আমরা পাঁচ বন্ধু ( চতুর্থ পর্ব )

in hive-120823 •  16 days ago  (edited)

আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী, সবাইকে জানাই, আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।


1000006270.jpg
Source

  • তৃতীয় পর্বে আমরা জেনেছিলাম! সজলকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, এর জন্য করিম, জাফর,মিনহাজ, হেলাল, সবাই অনেক কান্নাকাটি করছে! কি করবে তাঁরা ভেবে পাচ্ছে না।

তারা ক্যাম্পিংয়ের ভিতরে ঘাপটি মেরে বসে রয়েছে, তাদের চোখে ঘুম নেই তাদের চোখে শুধু ভয়। আর সবাই দোয়া করছে কখন সকাল হবে, সকাল হলেই সজলকে সবাই আবার খোঁজাখুঁজি করবে। কিছুক্ষণ পরে অনেক দূর থেকে একটা শব্দ শোনা যাচ্ছে, করিম তখন সবাইকে বলছে, দেখ তো। কে জানি আমাদেরকে ডাকতাছে, এটা কি সজল নাকি, চল আমরা বাইরে যাই। তখন মিনহাজ বলল হ্যাঁ আমিও শুনতে পাচ্ছি। কে জানি আমাদেরকে ডাকতাছে। তখন সবাই একটু মনোযোগ সহকারে শুনল, দূর থেকে কে জানি আমাদেরকে ডাকছে । তখন সবাই মিলে আবার ক্যাম্পিং থেকে বের হবে এমনিতেই,

1000006271.jpg
Source

তখন জাফর সবাইকে বলছে, শোন আমরা সবাই একসাথে থাকবো, হয়তোবা এটা সজলের গলার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে । এই খানে অনেক জীবজন্তু আছে, অনেক খারাপ প্রেতাত্মা, পিশাচ, রয়েছে। তাই আমাদের সবাইকে একসাথে থাকতে হবে। তখন পাশ থেকে হেলাল বলছে না ভাই, আমি যাব না, তোরাও যাইস না , এটা সজল না, এটা কোন খারাপ আত্মা, তখন সবাই একটু চুপ মেরে বসে রইল ক্যাম্পিংয়ের ভিতর।

আবারও অনেক দূর থেকে সজলের গলা শোনা যাচ্ছে, আমারে বাঁচা ভাই! এই কথা শুনে জাফর আর করিম সবাইকে বলল, মনে হয় সজল এখনো বেঁচে রয়েছে। আমাদের সবার উচিত সজলকে উদ্ধার করা, সজলকে বাঁচাতে হবে। জাফর আর করিম ক্যাম্পিং থেকে বের হয়ে যাবে, তখন মিনাজ আর হেলাল বলছে, আমরা তদের সাথে যাব, যা হবে একসাথেই হবে। এই কথা বলে সবাই একসাথে ক্যাম্পিং থেকে বের হল।


জাফর আর করিম বলছে, সজলের আওয়াজ কোন দিক থেকে আসতেছে। আগে সেটা নির্ধারণ করতে হবে। পরে আমরা ওই পথ ধরে যাব, মিনহাজ বলছে দেখ পশ্চিম দিক থেকে আওয়াজ আসছে, সবাই একটু লক্ষ্য করলো, দেখে পশ্চিম দিক থেকেই আওয়াজ আসছে। পরে তারা সবাই মিলে পশ্চিমে রওনা দিল হাটতাছে শীতের রাত। চারোদিকে অনেক কুয়াশা পাশ থেকে শিয়াল ডাকাডাকি করছে।


1000006255.jpg
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া

হেলাল টর্চ লাইট মারছে, পাহাড়ের চারদিকে কুয়াশার জন্য দূরে কিছুই দেখা যাচ্ছে না শুধু পাহাড়ের ঘন জঙ্গলগুলো ঝাপসা দেখা যাচ্ছে। ওরা সবাই একটা ঢালু সরু রাস্তা দেখতে পারছে, রাস্তার চারদিকে বেতের গাছ। এই রাস্তা পাহাড়ের ঢালুর এক পথ নিচে নামার। করিম বলছে; নিচে থেকেই মনে হয় সজলের ডাক শোনা যাচ্ছে, সবাই তখন ধীরে-ধীরে হেঁটে পাহাড়ের থেকে নিচে নামছে। আর সবাই অনেক জোরে-জোরে কথা বলছে, আর সজল-সজল চিৎকার করে ডাকছে, ওরা সবাই আধাঘন্টা পর পাহাড়ের অনেক নিচে নেমে গেছে,

