ব্যবহারেই মানুষের বংশের পরিচয় বহন করে কথাটার যৌক্তিকতা।

in hive-120823 •  last year 

হ্যালো পাঠক বন্ধুরা!

আসসালামু আলাইকুম, সবাইকে স্বাগতম আমার নতুন ব্লগে। কেমন আছেন বন্ধুরা সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন এবং দুর্দান্ত সময় অতিবাহিত করছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব "একজন মানুষের জীবনে আচার ব্যবহার কতটা গুরুত্ব বহন করে" এ বিষয়টি নিয়ে। আশা করি সকলে আমার লেখাটি পড়বেন।

pexels-keira-burton-6147155.jpgsource

ব্যবহারে বংশের পরিচয়:-

একটি শিশুর জন্মের পর থেকে তার পরিবারেই সে বেড়ে ওঠে। পরিবার হলো একটি শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র। যখন কোন শিশু জন্মগ্রহণ করে তখন কিভাবে কথা বলতে হয় সেটা সে জানে না তাকে পরিবারের মানুষজন এই শিক্ষাটা দিয়ে থাকে। বিশেষ করে একটি শিশু প্রথম কথা বলা শেখে তার মায়ের মুখ থেকে। শিশুরা সব সময় অনুকরণ প্রিয় হয়ে থাকে। তাদেরকে যেভাবে কথা বলা শেখানো হয় এবং পরিবারের মানুষজন যেভাবে কথা বলে সে সেটি ছোট থেকেই আয়ত্ত করতে থাকে।

জীব বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয়ে থাকে যে একটি সন্তান তার পিতামাতার জিনগত বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে ও বংশপরম্পনায় সে তার আচার ব্যবহার পেয়ে থাকে।
আমাদের দেশে একটি কথা খুবই প্রচলন আছে, মা-বাবা যেমন তার ছানাও তেমন। বিশেষ করে আমরা কোন ব্যক্তির চালচলন আচার ব্যবহার এগুলো দেখে অনেক সময় বলে থাকি তার পরিবার কেমন। ভালো ফ্যামিলির ছেলে মেয়েরা তাদের আদব-কায়দা আচার ব্যবহার অনেক নম্র ভদ্র হয়ে থাকে। পক্ষান্তরে যে পরিবারে পিতা-মাতা সন্তানের সামনে ঝগড়া বিবাদ করে থাকে সে পরিবারের ছেলেমেয়েরা সেটি দেখেই বড় হয় এবং তাদের মানসিক বিকাশের ব্যাঘাত ঘটে। সেও আস্তে আস্তে সেগুলোকে রপ্ত করতে থাকে এবং বাইরের মানুষের সাথে সে পরিবার থেকে যেটা শিক্ষা গ্রহণ করেছে সে অনুযায়ী ব্যবহার করে থাকে।

কোন ব্যক্তির গায়ে লেখা থাকে না তার বংশ পরিচয় সেহেতু সে তার সুন্দর ব্যবহার মাধ্যমেই ফুটিয়ে তোলে সে কেমন পরিবার থেকে উঠে এসেছে। লেখাপড়া শিখে শুধু বড় বড় ডিগ্রি অর্জন করলেই যে আপনার আচার ব্যবহার সুন্দর হবে তার কোন গ্যারান্টি নাই। আচার ব্যবহার এগুলো আমাদের রপ্ত করতে হয়। আমরা সকলে কথা বলতে পারি কিন্তু কোথায় কেমন কথা বলা উচিত সেটা শিখতে আমাদের সারা জীবন লেগে যায়।

pexels-dmitriy-zub-6497023.jpgsource

ব্যবহারে বংশের পরিচয় কথাটা কতটা যৌক্তিকতা:-

কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয়ে থাকে কারণ পরিবার ভালো হয়েও অনেক সময় সঙ্গ দোষে ছেলেমেয়েরা খারাপ পথে চলে যায়। বর্তমান সময়ে এখন মানুষের আচার ব্যবহার দেখে তার বংশ-পরম্পরা হিসাব করা এটা অনেকটা বোকামি ছাড়া অন্য কিছু নয়।

