালিয়ে গিয়েছিলাম।

পরে আমাকে এজন্য বাসায় এসে কান মলা খেতে হয়েছিল। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও আমাকে ভ্যাকসিনের জন্য নিয়ে আসতে পারেনি।

পরের দিন অবশ্য বাসায় জোর করে ধরে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছিল। সম্ভবত স্কুলে সেটা গলগন্ড রোগের জন্য ভ্যাকসিন ছিল। ইনজেকশনের ভয় আমার অনেক বড় হওয়ার পরেও ছিল।

IMG20230313111908.jpg
IMG20230313111601.jpg
ডিভাইসrealme narzo 50
ফটো@mayedul
লোকেশনখলিলগঞ্জ, কুড়িগ্রাম

Covid-19 সংক্রমণ কিছুটা কমে গেলেও এখনো নির্মূল হয়ে যায়নি। তাই আমাদের সকলকে এ বিষয়ে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আমরা মাস্ক পরা ভুলেই গিয়েছি।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা সেটা তো অনেক দূরের কথা। লকডাউনের সময় আমাদের মাস্ক করা বাধ্যতামূলক ছিল। আর আমরাও অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য পকেটে হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে ঘুরতাম।

আমরা যদি সচেতন হয়ে চলতে পারি তাহলে শুধু ভাইরাসের সংক্রমণ কেন যেকোনো রোগ থেকেই নিরাপদ থাকতে পারবো।

একটি বিষয় নিশ্চিত করে বলতে পারি সেটা হলো, ভ্যাকসিনেশন এর পর সকলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও বুস্টার ডোজ দেয়ার পরেও দু-একজনের সংক্রমণ হয়েছিল।

কিন্তু তা পরিমাণে অনেক কম এই নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ব্যতিক্রম বলে একটি শব্দ আছে যেটা সব সময় মাথা চারা দিয়ে উঠে। দিনশেষে সচেতনতাই সবচেয়ে বড় কথা।

বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।

-1675190969286.gif

Our Discord Link

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

El COVID ha impactado mucho en nuestras vidas, desde contagios hasta perdidas de familiares y amigos, está pandemia no ha Sido facil, gracias a Dios le colocaste la segunda dosis a tu niña, toda persona debe protegerse y no darle tregua al COVID.

Due to Covid-19, the socio-economic condition of the world has gone from bad to worse. Awareness is the best way to stay well in this situation.
Thank you very much for your nice comment.

বাহ ভালই তো এখনো কোভিড 19 এর ভ্যাকসিন আমাদের দেশে শেষ হয়নি, এটা আসলে হাস্যকর মনে হচ্ছে, কারণ বিশ্বের অন্যান্য দেশে এখান থেকে আরও দুই বছর আগে ভ্যাকসিনের কার্যক্রম শেষ হয়ে গিয়েছে। যাই হোক আমাদের জীবন রক্ষার ক্ষেত্রে অবশ্যই কার্যকরী ঔষধের দরকার রয়েছে।

হ্যাঁ ভাই আমরা এখনো বড়রা চতুর্থ ডোজ দিচ্ছি।
আর প্রাইমারি লেভেলে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছে কয়েক মাস আগে।

কোভিড 19 এর পরিমাণ যদিও কমে এসে থাকেলে ও কিন্তু আমাদেরকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অবশ্যই এবং সঠিকভাবে চলাফেরা করতে হবে।

সতর্ক থাকলেই যে কোন মানুষ সুস্থ থাকতে পারে এটাই হচ্ছে সবচাইতে বড় বিষয়।

অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।

একদম তাই
সচেতনতাই সুস্থ থাকার মূল চাবিকাঠি।

আপনাকে প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই কারন আমরা করনা নামক এই মারাত্মক সংক্রামিত ভাইরাস নিয়ে এখন মোটেও কেউ ভয় পায় না। অথচ মাএ কয়েক দিন হলো ভাইরাস সংক্রামন কমেছে। আর এর মূল কারণ হলো টিকা নেওয়ার কারনে সংক্রামন অনেকটাই কমেছে। আর এই টিকা গুলো বর্তমান সরকার একদম ফ্রি করে দিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ আমি করনা চলাকালীন সময় টিকাগুলো সাধারণ মানুষেমানুষের মাঝে দিয়ে বেড়াতাম। আমি বাংলাদেশ রেটকিসেন্ট সোসাইটিতে কাজ করতাম।

এরকম মহামারী রোগ হতে মুক্ত থাকতে আমাদের অবশ্যই ডোজ পুরণ করা উচিত। রোগ হোক আর না হোক।,সবসময় সচেতন থাকতে হবে।

মহামারী থেকে মুক্তির জন্য প্রতিরোধ সবচেয়ে উত্তম।

ঠিক বলেছেন ভাইয়া।

একটা কথা কি জানেন? পৃথিবীতে যেই রোগ ই আসুক না কেন সেটা চলে যায় না, বরং রয়েই যায়। তবে তার প্রভাব টা কমে যায়। কারন যাকে আক্রমণ করবে সে সচেতন। তাই আমাদের এখনো সেই সচেতন ধরেই রাখতে হবে। ভালো থাকবেন।

একদমই তাই সচেতনতাই সুস্থ থাকার মূল চাবি কাঠি।