হঠাৎ করে হেলাল বলছে, আমি আর এই পায়ের ব্যথা নিয়ে নিচে নামতে পারছি না রে! আমরা সবাই এই খানে একটু জিরাই।


জাফর বলছে; তাহলে তুই এক কাজ কর, হেলাল আর করিম এখানেই থাক আমি আর মিনহাজ সজলকে খুঁজতে থাকি, হঠাৎ করে সজলের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে না, তাই আমাদের খুব দ্রুত ভাবে সজলকে খুঁজে বের করতে হবে। করিম বলছে; ঠিক আছে আমি আর হেলাল এখানে তোদের জন্য অপেক্ষা করলাম। তুই আর মিনহাজ মিলে সজলকে খোঁজ। এর ভিতরে আবার জাফর বলছে আমাদের মোবাইল ফোনে তো কোন নেটওয়ার্ক নাই।

1000006274.jpg
Source

আমরা কাউকে কোন ফোনও দিতে পারব না। কিন্তু আমাদের কাছে তিনটা টর্চ লাইট আছে। এই টর্চ লাইটের এর সাহায্যে, আমরা একে অপরকে সিগন্যাল দেব। তখন করিম বলছে কিভাবে আমরা সিগন্যাল দেব, তুই আগে বলে দে। জাফর বলছে; আমরা দুইটা সিগনালে কাজ করব। আমাদের প্রথম সিগন্যাল থাকবে, আমরা আকাশে টর্চ লাইট মারবো, যদি টর্চ লাইটটি কয়েক সেকেন্ড আকাশে ধরে রাখি। তাহলে তরা সবাই বুঝবি সবকিছু ঠিক আছে আমাদের। যদি আমরা আকাশে টর্চ লাইটটি একবার ধরে আবার বন্ধ করে ফেলি। তাহলে বুঝবি আমাদের কোন সমস্যা হচ্ছে, তরাও সেই একইভাবে সিগনাল দিয়ে আমাদেরকে খবর দিবি।


এই বলে জাফর ও মিনহাজ, সজলকে, খুঁজতে বের হলো; আবার যাবার সময় জাফর বলছে, হেলালের প্রতি খেয়ালে রাখিস। এখন তারা দুইটি দলে বিভক্ত হয়ে গেল , অপরদিকে করিম আর হেলাল অপেক্ষা করছে। জাফর ও মিনহাজ হেঁটে পাহাড় থেকে আরো নিচুতে নামছে, প্রায় অনেকটা সময় পার হয়ে গেল, কিন্তু কোথাও থেকে সজলের আওয়াজ আর শোনা যাচ্ছে না। হঠাৎ করে রাস্তার একপাশে থেকে একটা শিয়াল বের হয়েছে এটা দেখে মিনহাজ চিৎকার করে উঠলো।

1000006275.jpg
Source

এই চিৎকারের শব্দ করিম, ও হেলাল, শুনতে পেল। এর জন্য করিম আকাশের দিকে টর্চ লাইট মারলো। সিগন্যাল দেওয়ার জন্য কোন বিপদ হয়েছে কিনা। তখন সঙ্গে-সঙ্গে জাফর, ও আকাশে দিকে টর্চ লাইট মারলো যে তারা ঠিক আছে। জাফর তখন মিনাজ কে বলছে, ওই ভেটা এটাতো শিয়াল, তুই শিয়াল দেখে ভয় তুই পেয়ে গেছোদ। মিনাজ বলছে আরে ভাই হঠাৎ করে রাস্তার মাঝখানে চলে আসছিল। আর আমি কখনো এত কাছ থেকে শিয়াল দেখি নাই। জাফর বলছে, পানি খা তুই!


এখন মিনহাজ বলছে, কিরে ভাই এ গুড-গুড অন্ধকার, রাত চারদিকে ঘন জঙ্গল এখন তো! সজলের আওয়াজ কোথাও থেকে আসতেছে না। জাফর ও বলছে হুম ঠিক, এখন কি করা যায়
আর অপরদিকে হেলাল কান্নাকাটি করছে। করিম বলছে দোস্ত কিছুই হইব না। আল্লাহর উপরে ভরসা রাখ আমাদের কিছুই হবে না। হেলাল বলছে কেন যে আমরা এখানে বেড়াতে আসলাম, এখানে ক্যাম্পিং করলাম। আমরা কি আর কখনো বাসায় ফিরতে পারবো না, রে, করিম।
করিম বলছে; ইনশাল্লাহ আমরা ফিরতে পারবো।