দিন দিন আমাদের ভেতর থেকে মানুষকে সম্মান করা বা শ্রদ্ধা করা এটা উঠে যাচ্ছে। এখনকার ছেলেমেয়েরা আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়ে নিজেরদেরকে অনেক বড় কিছু ভেবে থাকে এমনকি বড়োদেরকে বা মুরুব্বিজনদেরকে সম্মান করার কথা ভুলেই গেছে। এটি অনেক বেশি অবক্ষয় আমাদের সমাজের জন্য বা নৈতিকতার জন্য।

আমাদের সকলের ব্যবহার সুন্দর হওয়া উচিত কারণ আমাদের ব্যবহার সুন্দর হলেই আমাদের চারপাশের মানুষ আমাদেরকে ভালবাসবে এবং সুন্দর একটি সমাজ নির্মিত হবে। আপনি যদি অন্যদেরকে সম্মান করতে পারেন তাহলে অন্যরাও আপনাকে সম্মান করবে এ কথাটা আমাদের সবসময় মনে রাখা উচিত।

সকলের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আমার লেখা এখানে শেষ করলাম। আল্লাহ হাফেজ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আজকে আপনি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।

আপনি অনেক কিছু উল্লেখ করেছেন আজকের পোস্টের মাধ্যমে এটা আমার খুবই ভালো লেগেছে। আর আপনি আরো বলেছেন যে ব্যবহারে বংশের পরিচয় কিন্তু বর্তমান বাবা-মার জন্য ছেলেমেয়েরা বেশি খারাপ হয় না বরঞ্চ সঙ্গ দোষে খারাপ হয়।

আজকে পোস্ট থেকে আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি সেজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।

আজকে আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা টপিক আমাদের সাথে আলোচনা করেছেন। ব্যবহারে বংশের পরিচয় পাওয়া যায়। একদমই ঠিক মাঝে মাঝে কিছু মানুষের আচরণ দেখলে। অনেক খারাপ লাগে। সেখান থেকে তাদের বংশ সম্পর্কে জানতে গেলে দেখা যায়। তাদের বংশের প্রত্যেকটা মানুষই,, মানুষের সাথে এভাবে আচরণ করে।

আসলে ভালো খারাপ মিলিয়ে আমাদের এই সমাজ বসবাস করতে হয়। প্রত্যেকটা মানুষের সঙ্গে একসাথে হয়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,,, এত সুন্দর একটা টপিক আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভাল থাকবেন।

প্রিয় লেখক বন্ধু প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই খুবই সুন্দর একটি আর্টিকেল নির্বাচন করেছেন যা আমাদের সমাজ ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আপনার এই কথাগুলো যেমন সত্যি তেমন যুক্তিপূর্ণ.

পিতা-মাতা সন্তানের সামনে ঝগড়া বিবাদ করে থাকে সে পরিবারের ছেলেমেয়েরা সেটি দেখেই বড় হয় এবং তাদের মানসিক বিকাশের ব্যাঘাত ঘটে।

শিশুদের মস্তিষ্ক মূলম কাদার ন্যায় ছোট থেকে তারা যেমন শিখবে বড় হলে তেমনি আচরণ করবে।

আজকে আপনি সুন্দর একটি টপিক নিয়ে আমাদের সাথে আলোচনা করেছেন। আপনে অনেক কিছু উল্লেখ করেছেন আজকের পোস্টার মাধ্যমে যেটা আমার শুনে খুব ভালো লেগেছে। বাবা মারা কখনো চায়না যে ছেলেমেয়েরা খারাপ হোক।তারা সব সময় ছেলে মেয়েকে সবসময় সঠিক পথ দেখিয়ে দেয়। কিন্তু তারা সঙ্গ দোষে খারাপ হয়।

আজকে আমি আপনার পোস্ট থেকে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পেরেছি। থ্যাঙ্ক ইউ