1000006288.jpg
Source

কিছুক্ষণ পরই জাফর ও মিনহাজ শুনতে পেল! সজলের গলা শোনা যাচ্ছে, সজল চিৎকার করে বলছে, তোরা কইরে আমি অনেক কষ্ট পাইতাছি । এই চিৎকারে শব্দ, জাফর ও মিনহাজ শুনতে পেল জাফর বলছে শব্দটা ওই যে জঙ্গলের ওই পাশ থেকে আসছে। চল আরেকটু নিচে নামি আমরা। তখন জাফর ও মিনহাজ, আবার তারা দুইজন হাঁটা শুরু করলো, পাহাড়ে নিচে নামতে থাকলো। তখন জাফর রাস্তার বাম পাশে একটা পাহাড়ের গুহা দেখতে পায়! গুহাটির সুরঙ্গ পথটা অনেক খাড়া এবং অনেক নিচু

1000006277.jpg
Source

জাফর তখন টর্চ লাইট মারল নিচে,কিন্তু কিছুই দেখা পাচ্ছে না, এত গুড্ডুটা অন্ধকার, যা কিছুই দেখা যাচ্ছে না। হঠাৎ করে এই গুহার নিচ থেকেই সজলের শব্দ শুনছে । তখন জাফর ও মিনহাজ নিশ্চিত হয়ে গেল, যে এই গুহার নিচেই সজল আছে । এখন মিনহাজ বলছে; আমরা গুহার নিচে কিভাবে নামবো আমাদের কাছে তো কোন দড়ি নেই , আর ক্যাম্পে আমাদের দড়ি ছিল, এখন দড়ি কোথায় পাবো আমরা।

তখন জাফর বলছে যেভাবেই হোক আমাদের নিচে নামতেই হবে। তুই মিনহাজ দেখ আশেপাশে কোন বটগাছ খুঁজে পাস নাকি, মিনাজ বলছে বট গাছের ওই লতা গুলো আমাদের দরকার এটা দড়ি মত ব্যবহার করা যাবে। তুই জাফর ঠিক বলছিস, আমি এই পাশে খুঁজি, তুই ওই পাশে খোঁজ, কিছুক্ষণ পর একটা বটগাছ দেখতে পেল, মিনহাজ বলছে ওই জাফর এই খানে আয়, এখানে একটা বটগাছ রয়েছে, এই বটগাছে অনেক লতা আছে।


পরে ওরা দুইজন মিলে,এই বট গাছের লতাগুলো চাকুর সাহায্যে কাটলো, কাটার পর শক্ত করে ২০০ গজ দড়ি তৈরি করল। এবং অনেক শক্ত ও মজবুত দড়ি হল; এখন জাফর বলছে, আমি নিচে নামবো, আর তুই উপরে থাকবি। উপর থেকে তুই এই লতাগুলো গাছের সাথে বেঁধে রাখবি, আর তুই ও লতা ধরে রাখবি। মিনাজ বলল ঠিক আছে বন্ধু, আমি ধরে রাখবো। পরে জাফর বলল তুই আবার ভয় পাবি না তো, টর্চ লাইটটা দে আমাকে, মিনাজ বলল, না আমি ভয় পাবো না বন্ধু ভয় চলে গেছে।

তখন জাফর লতার সাহায্যে গুহার ভিতরে আস্তে- আস্তে প্রবেশ করছে, যখন গুহার অর্ধেক পর্যন্ত জাফর চলে যায়। উপর থেকে মিনহাজ বলছে; জাফর তুই ঠিক আছত। জাফর বলছে হ্যাঁ, আমি ঠিক আছি। আবার মিনহাজ বলছে, সজলকে দেখা যাচ্ছে, জাফর বলছে না, এখনো দেখতে পাচ্ছি না, ওই তো শব্দ করা বন্ধ করে দিয়েছে।

1000006286.jpg
Source

হঠাৎ করে এত তীব্র পরিমাণে বাতাস বইছে চারোদিকে, তখন মিনাজ আবার বলছে বাইরে অনেক বাতাস বাহিরে বন্ধু মনে হয় ঝড় আসবে। বুঝলাম না, এই শীতের ভিতরে ঝড় কখনো হয় নাকি। তখন হঠাৎ করে মিনহাজের কাছ থেকে কে জানি ধাক্কা মেরে দিল মিনহাজ কিছুই দেখল না।সঙ্গে-সঙ্গে মিনাজ গুহার থেকে নিচে পড়ে গেল। সাথে জাফর ও যে দড়ি বেয়ে নিচে নামছিল ওই পড়ে গেল। জাফর হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে গেল ।
অপরদিকে ★

জাফর ও মিনহাজের জন্য অপেক্ষা করছে, করিম আর হেলাল, হঠাৎ করে জোরে-জোরে শব্দ করে রফিক ভাই দূর থেকে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে তাদেরকে ডাকছে। করিম তখন চিল্লিয়ে বলছে, কে আপনি কে আপনি, পরে রফিক ভাই বলছে,কে সজল ভাই নাকি আমি রফিক! কি হয়েছে আপনাদের ভাই, পাহাড়ের উপর থেকে আপনাদের চিল্লানো শব্দ শুনে আমি ছুটে চলে এসেছি।

তখন করিম বলছে; রফিক ভাই আমরা এই খানে ভাই, আসেন ভাই, রফিককে কাছে পেয়ে করিমের একটু সাহস বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু হেলাল করিম কে বলছে; এটা মনে হয় রফিক না, এটা ভূত,

রফিকের বাসা তো অনেক দূরে ওই পাহাড়ের একটি গ্রামে আর আমাদের শব্দ কিভাবে শুনলো সে, করিম, হেলালের এই সব কথা পাত্তা দিল না। সে চিল্লায়-চিল্লায় বলছে এ রফিক ভাই আমরা এখানে ভাই।

1000006251.jpg
Youtube থেকে সংগ্রহ করা

অপরদিকে জাফরের; হঠাৎ করে জ্ঞান ফিরলো, জাফর দেখছে, মিনহাজের মাথা থেঁতলিয়ে গেছে, এবং মস্তকগুলো বের হয়ে যাচ্ছে মাথা থেকে, এবং মিনহাজ এর মরা দেহটি তার পাশে পড়ে রয়েছে। জাফর এই বিশ্রী দৃশ্য দেখে একটা চিৎকার মারলো আবার সে অজ্ঞান হয়ে গেল!


প্রথম পর্ব

দ্বিতীয় পর্ব

তৃতীয় পর্ব

চতুর্থ পর্ব শেষ

কিছু কথা

আমার যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে। তাহলে সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7yctNbUfy3Svm873NHceMEBkiU7QugfFD3RdWkWB8D5Nn71Vnqc38zTwcdMtsxGBY9bLpzWCxcXrK7yhhF5vsc2ofGXjYS.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



২ - জানুয়ারি - ২০২৫ সাল

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

Loading...

আপনার লেখাটি সত্যিই অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ এবং ভয়ের সঙ্গে মিশে এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা তৈরি করেছে। চরিত্রদের ভয়, সাহস, এবং সংকল্পের মধ্যে যে লড়াই চলছে, তা খুবই জীবন্ত মনে হয়েছে। বিশেষ করে যখন তারা সজলকে উদ্ধার করতে বের হয়, এবং পুরো পরিবেশটা এক রহস্যময় উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। মিনহাজের মৃত্যু এবং জাফরের অজ্ঞান হওয়া পাঠকদের হৃদয়ে অনেকটা চাপ সৃষ্টি করেছে। এই ধরনের গল্পে আরও বেশি গভীরতা এবং রহস্যের প্রয়োজন, তবে এটিই পাঠককে অবাক করতে সক্ষম। আশা করি পরবর্তী পর্বে আরও নতুন বাঁক দেখা যাবে।

আপনার মন্তব্যটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।

দাদা এতো সুন্দর একটা গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রথমেই আপনাকে জানই অসংখ্য ধন্যবাদ। বিগত তিন পর্বের মতো এই পর্বও অনেকটা রোমাঞ্চকর ছিল। সত্যিই মিনহাজের মৃত্যুটা খুবই কষ্টকর ছিল। বন্ধুর এই অবস্থা দেখে জাফরের অজ্ঞান হয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক।

এতো সুন্দর একটা গল্প পড়তে পেরে অনেক ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন দাদা।

ধন্যবাদ দাদা আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ভালো। থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

যদিও আপনার পূর্বের পর্বগুলো করতে পারেনি কিন্তু আজকের পোস্টটি পড়ে পূর্বের পোস্টগুলো পড়তে খুব ইচ্ছা করছে।।

বন্ধু কেমন হওয়া উচিত সেটা আপনাদের কাছে শেখা উচিত।। বন্ধু যদি বন্ধুর জন্য জীবন দিতে পারে এটাই হলো প্রকৃত বন্ধু।। ভয়কে ভয় না মনে করা বিপদকে বিপদ না মনে করা এরকম বন্ধু জীবনে থাকলে আর কিছু লাগে না।। কিন্তু শুনে খুবই খারাপ লাগলো তারা একটা বন্ধুকে হারিয়ে ফেলেছেন চিরতরে।।

আপনার এত সুন্দর একটি মন্তব্য আমাকে প্রেরণা করে। আপনি আমার পোস্টে সম্পন্ন করার জন্য ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।